লাইফস্টাইল পোস্ট || গরম গরম চিতই পিঠা দিয়ে ঝাল ঝাল হাঁসের মাংস খাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। শীতকালে চারিদিকে খাওয়ার ধুম পড়ে যায় এবং বিভিন্ন জায়গায় মানুষজন ঘুরতে যায়। সেজন্য পুরো শীতকালটা আমার কাছে উৎসবের মতো মনে হয়। শীতের তীব্রতা বাড়ুক কিংবা কমুক, আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার চেষ্টা করছি। যাইহোক শীতকালে হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা। কোরিয়াতে থাকা অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে হাঁসের মাংস খেতাম। কারণ সেখানে প্রচন্ড শীত পড়ে। যদিও তারা বিভিন্ন ভাবে হাঁসের মাংসের রেসিপি তৈরি করে খেয়ে থাকে। যাইহোক এই সিজনে বেশ কয়েকবার হাঁস কিনে আনিয়েছিলাম একজনের মাধ্যমে। তবে হাঁসের মাংস দিয়ে চিতই পিঠা এই সিজনে খাওয়া হয়নি আমার। তো কয়েকদিন আগে একজনের মাধ্যমে বড় সাইজের একটি চীনা হাঁস কিনে আনিয়েছিলাম।
হাঁসের ওজন হয়েছিল ২.২৫ কেজির উপরে। চীনা হাঁস গুলোর কালার খুব সুন্দর এবং দেখতেও খুব কিউট লাগে। যাইহোক আমার ওয়াইফকে সন্ধ্যার সময় বললাম, চীনা হাঁসটি ভালোভাবে কেটে ঝাল ঝাল করে রান্না করতে। আর এদিকে আমার ওয়াইফ তার মা'কে, মানে আমার শ্বাশুড়িকে ফোন দিয়ে বলেছে বাসা থেকে চিতই পিঠা তৈরির সাঁজ নিয়ে আসতে আমাদের বাসায়। কারণ আমার ওয়াইফ চিতই পিঠা তৈরি করতে পারে না এবং আমাদের বাসায় চিতই পিঠা তৈরি করার সাঁজ ও নেই। তবে আমাদের বাসায় চালের গুঁড়া ছিলো। আমার শ্বাশুড়ি বলেছিল সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সাঁজ নিয়ে আমাদের বাসায় এসে চিতই পিঠা তৈরি করে দিবে। এদিকে আমার ওয়াইফ হাঁসের মাংস রান্না করছে এবং আমি কমিউনিটির কাজ করছিলাম। এদিকে ৭ টা বাজতে চললো কিন্তু আমার শ্বাশুড়ির আসার কোনো খবর নেই।
তারপর বাসায় ফোন দিয়ে জানতে পারলাম আমার ছোট চাচাতো শ্যালিকা লাফালাফি করতে গিয়ে পড়ে গিয়েছে এবং হাতে প্রচন্ড ব্যথা পেয়েছে। তাই আসতে দেরি হচ্ছে। তখন আমি বললাম তাহলে আজকে না আসার জন্য। কারণ আমার সেই চাচাতো শ্যালিকা আমার শ্বাশুড়ির ভক্ত। সারাদিন এবং রাতের বেশিরভাগ সময় আমার শ্বাশুড়ির সাথেই থাকে। যদিও তবুও আমার শ্বাশুড়ি আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আমি বুঝিয়ে বলার পর আমার কথা বুঝতে পারেন। এদিকে আমার ওয়াইফ এর হাঁসের মাংস রান্না করা প্রায় শেষ পর্যায়ে। তখন আমি আমার ওয়াইফকে বললাম, যেহেতু হাঁসের মাংস রান্না হয়ে যাচ্ছে, তাহলে আমি দোকান থেকেই চিতই পিঠা কিনে নিয়ে আসি। কারণ এছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না তখন। আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে একটি দোকান রয়েছে। সেখানে চিতই পিঠা বেশ ভালোই বানানো হয়।
তবে বাসায় তৈরি করা চিতই পিঠা খেতে আরও বেশি সুস্বাদু। সেটা ভেবেই বাসায় চিতই পিঠা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যাইহোক নিরুপায় হয়ে আমি চিতই পিঠার দোকানে গিয়ে ১০ টি চিতই পিঠা অর্ডার দিলাম। মোটামুটি ১০/১৫ মিনিট আশেপাশে হাঁটাহাঁটি করার পর, আমার অর্ডার করা পিঠাগুলো তৈরি করা হয়ে গেল। তারপর পিঠাগুলো বাসায় নিয়ে আসলাম এবং আমার ওয়াইফ হাঁসের মাংস, পিঠা,সালাদ সবকিছু আমাদের সামনে পরিবেশন করলো। তারপর আমি, আমার আব্বু এবং আমার ওয়াইফ তিনজন মিলে বেশ তৃপ্তি সহকারে খেলাম। গরম গরম পিঠা এবং ঝাল ঝাল হাঁসের মাংস খেতে খুবই ইয়াম্মি লেগেছিল। সবমিলিয়ে আমরা এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২১.১.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
