ফটোগ্রাফি পোস্ট || 📸 সোনারগাঁও জাদুঘরের ভিতর থেকে ক্যাপচার করা সাতটি ফটোগ্রাফি 📸
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো। অনেক দিন ধরে ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। তাই ভাবলাম আজকে ভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। মাস দুয়েক আগে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে সোনারগাঁও জাদুঘরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। কারণ তখন এক মাস ব্যাপী মেলা চলছিলো সেখানে। তো মেলায় ঘুরাঘুরি করার আগে, জাদুঘরে প্রবেশ করেছিলাম। কারণ জাদুঘরে ঘুরাঘুরি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। পুরনো দিনের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্রের নিদর্শন দেখা যায়। যাইহোক আমি সোনারগাঁও জাদুঘরের ভিতর থেকে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। তার মধ্য থেকে আজকে সাতটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। আপনারা অনেকেই জানেন যে ,ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
📸১নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, কয়েকজন মানুষ মাটি দিয়ে কতো সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র তৈরি করছে। এই ধরনের জিনিসপত্র আগে প্রচুর তৈরি করা হতো। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গার মেলায় গেলে মাটির তৈরি এই জিনিসপত্র গুলো অনেক বেশি দেখা যেতো। কিন্তু হস্তশিল্প আমাদের মাঝ থেকে দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে।
📸২নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, অনেকেই মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করছে। বটগাছের নিচে ও আশেপাশে অনেক গুলো দোকান রয়েছে এবং সেই দোকানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি করছে। এক ধরনের মেলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মেলার দোকানগুলো আগে কতোটা সাধারণ ভাবে তৈরি করা হতো। বর্তমান যুগের সাথে আকাশ পাতাল পার্থক্য।
📸৩নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সুতা থেকে কাপড় তৈরি করছে। আবার দোকানে শাড়ি বিক্রি করছে দোকানদারেরা। জীবিকার তাগিদে অনেক কিছুই করতে হয় আমাদেরকে। গ্রামটি দেখতে আসলেই খুব সুন্দর। এখনও সোনারগাঁওয়ে জামদানী শাড়ি তৈরি করে বিক্রি করা হয়ে থাকে।
📸৪নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে মহিষের গাড়ি। আগের দিনে যানবাহন ছিলো না বলে,মানুষ এখানে সেখানে যাতায়াতের জন্য এই ধরনের গাড়ি ব্যবহার করতো। আবার অনেকে পায়ে হেঁটে অনেক দূর চলে যেতো। হেঁটে হেঁটে অনেক দূর দূরান্তে গিয়ে পড়াশোনা করতো। আর আধুনিক যুগে আমরা কতো ধরনের যানবাহন ব্যবহার করে থাকি।
📸৫নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে কাঠের তৈরি একটি ঘর। ঘরটি দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লাগছে। বেশ কয়েকবছর আগে, আমি আমার এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম বরিশালে। তখন সেখানে কাঠের তৈরি এই ধরনের ঘর দেখেছিলাম অনেক। দোতলা বিশিষ্ট কাঠের তৈরি ঘর প্রচুর দেখেছিলাম। আমি যখন দোতলায় উঠেছিলাম,তখন ভয় ভয় লেগেছিল মনের মধ্যে। বারবার মনে হয়েছিল যদি ভেঙ্গে যায় 😂।
📸৬নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিতে আমরা মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের শোপিস দেখতে পাচ্ছি। মাটি দিয়ে কতো সুন্দরভাবে পুতুল, বক,হাঁস এবং ঘোড়া তৈরি করেছে। এই ধরনের জিনিসপত্র প্রায় বিলুপ্ত। ছোটবেলায় মেলা থেকে এসব জিনিসপত্র কিনে, বাসায় সাজিয়ে রাখতাম। কতো নিখুঁতভাবে সবকিছু তৈরি করার পর রং করেছে। দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লাগছে।
📸৭নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে নকশীকাঁথা। নকশীকাঁথা আমার খুব পছন্দ। সোনারগাঁও জাদুঘরে খুব সুন্দর সুন্দর নকশীকাঁথা পাওয়া যায়। আমরা সেদিন মেলা থেকে খুব সুন্দর একটি নকশীকাঁথা কিনেছিলাম। তবে মেলা ছাড়াও সারা বছর সেখানে নকশীকাঁথা পাওয়া যায়। জাদুঘরের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের নকশীকাঁথার নিদর্শন ছিলো।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৫.৩.২০২৪ |
লোকেশন | সোনারগাঁও,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
সোনারগাঁও জাদুঘরে গিয়ে দারুন সময় উপভোগ করেছেন। তার পাশাপাশি গ্রামীণ ঐতিহ্য যেটা জাদুঘরে সংরক্ষিত স্মৃতি বিজড়িত সেই অতীতের দৃশ্য আপনি খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন। হয়তো সময়ের সাথে সাথে গ্রামীন পরিবেশ পাল্টে গিয়েছে কিন্তু জাদুঘরে সেই স্মৃতিচারণ গুলো দেখলে অনেক ভালো লাগে। আপনি উপভোগ করছেন আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করবেন ভালো লাগলো।
সময়ের সাথে সাথে গ্রামীণ পরিবেশ একেবারেই পাল্টে গিয়েছে ভাই। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সোনারগাঁও জাদুঘরে গিয়ে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। আমি ছোটবেলায় গিয়েছিলাম জাদুঘরে তারপর আর যাওয়া হয়নি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি ছোটবেলায় সোনারগাঁও জাদুঘরে গিয়েছিলেন,জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সোনারগাঁও জাদুঘর গিয়ে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির জাস্ট অসাধারণ ছিল। এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বহু বছর আগে গ্রাম বাংলার মানুষ এভাবে জীবন যাপন অতিবাহিত করতো। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ফটোগ্রাফি সম্পর্কে সুন্দর আলোচনা করেছেন যা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন,জেনে ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম ভাই। যাইহোক এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সোনারগাঁও জাদুঘরের নাম অনেক শুনেছি।আজ আপনার মাধ্যমে কিছু দারুণ দারুণ ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো।আসলে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি যেন আলাদা জীবনের গল্প কিংবা চরিত্রের কাহিনী তুলে ধরে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা আপু। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাহ আপনি অনেক সুন্দর করে সোনারগাঁ জাদুঘর থেকে চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লাগলো আমার কাছে। তবে আগের মানুষগুলো এরকম ছিল এবং তাদের আসবাবপত্র এবং চলাফেরা। সোনারগাঁ জাদুঘরের থেকে ভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জাদুঘরে গেলে পুরনো ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গত বছর আমাদের অফিস থেকে পিকনিকে সোনারগাঁও জাদুঘর গেছিলাম। সেখানে এই চিত্র গুলো দেখেছিলাম। অনেক পুরাতন ঐতিহ্য সেখানে রয়েছে। আমি উপরে নিচে সব কিছুই ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম। ভালোই লেগেছে। ধন্যবাদ।
এই চিত্রগুলো ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। তবুও যেনো ভালোই লাগে দেখতে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সোনারগাঁও জাদুঘর সামনে থেকে দেখার এখনো সুযোগ হয় নাই আমার। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে সোনারগাঁও জাদুঘরের চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। পুরনো সংস্কৃতির ফটোগ্রাফি গুলো সামনে থেকে দেখা আলাদা একটা মজা আছে। সবগুলো ফটোগ্রাফে অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সময় এবং সুযোগ হলে অবশ্যই সোনারগাঁও জাদুঘর ভ্রমণ করবেন ভাই। আশা করি বেশ উপভোগ করবেন। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।