লাইফস্টাইল পোস্ট || প্রথম বিবাহবার্ষিকী পালন করার অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি(১ম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা অনেকেই জানেন যে, ২১শে জুলাই আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী বা ম্যারিজ ডে ছিলো। বিবাহবার্ষিকীর কিছুদিন আগে আমার ওয়াইফ বলছিল যেহেতু প্রথম বিবাহবার্ষিকী, তাহলে আমরা সেই দিনটাকে স্বরণীয় করে রাখব। তার প্ল্যান হচ্ছে বাসায় একটি ছোটখাটো অনুষ্ঠান করার। আমারও ইচ্ছে ছিলো তবে বাসায় কনস্ট্রাকশন এর কাজ চলছে বিধায়, আমি ভেবেছিলাম অনুষ্ঠান করবো না। উপরের দুই ফ্ল্যাটের মধ্যে একটি ফ্ল্যাট এর কাজ প্রায় শেষের দিকে ছিলো। তবে অন্য ফ্ল্যাট এর কাজ এখনো কিছুটা বাকি। মূলত অন্য ফ্ল্যাটটি ভাড়া দেওয়ার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে এবং আমি যে ফ্ল্যাটে শিফট হবো,সেই ফ্ল্যাটের কাজ শেষ পর্যায়ে। যেহেতু ২১শে জুলাই শুক্রবার ছিলো,তারমানে ২০শে জুলাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমাকে উপরের ফ্ল্যাটে শিফট হতে হবে। কারণ অনেক আত্মীয় স্বজন বাসায় আসবে। এমনিতে ফ্ল্যাটের সব কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল,তবে মেইন দরজা ফিটিং এবং সিঁড়ির রেলিং এর কাজ বাকি ছিলো।
তাই ২০শে জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল সকাল লোক আসতে বলছিলাম। দরজা ফিটিং এর লোক এবং সিঁড়ির রেলিং এর লোক। সকাল ৯টার দিকে দরজা ফিটিং এর লোক আসার পর কাজ শুরু করলো এবং সিঁড়ির রেলিং এর কাজের লোকজনও কিছুক্ষণ পরে চলে আসলো। দুটি দরজা ফিটিং এবং ৬টি দরজার চৌকাঠ ভার্নিশ করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। সিঁড়ির রেলিং এর কাজ সন্ধ্যার সময় শেষ হয়েছিল। এদিকে বাসার লোকজন রুম গোছানোর কাজে ব্যস্ত ছিলো। হুজুরকে বললাম রাত নয়টার পর বাসায় এসে মিলাদ পড়াতে। কারণ যেহেতু উপরের ফ্ল্যাটে উঠবো, তাই মিলাদ পড়াতেই হবে। যাইহোক আব্বুকে বলে মিলাদের জন্য মিষ্টি এনে রেখেছিলাম। তারপর বাবুর্চিকে ফোন করলাম অনুষ্ঠানের রান্নার জন্য কেনাকাটার লিস্ট দিতে। বাজারের লিস্ট এবং দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে চলে গেলাম বাজারে। ভেবেছিলাম সবকিছু কেনাকাটা করে বাসায় গিয়ে মিলাদে যোগ দিতে পারবো। কিন্তু কেনাকাটা শেষ করতে করতে প্রায় ১০ টা বেজে গিয়েছিল।
যাইহোক বাসায় এসে দেখি মিলাদ শেষ করার পর মোনাজাত ধরেছে সবাই। আমরাও মোনাজাত ধরলাম। হুজুর একটু দেরি করে এসেছিল বিধায়, শেষ পর্যন্ত মোনাজাত ধরতে পেরেছি। যাইহোক বাসায় অনেক আত্মীয় স্বজন ছিলো রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত। তারা আমাদের রুম সাজিয়ে দিয়ে গিয়েছে। সবার বাসা আশেপাশে হওয়ার কারণে তারা সবাই চলে গেল। তারপর আমরা ২টার দিকে শুয়ে পড়লাম। সকাল ৬টার এলার্ম সেট করে রাখলাম। কারণ সকালে বিরিয়ানির জন্য গোশত আনতে হবে ২৬ কেজি। তারপর চিকেন ফ্রাই এর জন্য ৪৫টা কক মুরগি আনতে যেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে বিরিয়ানির গোশত এবং কক মুরগি বাসায় নিয়ে আসলাম। তারপর ডেকোরেটর এর লোকজনদের বললাম চেয়ার টেবিল সেটআপ করতে। মূলত অন্য ফ্ল্যাটটি খালি আছে বিধায়, তিন রুমের ভিতরে ৪২ জন লোক বসার সেটিং করলাম। যেহেতু মোট ১৫০ জন মানুষের আয়োজন। বাবুর্চিকে বললাম আমার বাসার গ্যারেজে রান্না করতে। যাতে করে বৃষ্টি হলেও কোনো সমস্যা না হয়। যাইহোক এরপর কি কি হলো সেটা পরবর্তী পর্বে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৩১.৭.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter Link
