ফটোগ্রাফি পোস্ট || 📸 ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা থেকে ক্যাপচার করা সাতটি ফটোগ্রাফি 📸
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো। বেশিরভাগ সময় আমি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করি আপনাদের সাথে, তবে আজকে ভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক গত মাসে আমি এবং আমার ওয়াইফ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গিয়েছিলাম। বাণিজ্য মেলা বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। এক মাস ব্যাপী অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মেলায় একসময় বেশ কয়েকবার যাওয়া হতো,কিন্তু এই বছর শুধুমাত্র একবার গিয়েছিলাম বাণিজ্য মেলায়। সেখানে গিয়ে ঘুরাঘুরি করে ভীষণ ভালো লেগেছিল। ঘুরাঘুরি,খাওয়া দাওয়া এবং টুকটাক কেনাকাটা করার পাশাপাশি, বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। কারণ আপনাদের সাথে যেকোনো জিনিস শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনারা অনেকেই জানেন যে ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে। তাছাড়া কেউ ফটোগ্রাফি শেয়ার করলে দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
📸১নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
বাণিজ্য মেলায় প্রবেশ করার পর, সামনেই পানির এই ফোয়ারাটা দেখা যায়। সন্ধ্যার পর রং বেরঙের লাইটিং দেখে আসলেই খুব ভালো লেগেছিল। এই জায়গায় সবসময়ই প্রচুর মানুষ দেখা যায়। এই দৃশ্যটি সামনা-সামনি দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল, তাই আমি সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করতে।
📸২নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি লোক স্পাইডার ম্যান সেজে চেয়ারে বসে আছে এবং আরেকটি লোক ব্যাটম্যান সেজে দাঁড়িয়ে আছে। মূলত তারা সবাইকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। বিশেষ করে বাচ্চারা তাদেরকে দেখে সবচেয়ে বেশি মজা পায়। তাছাড়া অনেকেই তাদের সাথে সেলফি তুলে থাকে। ছোটবেলায় ব্যাটম্যান দেখতে খুবই পছন্দ করতাম। তাছাড়া স্পাইডার ম্যানের গেমস খেলতাম একসময়।
📸৩নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
বাণিজ্য মেলায় গাড়ি বাড়ি সবকিছুই পাওয়া যায়। এবারের বাণিজ্য মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিলো মেটালের তৈরি ঘর। মূলত তারা মেটাল দিয়ে একতলা এবং দোতলা বাড়ি তৈরি করে দিয়ে থাকে স্কয়ার ফিট চুক্তি অনুযায়ী। অনেকেই দেখলাম এমন বাড়ি তৈরি করার ব্যাপারে কথা বলছে। এতে করে মনে হলো তাদের বেশ আগ্রহ আছে এমন বাড়ি তৈরি করার ব্যাপারে। বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করার পরে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছিল।
📸৪নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এগুলো হচ্ছে বাঁশের মোড়া। একসময় এমন মোড়া অনেকেই ব্যবহার করতো। হস্তশিল্প দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাঝ থেকে। একসময় মেলায় গেলে হাতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দেখা যেতো। কিন্তু এখন তেমন একটা দেখা যায় না। তবে বাণিজ্য মেলার এই স্টলটিতে ঢুকে, একসাথে এতগুলো বাঁশের মোড়া দেখে ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার। সেই স্টলে হাতে তৈরি আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ছিলো। মোড়া গুলোর ডিজাইন আসলেই খুব সুন্দর।
📸৫নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বড় একটি আচারের স্টল। এই স্টলে বিভিন্ন ধরনের আচার পাওয়া যায়। বেশিরভাগ মেয়েরা আচার খেতে ভীষণ পছন্দ করে। তবে আমাদের সেদিন আচার কেনা হয়নি। কারণ আমি আচার তেমন খেতে পারি না। একটু খেলেই দাঁত শিরশির করে আমার। তাছাড়া আমরা ওয়াইফ আচার পছন্দ করে না তেমন।
📸৬নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে ফাস্ট ফুডের একটি স্টল। এই স্টলে বার্গার, স্যান্ডউইচ,চিকেন কাটলেট, চিকেন ফ্রাই সহ আরও বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। হাঁটাহাঁটি করে সন্ধ্যার পর যখন ক্ষুধা পেয়েছিল,তখন আমরা এই স্টল থেকে বার্গার, স্যান্ডউইচ এবং চিকেন কাটলেট কিনে খেয়েছিলাম। খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল। আসলে পেটে ক্ষুধা থাকলে সবকিছুই ভালো লাগে 😂।
