ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট || প্রথম দিন পুস কয়েন কিনতে না পারার আক্ষেপের গল্প
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি আক্ষেপের গল্প শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। তবে পুস কয়েন নিয়েই আজকের গল্পটি লিখতে চলেছি এবং ঘটনাটি আমার সাথেই ঘটেছে। যাইহোক $puss কয়েন লঞ্চ হওয়ার প্রথম দিন,পুস কয়েন কিনতে না পারার আক্ষেপ এই পোস্টে শেয়ার করবো। আপনারা সবাই জানেন যে আজকে থেকে ঠিক ১৫ দিন আগে পুস কয়েন লঞ্চ করা হয় এবং আমরা প্রথমে দাদার মাধ্যমে ডিসকর্ডের এনাউন্সমেন্ট চ্যানেল থেকে এটা জানতে পারি। তারপর আমাদের সম্মানিত এডমিন নওরিন আপু উনার পোস্টের মাধ্যমে পুস কয়েন কেনার টিউটোরিয়াল খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেন। কিন্তু সেদিন শুধুমাত্র কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের মাধ্যমেই পুস কয়েন কেনা যাচ্ছিলো।
তবে আমি সেদিন গাড়ি সার্ভিসিং নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম, বাসায় এসে ল্যাপটপ নিয়ে বসার সুযোগ হয়নি। তো প্রথম দিন পুস কয়েন কেনার সুযোগ হয়নি আমার। কিন্তু আমার বাইনান্স একাউন্টে সেদিন ৩,৬০০ টিআরএক্স ছিলো। প্রথম দিন আমার যদি ব্যস্ততা না থাকতো,তাহলে ল্যাপটপ নিয়ে বসতে পারতাম এবং নওরিন আপুর টিউটোরিয়াল পোস্ট ফলো করে ৩,৬০০ টিআরএক্স দিয়ে যদি পুস কয়েন কিনতাম, তাহলে প্রায় ৩ কোটির মতো পুস কয়েন পেতাম। এটা ভেবে এখনো আমার আফসোস হয়। কারণ অনেক বড় একটি সুযোগ মিস করেছি আমি। এমনিতে আমি কিন্তু বাইনান্সে বিভিন্ন ধরনের কয়েন সবসময়ই কিনে রাখি। যাইহোক তারপর পরের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে তেজগাঁও এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম অর্থাৎ গাড়ির ওয়ার্কশপে। তো গাড়িতে বসে নওরিন আপুর টিউটোরিয়াল পোস্ট দেখলাম এবং দেখলাম যে মোবাইল দিয়ে পুস কয়েন কেনা যাবে।
এরপর পুস কয়েন এর প্রাইস দেখলাম যে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। মানে সেদিন রাতের বেলায় প্রাইস অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তারপর দিনের বেলায় অপেক্ষা করতে লাগলাম প্রাইস একটু কমে কিনা। ভাবলাম যে একটু কমলে ৩,৬০০ টিআরএক্স এর পরিমাণ পুস কয়েন কিনে ফেলবো। তো দিনের বেলায় এমনিতেও গাড়ি নিয়ে ওয়ার্কশপে ভীষণ ব্যস্ত ছিলাম। তাই দিনের বেলা পুস কয়েন এর কথা মাথায় ছিলো না। যাইহোক সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত গাড়ির ওয়ার্কশপে ছিলাম এবং গাড়ি সার্ভিসিং শেষ করে বাসায় আসতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম ছিলো সেদিন। তো সেদিন রবিবার ছিলো বলে,রাত ৯ টায় রবিবারের আড্ডায় জয়েন করলাম গাড়িতে বসে।
