লাইফস্টাইল পোস্ট || বন্ধু বান্ধবদের সাথে বাফেট লাঞ্চ করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। বেশ কিছুদিন আগে আমি এবং আমার চারজন বন্ধু, মোট পাঁচজন মিলে ক্রাউন রেস্টুরেন্টে ব্যুফে লাঞ্চ করতে গিয়েছিলাম। কয়েকদিন আগে আমি সেই রেস্টুরেন্টের ব্যুফে লাঞ্চ আইটেম এর ভিডিওগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক মূলত আমাদের এক বন্ধু জনি, সে দুবাই বিজনেস করে এবং সেখানে তার শোরুম রয়েছে। সে ও তার পরিবার বাংলাদেশে কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে এসেছে এবং সে আসার পর আমাদেরকে ট্রিট দিয়েছিল রেস্টুরেন্টে। তাই আমরা ভেবেছিলাম আমরাও জনিকে ট্রিট দিবো। তো আমি প্রথমে বলেছিলাম ব্যুফে লাঞ্চ করার কথা। তারপর সবাই রাজি হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক আমরা সবাই রেডি হয়ে ক্রাউন রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম দুপুর ১২.৩০ টার দিকে। কারণ দুপুর ১টা থেকে ব্যুফে লাঞ্চ শুরু এবং বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খাওয়া যায়।
আমি যাওয়ার আগে বুকিং দিয়ে গিয়েছিলাম,কারণ সিট সংখ্যা হচ্ছে ১০০ জনের। সাধারণত সিট বুকিং না দিলেও চলে,তবুও বুকিং দিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ আশেপাশে আর কোনো ভালো ব্যুফে রেস্টুরেন্ট নেই যে, কোনো সমস্যা হলে অন্য রেস্টুরেন্টে যাওয়া যাবে। যাইহোক আমরা মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই ক্রাউন রেস্টুরেন্টে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছানোর পর আমরা ক্রাউন রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম। যেহেতু আমাদের বুকিং দেওয়া ছিলো, তাই আমরা পাঁচজন আসন গ্রহণ করেছিলাম সাথে সাথে। এরপর আমরা বসে জাস্ট কয়েক মিনিট গল্প করলাম। তারপর ওয়েটারেরা খাবার রেডি করার পর, আমরা গিয়ে প্লেটে বিভিন্ন ধরনের খাবার নিলাম। মোট আইটেম ছিলো ৬০+ এবং এক জনের বিল হচ্ছে ৭০০ টাকা। স্টার্টার আইটেম ছিলো চিকেন কর্ন স্যুপ,থাই স্যুপ, অনথন,স্প্রিং রোল এবং আরও অনেক কিছু। তবে আমি সাধারণত প্রথমে স্যুপ খাই না শেষে খাই।
প্রথমে স্যুপ খেলে আমার পেট ভরে যায় এবং অন্য আইটেম তেমন খেতে পারি না। যাইহোক আমি প্রথমে অল্প কিছু স্টার্টার আইটেম যেমন অনথন,স্প্রিং রোল নিলাম এবং মেইন ডিশ নিলাম যেমন প্লেন পোলাও, ভুনাখিচুড়ি, চিকেন ফ্রাই, চিকেন মাসালা,চিকেন কালো ভুনা,চিকেন চিলি অনিয়ন,লইট্টা ফ্রাই এবং সালাদ নিলাম। সবাই যার যার মতো করে প্লেটে খাবার নিয়ে নিলো। তারপর আমরা ফটোগ্রাফি করলাম বেশ কয়েকটি এবং খাওয়া শুরু করলাম। গল্প করতে করতে খেতে লাগলাম। ব্যুফে তে খাওয়ার মজাই এটা। সবাই মিলে গল্প করতে করতে খাওয়া যায় এবং অল্প অল্প সব আইটেম টেস্ট করা যায়। মানুষ ততোটা ছিলো না, তাই আগে থেকে বুকিং না দিলেও কোনো সমস্যা হতো না। যাইহোক প্লেটের খাবার শেষ হওয়ার পর, চিকেন ফ্রাই নিলাম আরও বেশ কয়েক পিস এবং সাথে কোল্ড ড্রিংকস। এগুলো খাওয়ার পর থাই স্যুপ নিলাম।
এভাবে গল্প করতে করতে প্রায় ৩ টা বেজে যায়। পেট অনেকটাই ভরে গিয়েছিল। তারপর বেশ কয়েক ধরনের ডেজার্ট নিলাম। যেমন বিভিন্ন ফ্লেভারের কেক,পুডিং, শাহী টুকরা,জর্দা এবং ফিরনি নিলাম। খাওয়া দাওয়া করার পর ডেজার্ট খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। যদিও মিষ্টি আইটেম ততোটা পছন্দ করি না,তবে মাঝেমধ্যে বেশ ভালোই লাগে খেতে। যাইহোক সবাই ডেজার্ট খাওয়ার পর পেয়ারা মাখা খেলাম। ছোট ছোট করে পেয়ারা গুলো কেটে কাসুন্দি দিয়ে মাখিয়েছিল,তাই খেতে দারুণ লেগেছিল। যাইহোক এরপর ৩৫০০ টাকা বিল দিয়ে আমরা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে বের হয়ে গেলাম রেস্টুরেন্ট থেকে। এরপর আমরা বাসায় চলে গিয়েছিলাম। সবার কাছেই বেশ ভালো লেগেছিল খাবারের মান। খাওয়া দাওয়া এবং গল্প গুজব করে আমরা এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি। আসলে বন্ধু বান্ধবদের সাথে খাওয়া দাওয়া, ঘুরাঘুরি এবং আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৬.১২.২০২৩ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter Link
বন্ধুদের সাথে লাঞ্চ করা দারুন একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ভাইজান। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই ভালো লাগার দারুন মুহূর্তটা। যেখানে অনেক বন্ধু একসাথে খাওয়া দাওয়া এবং আনন্দ করার মুহূর্ত আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। মাঝে মধ্যে এভাবে বন্ধুদের সাথে সময় অতিবাহিত করলে বেশ নিজের ভালো লাগে।
হ্যাঁ ভাই মানসিক প্রশান্তির জন্য হলেও মাঝেমধ্যে এভাবে সময় কাটানো উচিত। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বন্ধুদের সাথে ব্যাপারটাই এমন! আপনারা সবাই মিলে ট্রিট দিলেন ভালো লাগলো। ৬০+ আইটেম খেলেন 😇 তার মানে সবগুলো হালকা করে টেস্ট করা হলো! তবে এমন ব্যুফে গুলোতে ভালো সুবিধা হলো বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বলতে খাওয়া দাওয়া! এই ব্যাপারটাও ভালো লাগলো। খাবারের শেষের দিকে ডেজার্টগুলো ভালো ছিল, খাওয়ার একটা পূর্ণতা পেল মনে হচ্ছে 😁
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক বলেছেন, ডেজার্টগুলো খাওয়ার পর মনে হয়েছিল যে খাওয়া দাওয়া করার পর্ব একেবারে কমপ্লিট হয়েছে। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।