নাটক রিভিউ || ভালোবাসার তিন দিন
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে ভালোবাসার তিন দিন। এই নাটকটি দুই মাস আগে রিলিজ হয়েছে। তবে আমি গতকালকে নাটকটি দেখেছি এবং নাটকটি বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ফারহান আহমেদ জোভান এবং পড়শী। অনেক দিন পর জোভান এর নাটক দেখলাম। পড়শীর নাটক এর আগে তেমন দেখা হয়নি। জোভান বেশ ভালো অভিনয় করে। তবে সত্যি বলতে পড়শীর অভিনয় আমার কাছে বেশি ভালো লাগেনি। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
নাটক | ভালোবাসার তিন দিন |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | মহিদুল মহিম |
অভিনয়ে | ফারহান আহমেদ জোভান,পড়শী এবং আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
প্রচার | ১৭ই মার্চ ২০২৩ |
সময় | ১ ঘন্টা ২৮ মিনিট |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
নাটকের নায়ক জোভান ছিলো একজন ফটোগ্রাফার। তাই সে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ফটোগ্রাফি করার কাজে ব্যস্ত থাকে সারাক্ষণ। এদিকে নাটকের নায়িকা পড়শী বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসেছে এবং ঘটনাক্রমে জোভানের সাথে দেখা হয়। পড়শীর বয়ফ্রেন্ড এর জন্য পড়শী বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছে। কিন্তু পড়শীর বয়ফ্রেন্ড প্রতারণা করেছে তার সাথে। সেজন্য তার ভীষণ মন খারাপ ছিলো। জোভানের কাছে সবকিছু শেয়ার করার পর, জোভান পড়শীকে সাপোর্ট দেয় মানসিকভাবে। তারা আশেপাশে ঘুরাঘুরি করতে করতে দুইজন দুইজনকে কিছুটা পছন্দ করতে শুরু করে।
এদিকে জোভানের বাবা জোভানকে ফোন দিয়ে বলে,যে মেয়েকে বিয়ে করেছে তাঁকে নিয়ে বাসায় যেতে। আসলে জোভানের মামা জোভান এবং পড়শীকে একসাথে দেখে বাসায় বলে দেয়। জোভান পড়শীকে নিয়ে জোভানের বাসায় যায় এবং সবাইকে মিথ্যে বলে। তারা বলে যে তারা স্বামী স্ত্রী। কিন্তু তারা কিন্তু বিয়ে করেনি। জোভানের বাসার সবাই পড়শীকে খুব আপন করে নেয়। পড়শীও জোভানকে এবং তার পরিবারকে ভালোবেসে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। তবে জোভান পড়শীর জন্য ফটোগ্রাফির প্রতি মনোযোগ দিতে পারে না বিধায়, পড়শীর বাসায় ফিরিয়ে দিয়ে আসে। এতে করে পড়শী খুব কষ্ট পায়।
পরবর্তীতে জোভান ভালো ফটোগ্রাফি করার মাধ্যমে জাতীয় পুরষ্কার পায়। তবে জোভান পড়শীকে অনেক মিস করা শুরু করে। তাদের বাসায় যাওয়ার পর জোভান দেখে পড়শীর বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে বাসায়। তারপর জোভান পড়শীর কাছে সবকিছুর জন্য মাফ চায়। কিন্তু পড়শী জোভানকে ফিরিয়ে দেয়। তারপর কিছুক্ষণ পর পড়শী বাসা থেকে পালিয়ে জোভানের কাছে চলে যায়। যার সাথে পড়শীর বিয়ে ঠিক হয়, সেই লোক কয়েকজন মাস্তান নিয়ে জোভান এবং পড়শীকে নির্মমভাবে গুলি করে। এরপর কি হয়েছে তা দেখতে হলে আপনাদেরকে নাটকটি দেখতে হবে। আশা করি আপনারা অবশ্যই নাটকটি দেখে নিবেন।
উপরের সবগুলো ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
পড়শীর মতো এমন অনেক মেয়ে আছে, যারা মা বাবার মনে কষ্ট দিয়ে বয়ফ্রেন্ডের কথায় বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তারপর বয়ফ্রেন্ডের কাছ থেকে প্রতারণার শিকার হয়। তাই সবার উচিত নিজের পরিবারকে ভালোভাবে বুঝিয়ে, পরিবারকে সাথে নিয়ে সবকিছু করা। আর পরিবার যদি একান্তই না মানে এবং ভালোবাসার মানুষ যদি খুব বিশ্বস্ত হয়, তাহলে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। অপরদিকে জোভান তার ক্যারিয়ারের জন্য পড়শীকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে ভীষণ কষ্ট দেয়। যেটা জোভানের মোটেই উচিত হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে সে তার ভুল বুঝতে পারে। তাই ক্যারিয়ার এবং পরিবার, সবকিছু একসাথে ম্যানেজ করে চলা উচিত। ক্যারিয়ারের জন্য পরিবার বা ভালোবাসার মানুষকে ত্যাগ করা যাবে না। তাহলে পরবর্তীতে পস্তাতে হয়। জোভানের অভিনয় আমার কাছে এককথায় দুর্দান্ত লেগেছে। তবে আমার মনে হয় পড়শীর অভিনয়ে কিছুটা খুঁত রয়েছে। হয়তোবা সেটা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। সবমিলিয়ে নাটকটি বেশ ভালো লেগেছে। তবে শেষের দিকটা ব্যতিক্রম হয়েছে। সেটা আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন।
আমার রেটিং
এই নাটকটিকে আমি ৮/১০ দিলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২১.৫.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি আজকে যে নাটকটার রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ওই নাটকটা এখনো পর্যন্ত আমার দেখা হয়নি। এই নাটকটা দুই মাস আগে রিলিজ হয়েছিল। ভাবছি সময় পেলে নাটকটা দেখে নেব কারণ নাটকটির রিভিউ পড়ে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে সম্পূর্ণ নাটকটির রিভিউ তুলে ধরেছেন। সময় করে এই নাটকটি দেখতে হবে।
সময় পেলে নাটকটি অবশ্যই দেখে নিবেন আপু। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালোবাসার তিন দিন এই নাটকটি দেখেছিলাম। জোভান আর পরসির অভিনয় অনেক ভালো লেগেছে। ভাইয়া আপনার চমৎকার রিভিউ দেখে আবার ও ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
এই নাটকটি আপনি দেখেছিলেন জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালোবাসা তিন দিন এই নাটকটি আমি অনেকদিন আগেই দেখেছি ভাইয়া। জোভান এবং পড়শীর অভিনয় আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নাটকটি শুরু থেকে অনেক ভালো লাগলেও শেষের দিকে একটু খারাপ লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে নতুন একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে দেওয়ার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু নাটকের শেষের দিকটা একটু খারাপ লেগেছে। নাটকটি আপনি দেখেছেন, জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া ভালোবাসার তিনদিন নাটকটির রিভিউটা খুব দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন, পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনি আপনার রিভিউতে নাটকের অভিনেতা অভিনেত্রীদের উভয়েরই ভালো মন্দটা তুলে ধরেছেন। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন বাবা মাকে কষ্ট দেওয়া সন্তানের উচিত না। আমি মনে করি বিশ্বাস ও আস্থা থাকলে সবকিছু বাবা-মাকে সুন্দরভাবে খুলে বলে একটি সমঝোতার মাধ্যমে জীবনের এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। অবশ্যই সময় সুযোগ করে এক সময় নাটকটি দেখে নিব, নিশ্চয়ই অনেক ভালো লাগবে দেখতে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
আমার সাথে একমত পোষণ করার জন্য এবং সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।