আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে স্বপ্ন পূরণ। এই নাটকটি গতকালকে রিলিজ হয়েছে এবং নাটকটি বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে আফরান নিশো এবং মেহজাবিন চৌধুরী। অনেক দিন পর আফরান নিশো এবং মেহজাবিন এর নাটক দেখলাম। এদের নাটক দেখতে বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। তারা বেশ ভালো অভিনয় করে। এই নাটকটি আমি আজকে সকালে দেখেছিলাম। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের নায়ক আফরান নিশো একটি ছোটখাটো চাকরি করতো এবং নাটকের নায়িকা মেহজাবিন চৌধুরী ছিলো গৃহিণী। তারা দুইজন স্বামী স্ত্রী। তারা একটি ভাড়া বাসায় থাকে। কিন্তু সেই বাড়িতে ঠিকমতো পানি থাকেনা,বিদ্যুৎ থাকেনা এবং সিড়ির মধ্যে ময়লার ব্যাগ ফেলে রাখে সবাই। সেজন্য ময়লার গন্ধে রুমে থাকাটা কষ্টকর হয়ে যায়। এই নিয়ে মেহজাবিন সবসময় রাগারাগি করতো নিশোর সাথে এবং বাসা পাল্টাতে বলতো। এদিকে নিশো বাসা খুঁজে পেলেও ভাড়া বেশি হওয়ায় তারা বাসা পরিবর্তন করতে পারেনি। অফিস শেষ করে নিশো বাসায় আসলে, মেহজাবিন বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করতো নিশোর কাছে।

এভাবে তাদের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। হঠাৎ করে একদিন তাদের বাসায় মাসুম বাশার হাজির হয় একটা অফার নিয়ে। মেহজাবিন দরজা খুললে মাসুম বাশার বলে যে, তারা নিম্ন মধ্যবিত্তদেরকে মাসিক স্কিমের মাধ্যমে ঢাকা শহরে ফ্ল্যাট দিচ্ছে থাকার জন্য এবং টাকা পরিশোধ করা হয়ে গেলে ফ্ল্যাটের মালিকানাও দিয়ে দিবে। মেহজাবিনকে তাদের অফিসের একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে চলে গেল। মেহজাবিন মাসুম বাশারের কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করে ফেলে। নিশো অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর মেহজাবিন সবকিছু শেয়ার করে। তবে নিশো বলে যে এইসব বাটপারি ছাড়া আর কিছুই না।

তবুও মেহজাবিন এর জোরাজুরিতে পরের দিন তারা অফিসে যায় এবং ফ্ল্যাটও দেখতে যায়। ফ্ল্যাট পছন্দ হওয়ার পর মাসুম বাশার বলে যে ৭ লক্ষ টাকা ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে এবং মাসিক কিস্তি ১২ হাজার টাকা দিতে হবে। এইসব শোনার পর তারা চিন্তায় পড়ে যায়। একসাথে ৭ লক্ষ টাকা ব্যবস্থা করা তাদের জন্য অনেক কষ্ট হয়ে যাবে সেটা ভেবে। অনেক কষ্টে টাকা ব্যবস্থা করে তারা ফ্ল্যাট বুকিং দিয়ে দেয়। কিন্তু কিছুদিন পর তারা জানতে পারে এগুলো সব ভুয়া। তারা প্রতারণা করে টাকা নিয়েছে। আর এভাবেই চলতে থাকে নাটকের কাহিনী। আপনারা নাটকটি দেখে নিবেন। আশা করি খুব ভালো লাগবে দেখতে।

উপরের সবগুলো ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

এককথায় বলতে গেলে নাটকটি একেবারে বাস্তবসম্মত হয়েছে। কারণ এমন ঘটনা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে চলছে। বিশেষ করে ঢাকায় এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে। নিম্ন মধ্যবিত্তদেরকে লোভে ফেলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বা প্রতারকরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে চলছে প্রতিনিয়ত। তাই আমাদের সবার উচিত ভেবে চিন্তে খুব সতর্কতার সাথে আর্থিক লেনদেন করা। কারণ একবার এমন বিপদে পড়লে সারাজীবনের সঞ্চয় তো শেষ হবেই,সাথে তো ঋণের বোঝা সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। তাই আর্থিক লেনদেন করার আগে শতবার ভাবা উচিত আমাদের। আফরান নিশো এবং মেহজাবিন চৌধুরী বরাবরের মতো দুর্দান্ত অভিনয় করেছে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে বাস্তব ধর্মী এই নাটকটি দেখে।

আমার রেটিং