প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পরলে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

এই ভিডিওগ্রাফিটা আমি করেছিলাম শ্রীমঙ্গলের দার্জিলিং টিলার উপর থেকে। দার্জিলিং টিলা বর্তমানে টুরিস্টদের কাছে বেশ জনপ্রিয় একটি জায়গা। সারাদিন বেশ কয়েকটি চা বাগান ঘুরে, দুপুর ৩ টার পর দার্জিলিং টিলা দেখতে গিয়েছিলাম। আসলে চা বাগান বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ। আর দার্জিলিং টিলার চা বাগান দেখে তো একেবারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। তাছাড়া চারপাশে বিভিন্ন ধরনের গাছগাছালি রয়েছে। টিলার উপর থেকে আশেপাশের পাহাড় গুলো দেখতে যে কি ভালো লাগছিলো, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। টিলার উপরে মানুষের আনাগোনা ছিলো প্রচুর। কারণ টিলার উপরে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর গাছ ছিলো। তাছাড়া টিলার উপরের স্পেসটা অনেক বড় ছিলো।

এমনিতেই সেখানে প্রচুর মানুষ থাকে, আর আমরা তো গিয়েছিলাম ঈদের পরের দিন,তাই মানুষের ভিড় ছিলো অনেক। দার্জিলিং টিলার নিচে থেকেও একটি ভিডিওগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। সেটা পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। দার্জিলিং টিলার উপরের দৃশ্য যেমন সুন্দর, তেমনি নিচের দৃশ্যও খুব সুন্দর। শ্রীমঙ্গল টাউন থেকে দার্জিলিং টিলার দূরত্ব ১০ কিলোমিটারের মতো। তাই খুব সহজেই সেখানে যাওয়া যায়। আর আমরা তো গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম,তাই খুব সহজেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তবে দার্জিলিং টিলার দিকে যাওয়ার রাস্তাটা খুবই সরু। তাই গাড়ি আসা-যাওয়া করতে খুবই ঝামেলা হয়ে যায়। তাছাড়া সেই রাস্তায় প্রচুর ধুলাবালি উড়ে।

ভিডিওগ্রাফির পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলে ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার সবসময়ই ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করা আমার এক ধরনের শখ বলা যায়। সবমিলিয়ে সেই মুহূর্তের অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। মানুষের চিৎকার চেচামেচির সাউন্ড ছিলো, তাই আমি ব্যাকগ্রাউন্ডের অরিজিনাল সাউন্ড দূর করে গান অ্যাড করে দিয়েছি। নয়তো আপনারা হয়তোবা বিরক্ত বোধ করতেন সেই শব্দের কারণে। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।