ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণ (দ্বাদশ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার ভ্রমণের একাদশ পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দ্বাদশ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমরা কক্সবাজার থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম,সেগুলো এই পর্ব এবং আগামী পর্বে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম, আমরা ১০০ ফুট গৌতম বুদ্ধের মূর্তি দেখার জন্য এন্ট্রি টিকেট কিনে,গেইটের বাহিরে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এরপর আমরা ভিতরে প্রবেশ করে দেখলাম মানুষের সংখ্যা খুবই কম। যাইহোক জুতা খুলে কাউন্টারের পাশে রেখে, আমরা গৌতম বুদ্ধের মূর্তি দেখার জন্য উপরের দিকে উঠতে লাগলাম। উপরের দিকে উঠার সময় দেখলাম দুই পাশে ছোট ছোট অনেকগুলো মূর্তি বানিয়ে পাশাপাশি সাজিয়ে রেখেছে। মূর্তি গুলো দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লেগেছিল।
একপাশে ছিলো সাদা কালারের অনেক গুলো মূর্তি এবং অন্য পাশে ছিলো গোল্ডেন কালারের অনেক গুলো মূর্তি। যাইহোক উপরের দিকে উঠার পর, গৌতম বুদ্ধের ১০০ ফুট মূর্তি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। যদিও এর আগেও গৌতম বুদ্ধের মূর্তি দেখার সুযোগ হয়েছিল আমাদের দু'জনের। তবুও বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ঘুরাঘুরি করে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। জায়গাটা আসলেই বেশ নিরিবিলি। আর এসব জায়গায় বসে থাকতেও ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক আমাদের পরবর্তী গন্তব্য যেহেতু বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্র ছিলো, তাই আমরা সেখানে খুব বেশি সময় না থেকে,সিএনজি তে উঠে রওনা দিলাম বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্রের দূরত্ব ১৩/১৪ কিলোমিটার এর মতো। মোটামুটি ৩০/৩৫ মিনিটের মতো সময় লাগে সেখানে যেতে।
যাইহোক আমরা সিএনজি তে চড়ে যেতে যেতে রাস্তার দুই পাশে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখতে পেলাম। সবুজের সমারোহ দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছিল। সিএনজি তে চড়ে যেতে যেতে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। তাছাড়া ২/১ বার সিএনজি থামিয়েও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। যাইহোক আমরা মোটামুটি ৪০ মিনিটের মধ্যে বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পর আশেপাশে দেখলাম বেশ উঁচু উঁচু পাহাড় এবং চারপাশটা একেবারে গাছগাছালি দিয়ে ঘেরা। উঁচু উঁচু পাহাড় দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। সেখানে বেশ কিছু জীপ গাড়ি অর্থাৎ চান্দের গাড়ি থামানো ছিলো। আসলে উঁচু উঁচু পাহাড়ে উঠার জন্য বেশিরভাগ দর্শনার্থীরা চান্দের গাড়ি খুব পছন্দ করে। কারণ চলতি গাড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে দারুণ একটা ফিল পাওয়া যায়।
তাছাড়া ডিজেল চালিত গাড়ির ইঞ্জিনের শক্তি অনেক বেশি। তাই খুব সহজেই পাহাড়ি উঁচু রাস্তা দিয়ে উঠতে পারে। যাইহোক আমাদের সিএনজি উঁচু রাস্তার নিচেই পার্কিং করে রেখেছিল। তাই আমরা আস্তে আস্তে উঁচু রাস্তা দিয়ে উপরের দিকে উঠতে লাগলাম। কারণ উপরের দিকেই ছিলো বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করার মেইন গেইট। তবে গেইট এর সামনে যাওয়ার আগে, নাইক্ষ্যংছড়ি লেক দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল। মানে রাস্তা থেকেই নাইক্ষ্যংছড়ি লেকটা মোটামুটি ভালোভাবে দেখা যায়। আর উপবন পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে গিয়ে তো দারুণভাবে লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। যাইহোক আমরা গেইটের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে, সিদ্ধান্ত নিলাম যে উপবন পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করার টিকেট কিনে ভিতরে ঢুকবো। এরপর আমরা সেখানে আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৩০.৬.২০২৪ |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
খুব সুন্দর একটি স্থান ভ্রমন করতে গিয়েছিলেন ভাইজান আর সেই ভ্রমন জায়গার প্রথম পোস্ট কিছুদিন আগে লক্ষ্য করেছিলাম গেটের ছবি সহ। আজকে আবারো দেখার সুযোগ মিললো আপনাদের কক্সবাজার ভ্রমণের আরেকটি সুন্দর পোস্ট। আপনাদের এই পোস্টগুলোর মাধ্যমে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ মিলেছে। বেশি ভালো লেগেছে আপনার আজকের এই পোস্টটা।
চেষ্টা করছি এই ট্যুরের সবকিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। যাতে করে কিছুটা হলেও আপনারা এই ব্যাপারে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। যাইহোক এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
খুব সুন্দর জায়গাটি। আপনাদের কক্সবাজার নাকি খুব বিখ্যাত জায়গা, মায়ানমারের বর্ডারে পড়ে বলে শুনেছি। সেখানে এমন বুদ্ধমূর্তি আছে দেখে ভালো লাগছে। আমরা কত রকমের মিষ্টি হাসি মুখের লম্বা লম্বা কান ওয়ালা বুদ্ধমূর্তি দেখে থাকি। কিন্তু দাদা, জানেন কি গৌতম বুদ্ধের আসলেই কোন ছবি ছিল না। উনি নিজের কোন রকম পেইন্টিংও করাননি জীবনকালে। উনি ওনার শিষ্যদের আদেশ দিয়ে গেছিলেন তাঁরা যেন কোন বিবরণই না দেন৷ তাই গৌতমবুদ্ধ যে আসলেই কেমন দেখতে আমরা কেউ জানি না৷
আপনার পোস্টটি খুব ভকলো লেগেছে। পরের পোস্টের অপেক্ষায় থাকব।
হ্যাঁ আপু আমাদের কক্সবাজার আসলেই খুব বিখ্যাত। কক্সবাজার এমন একটি জায়গা, একবার গেলে বারবারই যেতে ইচ্ছে করে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ভ্রমণের একের পর এক সুন্দর সুন্দর পর্বগুলো দেখে আসছি৷ আজকেও খুবই সুন্দর একটি পর্ব দেখতে পারলাম এবং এখানে আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক কিছুই ফুটিয়ে তুলেছেন যা খুবই সুন্দর হয়েছে৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি ভ্রমণের পর্ব শেয়ার করার জন্য৷ পরবর্তী পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷
যথেষ্ট চেষ্টা করেছি ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে সেখানকার সৌন্দর্য দারুণভাবে তুলে ধরতে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।