শীতের সময় চিতই পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা আর এভাবে হাঁসের মাংস এবং সালাদ দিয়ে খেলে তো বেশ আরো ভালো লাগে। সবগুলো খাবার বেশ লোভনীয় লাগছে দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। তবে অনেকদিন চিতই পিঠা হাঁসের মাংস দিয়ে খাওয়া হয়নি। আপনার পিঠা খাওয়ার অনুভূতি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আমার অনুভূতি পড়ে আপনার খুব ভালো লেগেছে, জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
X-promotion
আপনি বলেন এতো লোভনীয় হাঁসের মাংসের ও চিতই পিঠার ফটোগ্রাফি করে লোভ দেখানো কি ঠিক।আপনার ঝাল ঝাল চিনা হাঁসের মাংস কি যে লোভনীয় লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না।আমাদের এলাকায় এই হাঁসের নাম চিল হাঁস।খুব সুস্বাদু হয় এই মাংস খেতে।আপনার শ্বাশুড়ি অকাঙ্খিত দূর্ঘটনার জন্য আসতে দেরি হয়েছে বলে নিষেধ করে ভালো করেছেন কারণ যেহেতু আপনার চাচাতো শ্যালিকা ওনার ভক্ত আর এমত অবস্থায় ওকে ছেরে আসলে মানসিক ভাবেও কষ্ট পেতো।খুব ভালো করেছেন চিতই পিঠা কিনে এনে হাঁসের মাংস খেয়েছেন।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের মাধ্যমে হাঁসের মাংস খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু চীনা হাঁসের মাংস খেতে দারুণ লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হাঁসের মাংস ভুনা আমারও খুব প্রিয়।
চিতুই পিঠার সাথে খেতে সত্যি অনেক মজাদার হয় যা আপনার পোষ্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম।
যে তুই পিঠা দিয়ে মুরগির মাংস খেয়েছি খুব মজা লাগে তবে হাঁসের মাংসের অনুভূতিটা জানেও খুব ভালো লাগলো।
লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দেখেই জিভে জল চলে এলো খেতে খুব মজা হবে নিশ্চয়ই।
হাঁসের মাংস দিয়ে চিতই পিঠা খেতে সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু লাগে। ভাই কমেন্টের মধ্যে অনেক বানান ভুল রয়েছে। আশা করি ঠিক করে নিবেন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনার সাথে আমিও একমত শীতের তীব্রতা বাড়ুক কিংবা কমুক আমিও সবসময় উপভোগ করতে পছন্দ করি। তাই তো শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেও দেশের এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে ঘোরাঘুরি শুরু করেছি। আমিও যখন কিছুদিন আগে শ্বশুর বাড়ি গিয়েছি তখন চিতই পিঠা দিয়ে হাঁসের মাংস খেয়েছি তবে তা ছিল রাজহাঁস ছিল। আপনার এমন মজাদার রেসিপি দেখে তো আবারও খেতে ইচ্ছে করছে। বাহ আপনার ওয়াইফ তো খুব ভালো রান্না করতে পারে। ধন্যবাদ চিতই পিঠা দিয়ে চিনা হাঁসের মাংস খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
রাজহাঁসের মাংস খেতেও দারুণ লাগে। আমি গত বছর খেয়েছিলাম। হ্যাঁ আপু আমার ওয়াইফ মোটামুটি ভালোই রান্না করতে পারে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গরম গরম চিতই পিঠা শীতের সময় খেতে এমনিতেই ভালো লাগে। আর যদি হয় হাঁসের মাংস দিয়ে তাহলে তো কোন কথাই নেই। বেচারা হাঁসটাকে কতই না কিউট লাগতেছে দেখতে। তবে খেতে তো হবেই। ঝাল ঝাল হাঁসের মাংস খুব মজা করে খাওয়া হয়েছে বুঝতেই পারতেছি। ধন্যবাদ আপনাদের খাওয়ার মুহূর্তটা সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। চিতই পিঠাগুলো এবং হাঁসের মাংস দেখেই জিভে জল চলে এসেছে একেবারে।
হাঁসটি সামনাসামনি দেখতে আরও বেশি কিউট লেগেছিল ভাই। যাইহোক পোস্টটি পড়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
একদিকে চিতই পিঠার কালার এবং হাঁসের মাংসের রান্নার কালার দেখে কিন্তু লোভ সামলানো যাচ্ছে না। যেহেতু আপনার শাশুড়ি আসতে পারল না তাই আপনি দোকান থেকে কিনে আনলেন। বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর খুব মজার করে খাওয়া দাওয়া করলেন। হয়তো খাওয়ার সময় একটু দাওয়াত দিতে পারতেন আমাদেরকে। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল আপনাদের।
আপু দাওয়াত রইল,যেকোনো সময় চলে আসবেন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।