ভ্রমণ পোস্ট || আহসান মঞ্জিল এবং জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণ (প্রথম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা অনেকেই জানেন যে আমি ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। সময় এবং সুযোগ হলেই ঘুরতে বের হয়ে যাই বিভিন্ন জায়গায়। সেটা বন্ধু বান্ধবদের সাথে হোক,কিংবা পরিবারের সাথে হোক। ঈদের আমেজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। কারণ আমি মনে করি ঈদের আমেজ সাতদিন থাকে। যাইহোক আমি এবং আমার ওয়াইফ ঈদের পঞ্চম দিন আহসান মঞ্জিল এবং জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণের প্ল্যান করি। এর আগে ইসলামপুর এবং শাহবাগ অনেক বার গিয়েছি। তবে আহসান মঞ্জিল এবং জাতীয় জাদুঘরের ভিতরে কখনো প্রবেশ করা হয়নি। আহসান মঞ্জিল বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। আমরা বেলা ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হই আহসান মঞ্জিল এর উদ্দেশ্যে।
সেখানে যেতে প্রায় ৫০ মিনিটের মতো সময় লাগে আমাদের। প্রথমেই কাউন্টার থেকে ৮০ টাকা দিয়ে দুটি প্রবেশ টিকেট কিনলাম। তারপর ভিতরে প্রবেশ করলাম। প্রচন্ড রোদ ছিলো সেদিন। আশেপাশে একটু হাঁটাহাটি করলাম এবং কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। মানুষের ভিড় ছিলো মোটামুটি। এরপর আমরা আহসান মঞ্জিলের জাদুঘরের ভিতরে ঢুকলাম। কারণ এতো রোদের মধ্যে বাহিরে হাঁটা যাচ্ছিলো না। আপনারা অনেকেই জানেন যে আহসান মঞ্জিলের ভিতরের জাদুঘরটি একসময় নবাবদের আবাসিক প্রাসাদ ছিলো। আমি দেখেছিলাম টিভিতে কয়েকটি মুভি এবং নাটকের শ্যুটিং করা হয়েছিল এটার ভিতরে। সেই হিসেবে আমার পূর্ব ধারণা ছিলো কিছুটা। যাইহোক প্রথমে ঢুকেই মনিটরে দেখতে পেলাম আহসান মঞ্জিল এর ফটোগ্রাফি এবং নির্মাতাসহ নবাবদের ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
এরপর নবাবদের ব্যবহার করা বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দেখতে পেলাম। বিশাল ডাইনিং রুমে অনেক বড় ডাইনিং টেবিল এবং বিভিন্ন ধরনের কাঁচের জিনিসপত্র দেখলাম ডাইনিং টেবিলের উপর রাখা। এগুলো দেখেই বুঝা যায় তারা সত্যিই বিলাসবহুল জীবন কাটিয়েছেন। অল্প একটু সামনে যেতেই দেখলাম বিলিয়ার্ড টেবিল। আমার তো ভিতরে ঢুকে বিলিয়ার্ড খেলতে ইচ্ছে করছিলো। তারপর দেখলাম দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি। ডাক্তারি সরঞ্জামাদি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। এরপর ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম আরো অনেক কিছু। অবসর সময় কাটানোর জন্য প্রাসাদের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থাও ছিলো। যাইহোক আজকে এই পর্যন্তই। আগামী পর্বে আরো অনেক কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।
পোস্টের বিবরণ
| ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
| ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
| তারিখ | ২.৫.২০২৩ |
| লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
























Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আহসান মঞ্জিল এবং জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন জেনে খুশি হলাম। চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সাথে চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। যদিও আমি কখনো যাইনি। তবে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। ঘুরাঘুরি করে আমাদের খুব ভালো লেগেছে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমিও বেশ কিছুদিন আগে আহসান মঞ্জিল এ ঘুরতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন ভালোভাবে ছবি তুলতে পারিনি। ভিতরে তো ঠিকমতো ছবি তুলতে দেয় না বাধা দেয়। আপনি তো ভালো ভাবেই ছবি তুলেছেন ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ভিতরে ছবি তুলতে বাধা দেয়। অনেক কষ্টে এবং কিছু টেকনিক ফলো করে আমি অনেক ছবি তুলেছি। যদিও কয়েকবার নিষেধ করেছিলো। যাইহোক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি এবং ভাবী ঈদের পঞ্চম দিনে ঘুরতে গিয়েছিলেন আহসান মঞ্জিলে।এটির নাম শুনেছি বই এ পড়েছি,আর কয়েকটি ফটো দেখেছিলাম আগে।আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেকটা দেখে নিলাম জাদুঘরের।জায়গাটি আসলেই অনেক সুন্দর।বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এটি অবস্থিত।আপনাদের যেতে ৫০ মিনিট লেগেছিল মাত্র।তাহলে এটি আপনাদের বাসার নিকটেই বলা যায়।আহসান মঞ্জিলের জাদুঘর থেকে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছেন,যেখানে নবাবদের ব্যবহার করা জিনিসপত্র রয়েছে।ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু জায়গাটি অনেক সুন্দর। আপনার কাছে পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্ব শীঘ্রই শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।
এত সুন্দর একটি স্থান দর্শন করে আজ আপনি আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি করে তুলে ধরেছেন এবং সেই সমস্ত বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন। খুব সুন্দরভাবে সবকিছু উপস্থাপন করেছেন এবং দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। খুব ভালো লাগলো তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার কাছ থেকে এতো সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। আপনার কাছে পোস্টটি খুব ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আহসান মঞ্জিল যাব যাব করে আজ পর্যন্ত যেতে পারি নি। পোস্ট টা দেখার সময় ভীষণ আফসোস হচ্ছিল তাই। তবে ভালোই লাগছিল ছবি গুলোর সাথে আপনার লেখা গুলো পড়তে। আর সত্যি বলতে যাওয়ার আগ্রহ টা বেড়ে গেল আরো। জাদুঘরের ভেতর টাও বেশ ভালো লাগলো।
আমি এর আগে কয়েকবার ঐদিকে গিয়েছিলাম। তবে সময়ের অভাবে কখনো প্রবেশ করা হয়নি। যাইহোক অবশ্যই একদিন গিয়ে ঘুরে আসবেন ভাইয়া। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।