স্পোর্টস পোস্ট || বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে শ্রীলংকার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আবারো স্পোর্টস বিষয়ক একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ পছন্দ। তাই চেষ্টা করি সবসময় ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে। আপনারা অনেকেই জানেন যে,বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা দলের টি-২০ সিরিজ গত পরশুদিন শেষ হয়েছে। যাইহোক গত পরশুদিন তৃতীয় অর্থাৎ এই সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। টস জিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক শান্ত ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। শ্রীলংকান দুই ওপেনার ডি সিলভা এবং কুশাল মেন্ডিস ব্যাট করতে নামে। প্রথমে শ্রীলংকা ততোটা রান পাচ্ছিলো না। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ১৮ রানের মাথায় ডি সিলভা বিদায় নেয় ব্যক্তিগত ৮ রান করে। এরপর কামিন্দু মেন্ডিস ব্যাট করতে নামে।
স্ক্রিনশট - উইলো এক্সট্রা টিভি
কিন্তু ইনিংসের ৮ম ওভারে ৫২ রানের মাথায় কামিন্দু মেন্ডিস আউট হয়ে যায়। বাংলাদেশ দলের বোলাররা বেশ ভালোই চাপে রেখেছিল শ্রীলংকান ব্যাটসম্যানদের। কারণ রান রেট একেবারে নিয়ন্ত্রণে ছিলো। কুশাল মেন্ডিস মেরে খেলার চেষ্টা করলেও সেভাবে সক্ষম হচ্ছিলো না। যাইহোক এরপর হাসারাঙ্গা এবং কুশাল মেন্ডিস ছোটখাটো একটি জুটি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। এই জুটির উপর ভিত্তি করে শ্রীলংকা দলের রান রেট বাড়তে থাকে। যদিও একমাত্র কুশাল মেন্ডিস রান পাচ্ছিলো বেশি। ইনিংসের ১৩ তম ওভারে ১১১/৩ রানের মাথায় হাসারাঙ্গা আউট হয়ে যাওয়ার পর, আসালাঙ্কা ব্যাট করতে নামে। কিন্তু আসালাঙ্কা দ্রুত আউট হয়ে যায়। মোটকথা কুশাল মেন্ডিস একাই দলের স্কোর বড় করতে থাকে। কিন্তু ইনিংসের ১৭ তম ওভারে ১৪০/৫ রানের মাথায়, কুশাল মেন্ডিস মাত্র ৫৫ বল মোকাবেলা করে ব্যক্তিগত ৮৬ রান করে আউট হয়ে যায়।
স্ক্রিনশট - উইলো এক্সট্রা টিভি
এরপর ম্যাথিউস এবং শানাকা দলের স্কোর কিছুটা বড় করতে সক্ষম হয়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৪/৭ রান করতে সক্ষম হয় শ্রীলংকা। বাংলাদেশের ২/১ জন বোলার ছাড়া মোটামুটি সবাই ভালো বোলিং করেছে। তবে তাসকিন এবং রিশাদ দুটি করে উইকেট তুলে নেয়। যাইহোক ১৭৫ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দলের প্রথম সারির ৬ জন ব্যাটসম্যান একেবারে বাজে ব্যাটিং করে। ইনিংসের ৯ম ওভারে মাত্র ৩২ রানের মাথায় ৬ উইকেট হারিয়ে, একেবারে দিশেহারা হয়ে যায় বাংলাদেশ দল। শ্রীলংকান পেসার নুয়ান থুশারার বল তারা খেলতেই পারছিলো না। থুশারা শান্ত, তাওহীদ হৃদয় এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে পরপর তিনটি ডেলিভারিতে আউট করে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হ্যাটট্রিক করাটা খুব কঠিন। যাইহোক এরপর শেখ মাহেদী,রিশাদ এবং তাসকিন ভালো ব্যাট করে। মোটকথা বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার এবং শেষের সারির ব্যাটসম্যানরা তুলনামূলক ভাবে ভালো ব্যাট করে।
স্ক্রিনশট - উইলো এক্সট্রা টিভি
রিশাদ এবং তাসকিন সবচেয়ে ভালো ব্যাট করে। রিশাদ মাত্র ৩০ বল মোকাবেলা করে সাতটি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ রান করতে সক্ষম হয়। তাছাড়া তাসকিন ২১ বল মোকাবেলা করে তিনটি চার এবং দুটি ছক্কার সাহায্যে ৩১ রান করে। তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন চলে আসে প্রথম সারির ৬ জন ব্যাটসম্যান কিভাবে ব্যর্থ হয়। যাইহোক বাংলাদেশ দল তাদের ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতেই ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। এতে করে শ্রীলংকা ২৮ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করে। এই ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে শ্রীলংকা ২-১ এর ব্যবধানে এই সিরিজটি জয়লাভ করলো। বাংলাদেশ দলের প্রথম সারির ২/১ জন ব্যাটসম্যান ভালো ব্যাট করতে পারলে হয়তোবা এই ম্যাচটি জিততে পারতো। যাইহোক সেরা বোলিং এর জন্য থুশারা ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয় এবং পুরো সিরিজে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য কুশাল মেন্ডিস ম্যান অফ দ্যা সিরিজ নির্বাচিত হয়।
স্ক্রিনশট - উইলো এক্সট্রা টিভি
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | স্পোর্টস |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১১.৩.২০২৪ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শ্রীলংকা যে টার্গেট দিয়েছিল আশা করেছিলাম বাংলাদেশ জিতে যাবে । কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ম্যাচটি হারতে হয়েছে। তাছাড়া নতুন পেলেয়ার হিসেবে রিশাদ অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। সত্যি নতুন যারা দলে যোগ দিচ্ছে তারা সবাই ভালো খেলছে। এটাই বড় প্রাপ্তি সিরিজ জিতলে আরো ভালো লাগতো।
রিশাদ এবং তাসকিন এতো ভালো ব্যাটিং করলো,আর প্রথম সারির ৬ জন এতো বাজে ব্যাটিং করলো। ম্যাচটি দেখে আসলেই অবাক হয়েছিলাম। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের চরম ব্যাটিং বিপর্যয় দেখে সত্যি আমি হতবাক হয়েছিলাম। বিশেষ করে শ্রীলংকার নতুন বোলার থুশারার বলে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের অসহায় আত্মসমর্পণ আমাদের সবাইকে হতবাক করেছিল।
থুশারার বল খেলতে না পারলে তারা ডিফেন্স করতো,তাহলেই তো হতো। টার্গেট তো খুব বেশি বড় ছিলো না। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই এই ম্যাচের রিভিউ টা না দিলেও পারতেন, মানে দ্বিতীয় ইনিংস খেলা দেখার সময় যখনই দেখলাম বাংলাদেশের এই অবস্থা তারপরে আর খেলাই দেখিনি। আপনার পোস্ট দেখে জানতে পারলাম ১৪৬ রানে বাংলাদেশের অল আউট হয়েছিল।
পরবর্তীতে রিশাদ এবং তাসকিন ভালো ব্যাটিং করেছিল বলেই,এই ম্যাচের রিভিউ শেয়ার করলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাংলাদেশ যে এভাবে শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হেরে যাবে তা ভাবতেই পেরেছিলাম না। আসলে শ্রীলংকার খেলোয়াড়েরা অনেক সুন্দর খেলা করেছে যার কারণে তারা জয় লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের আরো বেশি পরিমাণে প্র্যাকটিসের প্রয়োজন।
ভাই বিপিএল শেষ হওয়ার পর এমন পারফরম্যান্স, বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে একেবারেই আশা করিনি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।