যদিও সেদিন ১০ মিনিট পর রবিবারের আড্ডা শুরু হয়েছিল। কারণ দাদার সাথে খুব সম্ভবত পুস কয়েন নিয়ে এডমিন মডারেটরদের মিটিং চলছিলো। যাইহোক শুভ ভাই যখন পুস কয়েন কেনার কথা বলছিলো,তখন আমার মনে হলো পুস কয়েন কেনার কথা। কারণ সারাদিনের ব্যস্ততায় পুস কয়েন কেনার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। সেদিন রবিবারের আড্ডা চলাকালীন সময়ে আমি ৩,৬০০ টিআরএক্স দিয়ে ২০ লাখ প্লাস পুস কয়েন কিনতে পেরেছিলাম। চেষ্টা করছি আরও কিছু পুস কয়েন কেনার জন্য। তবে প্রথম দিন পুস কয়েন কিনতে না পারার আক্ষেপটা রয়েই গেলো। যাইহোক পুস কয়েন এর দাম যেভাবে বাড়ছে, আশা করা যায় ভবিষ্যতে ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ। তাই আমাদের সকলের উচিত বেশি বেশি পরিমাণে পুস কয়েন কিনে হোল্ড করে রাখা।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং(গল্প) |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S9 Plus |
তারিখ | ৭.৯.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
আসলে ভাই পুষ কয়েন আমাদের প্রত্যেকের মনে আক্ষেপ ধরিয়ে দিয়েছে। প্রথম দিনের যারা কিনতে পারেনি তারা যেন এই আক্ষেপটা মেনে নিতেই পারছে না। আমারও একি অবস্থা। আমি আর যাই হোক আপনি তাও দ্বিতীয়দিনে অনেকগুলোই কিনেছিলেন।
হ্যাঁ ভাই আমি দ্বিতীয় দিন তবুও মোটামুটি ভালোই পুস কয়েন কিনতে পেরেছি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমদিকে যারা কিনেছে তারা অনেকটাই লাভবান হয়েছে। যাই হোক আপনি অবশেষে বেশ ভালো পরিমাণের puss কয়েন কিনেছেন। আপনার প্রথম দিন কিনতে না পারার আক্ষেপ এর গল্প পড়লাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু যারা প্রথম দিন পুস কয়েন কিনেছে, তারা তো প্রচুর লাভবান হয়েছে। যদিও হাতেগোনা কয়েকজন কিনেছে। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনি প্রথম দিন পুস কয়েন কিনতে পারেন না ব্যস্ততার কারণে। সেই দিন আপনার গাড়ির সার্ভিস এর কারণে পৌষ করেন কিনতে পারলেন না। যদিও এটি প্রথমে একটু দাম কম ছিল পুস কয়েন এর। আস্তে আস্তে পরে দাম বৃদ্ধি হয়েছে। তারপরও বলব আপনি পুস কয়েন কিনে লাভবান হয়েছেন। আর দাদার চিন্তাভাবনা আমাদের সবাইকে নিয়ে। তাই সবাই পুস কয়েন কিনার। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমিও পুস কয়েন কিনে বেশ লাভবান হয়েছি। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে বলেই হয়তো আপনি বিষয়টা ভুলে গিয়েছিলেন ভাইয়া। তবে প্রথম দিকে যারা puss কয়েন ক্রয় করেছে তারা অনেক বেশি লাভবান হয়েছে। আমিও বেশ কয়েকদিন পরে কিনেছিলাম ভাইয়া। তবে সেটা খুবই সামান্য পরিমাণে।
হ্যাঁ আপু প্রথম দিন যারা পুস কিনেছে, তারা প্রচুর লাভবান হয়েছে। যাইহোক যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
প্রথমে যারা $pUSS কয়েন কিনেছে তারা অনেক লাভবান হয়েছে। আপনি আপনার ব্যস্ততার কারণে কিনতে পারেননি এর জন্য মন খারাপের কিছু নেই।এরকম ঘটনা অনেকের সঙ্গেই ঘটেছে ভাই।তবে যাই হোক আপনার অনুভূতিটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু, অনেকের সাথেই এমনটা ঘটেছে। তবে সামনে অনেক বাড়বে পুস কয়েন এর দাম। যাইহোক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।