আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে না বলা কথা। এই নাটকটি খুব সম্ভবত অনেক আগে রিলিজ হয়েছে, কিন্তু ইউটিউবে নতুন করে আবার আপলোড করা হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং তাসনিয়া ফারিন। এই দুজনের অনেক নাটক আমি দেখেছি। এই দুজনের জুটি দারুণ লাগে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের নায়ক অপূর্ব এবং নাটকের নায়িকা ফারিন সম্পর্কে কাজিন হয়। অপূর্ব পেশায় চাকরি করে। যাইহোক অপূর্বর মা ফোন করে অপূর্বকে বলে, অফিস থেকে বাসায় আসার সময় বাজার করে নিয়ে আসতে। কারণ অপূর্বর মামা এবং মামাতো বোন অর্থাৎ ফারিন তাদের বাসায় এসেছে একটি বিশেষ প্রয়োজনে। মূলত ফারিনের বিয়ের কথাবার্তা চলছে এবং পাত্রপক্ষ ঢাকায় আসতে বলেছে তাদেরকে। ফারিনের পরিবার ঢাকার বাইরে থাকে। তাই অপূর্বদের বাসায় পাত্রপক্ষ ফারিনকে দেখতে আসবে। যাইহোক অপূর্ব বাজার করে নিয়ে আসে, তারপর তার মামা এবং মামাতো বোন ফারিনের সাথে কথাবার্তা বলে। অপূর্ব এবং ফারিন ছোট থেকেই একজন আরেকজনের সাথে কথায় কথায় ঝগড়া লাগতো। তবে ওদের বন্ডিংটা খুব ভালো। যাইহোক অপূর্ব একটি মেয়ের সাথে প্রেম করে এবং ফারিন সেটা জানতে পারে। একদিন অপূর্বর মা অপূর্বকে বলে যে ফারিনকে নিয়ে ঘুরতে যেতে। তো সেদিন অপূর্বর ডেটিং ছিলো সেই মেয়ের সাথে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

যাইহোক বাধ্য হয়ে অপূর্ব ডেটিং এ যায় ফারিনকে সাথে নিয়ে। মূলত অপূর্ব এবং তার গার্লফ্রেন্ড একটি রেস্টুরেন্টে ডেটিং করে এবং ফারিন অপরিচিত একটি মেয়ের মতো অন্য টেবিলে বসে ছিলো। যাতে করে সেই মেয়েটি না বুঝতে পারে, যে ফারিন অপূর্বর সাথে গিয়েছে সেই রেস্টুরেন্টে। অপূর্ব তার গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ের কথা বলে। কিন্তু সেই মেয়েটা অপূর্বর কথা এড়িয়ে যেতে চায়। এতে করে ফারিনের একটু সন্দেহ হয়। কারণ ফারিন তাদের খুব কাছাকাছি একটি টেবিলে বসে সব কথা শুনছিল। হঠাৎ করে অপূর্বর গার্লফ্রেন্ডের ফোনে বেশ কয়েকবার কল আসে। তখন সেই মেয়েটি একটু দূরে গিয়ে ফোন রিসিভ করে। ফারিন আড়ালে দাঁড়িয়ে সেই মেয়ের কথা শুনে ফেলে। মূলত অপূর্বর গার্লফ্রেন্ড অপূর্বর সাথে টাইম পাস করতো। কারণ এই মেয়ের সাথে অনেক ছেলের সম্পর্ক ছিলো। এই মেয়ে পরের দিন অন্য একটি ছেলের সাথে জলসিড়ি রেস্টুরেন্টে দেখা করবে। মূলত ফোনে সেই কথাই বলছিল সেই ছেলেটিকে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

যাইহোক বাসায় আসার পর, ফারিন অপূর্বকে বলে যে সেই মেয়েটি অপূর্বর সাথে প্রতারণা করছে। অপূর্ব প্রথমে বিশ্বাস না করলেও, পরের দিন বিকেল পাঁচটায় জলসিড়ি রেস্টুরেন্টে গিয়ে, সেই মেয়েকে অন্য একটি ছেলের সাথে দেখতে পায় মোটামুটি ঘনিষ্ঠ অবস্থায়, এতে করে অপূর্ব ভীষণ কষ্ট পায়। অপূর্ব ফারিনকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্না করেছিল সেদিন। এদিকে ফারিনকে দেখতে পাত্রপক্ষ অপূর্বদের বাসায় আসে। ফারিনের বিয়ে ঠিক হয়ে যায় সেই ছেলের সাথে। যাইহোক অপূর্ব একদিন জানতে পারে ফারিন তাকে ছোটবেলা থেকেই ভীষণ ভালোবাসে। অপূর্বও ফারিনকে ছোট থেকেই ভালোবাসতো। কিন্তু কেউ কাউকে কখনো বলেনি তাদের ভালোবাসার কথা। কিন্তু ফারিনের যেহেতু বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে, সেহেতু অপূর্ব ভেবে পাচ্ছে না এখন কি করবে। যাইহোক পরবর্তীতে কি হলো সেটা জানতে হলে অবশ্যই আপনাদেরকে নাটকটি দেখতে হবে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

বর্তমানে প্রকৃত ভালোবাসা পাওয়াটা আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। কারণ অনেকেই একসাথে কয়েকটি রিলেশন কন্টিনিউ করে। এতে করে পরবর্তীতে অনেকে খুব কষ্ট পায়। যেমনটা এই নাটকে অপূর্ব কষ্ট পেয়েছিল। তাই কাউকে অন্ধ বিশ্বাস করা উচিত নয়। সবসময় খোঁজ খবর রাখা উচিত এবং নিজের ভালোমন্দ নিজেরই বুঝতে হবে। অপরদিকে কাউকে মন থেকে ভালোবাসলে সেটা বলে দেওয়া উচিত। কারণ অনেক সময় বলতে যদি অনেক দেরি হয়ে যায়,তাহলে পরবর্তীতে ভীষণ কষ্ট পেতে হয়। এতে করে সারাজীবন আফসোস করতে হয়। সুতরাং ভালোবাসার কথা মনের ভেতর লুকিয়ে না রেখে, অবশ্যই বলে দেওয়া উচিত। সবমিলিয়ে নাটকটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সবাই বেশ ভালো অভিনয় করেছে।

আমার রেটিং