ভাইয়া আপনার প্রথম বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনি এই বিবাহ বার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখার জন্য খুব জমকালো আয়োজন করেছেন। যে আপনাদের ফ্ল্যাটের কাজ চলছে তাই হয়তো কিছুটা ঝামেলা হচ্ছিল। আসলে কেনাকাটা করতে অনেক সময় লাগে চাইলেই সব মনের মত কেনাকাটা অল্প সময়ে করা যায় না। আর তাইতো আপনিই মিলাতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
হ্যাঁ আপু কেনাকাটা করতে অনেক সময় লেগেছিল বিধায়, মিলাদে যোগ দিতে পারিনি। তবে মোনাজাতের সময় উপস্থিত ছিলাম। যাইহোক শুভেচ্ছা জানানোর জন্য এবং এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথম বিবাহবার্ষিকী পালন করার অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি অসম্ভব সুন্দর ছিলো। ফ্লাটের কাজ চলছিলো জন্য একটু অসুবিধে হয়েছিলো সেটা ব্যাপার না আপনি খুবই সুন্দর আয়োজন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন, ফ্ল্যাটের কাজ চলছিল বিধায়, সবমিলিয়ে খুব ঝামেলা মনে হয়েছিল। তবুও সবকিছু ঠিকঠাক মতো সম্পন্ন করতে পেরেছিলাম। সেজন্য পরবর্তীতে খুব ভালো লেগেছিল। যাইহোক সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমে জানাই বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দু'জনে ইচ্ছে অনুযায়ী দারুণ একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।সত্যি ভাইয়া এই দিনটা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।দোয়াকরি এমন দিন বারবার ফিরে আসুক আমাদের জীবনে।তবে ভাইয়া দাওয়াত পেলান না কেনো?পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
আপু সবকিছু তাড়াহুড়ার মধ্যে করতে হয়েছিল। তাই শুধু আত্মীয় স্বজন এবং বন্ধু বান্ধবদেরকে দাওয়াত দিয়েছিলাম। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনাকে এবং ভাবিকে প্রথমে প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইলো। দোয়া করি যেন সারাজীবন যেন একসাথে সুন্দর ভাবে থাকতে পারেন।আর ভাইয়া নির্মাণ কাজ এবং ফিনিশিং কাজ শেষ হতে অনেক ঝামেলা।আমি যেহুতু ইন্জিনিয়ার এটি ভালো ভাবে বুঝতে পারি। তারপরও কষ্ট করে অনুষ্ঠান করেছেন আসলে ছোট ছোট স্মৃতিগুলো সারাজীবন মনে থাকে।
ঠিক বলেছেন ভাই, ফিনিশিং কাজ শেষ করতেও অনেক ঝামেলা। ভেবেছিলাম কোরবানির ঈদের আগেই নতুন ফ্ল্যাটে শিফট হব। তবে সেটা হয়ে ওঠেনি। যাইহোক আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য এবং এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।
প্রথমে আপনারা দুইজনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল প্রথম বিবাহ বার্ষিকী পালন করলেন বেশ খুশির একটি খবর। দুইজনেরই জীবন সুখের কাটুক এবং ভবিষ্যৎ জীবন অনেক ভালো কাটুক এই প্রত্যাশা করি। বিবাহ বার্ষিকীতে তো সুন্দর করে উদযাপন করলে অনেক লোকদেরকে খাওয়া-দাওয়া করালেন আশা করি আপনাদের মঙ্গল হবে।
আপনার কাছ থেকে এতো সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো আপু। দোয়া করবেন আমাদের জন্য। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।