📸৭নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এটা হচ্ছে পানি পুরির স্টল। মাঝেমধ্যে পানি পুরি খেতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। এই স্টলটা একেবারে ভিন্ন রকমের। বিভিন্ন ধরনের টক ছিলো এই স্টলে। তবে প্রতিটি টক ভীষণ মজা ছিলো এবং সবাই যার যার মতো করে টক নিয়ে খাচ্ছিলো। এককথায় বলতে গেলে টক হচ্ছে সেলফ সার্ভিস।
পোস্টের বিবরণ
| ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
| ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
| তারিখ | ২৭.৩.২০২৪ |
| লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা থেকে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে৷ খুব সুন্দরভাবেই আপনি সবকিছু এখানে তুলে ধরেছেন। যেভাবে আপনি এর সবগুলো বিষয় আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এখানে তুলে ধরেছেন তা দেখে অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারলাম৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আমার এই পোস্টটি দেখে আপনি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন,জেনে ভীষণ অনুপ্রাণিত হলাম। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই আপনার সবগুলো পোস্ট আমার অনেক ভালো লাগে। আর এই ফটোগ্রাফির কথা তো আর কি বলব৷ এক কথায় অসাধারণ৷
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা থেকে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বেশ কিছু ফটো ধারণ করেছেন। যেখানে মানুষের স্পাইডারম্যান সেজে দাঁড়িয়ে থাকার দারুন চিত্র ধারণ করেছেন। এদিকে বসার জন্য আগে যে মুড়া ব্যবহার করা হতো সেটাও দেখতে পেলাম। পাশাপাশি রেসিপি ফটো ধারণ করেছেন আপনি। আর একই সাথে প্রত্যেকটা বিষয়ের অসাধারণ বর্ণনা শেয়ার করেছেন। সব মিলে কিন্তু অনেক ভালো লেগেছে আমার।
চেষ্টা করেছি ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করার জন্য। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ভ্রমণ করে আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আজ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যে কি সত্যি খুব ভালো লাগলো।
এ বছরে আমিও গিয়েছিলাম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় সেখানে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলাম বন্ধুদের সাথে।
আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে প্রথম ফটোগ্রাফির আগস্ট অসাধারণ লাগছে।
হ্যাঁ ভাই আপনিও এবার বাণিজ্য মেলায় গিয়েছিলেন,সেটা ডিসকর্ডে চ্যাট করার সময় বলেছিলেন। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এ বছর ঢাকার বাণিজ্য মেলায় যাওয়া হয়নি গতবছর গিয়েছিলাম। এ বছর চট্টগ্রাম যাওয়া হয়েছিল তাই চট্টগ্রামের বাণিজ্য মেলায় গিয়েছিলাম। আপনি ঢাকার বাণিজ্যমেলার খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। স্পাইডারম্যান ও ব্যাটম্যান কে দেখে ভালো লাগলো। চট্টগ্রামের বাণিজ্য মেলাতেও স্পাইডারম্যান ও ব্যাটম্যান কে দেখেছিলাম। অনেকদিন পর বাঁশের মোড়া গুলো দেখলাম। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই লোভনীয় ছিল।
আপনার শেয়ার করা চট্টগ্রামের বাণিজ্য মেলায় ঘুরাঘুরি করার পোস্ট আমি পড়েছিলাম আপু। যাইহোক প্রতিনিয়ত এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বানিজ্য মেলা থেকে করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। খুব নিখুত ভাবে করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো।আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আশা করি সামনেও এভাবেই সাপোর্ট করে যাবেন।
আমিও ভেবেছিলাম বানিজ্য মেলায় যাওয়ার জন্য। তবে সময়ের স্বল্পতার কারণে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। আপনারা বানিজ্য মেলায় ঘোরাঘুরির পাশাপাশি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। যার মধ্যে খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। তাছাড়া অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার উপস্থাপনা করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলে সময়ের অভাবে অনেক কিছুই মিস হয়ে যায় আমাদের। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা থেকে ক্যাপচার করার সাতটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে ভাই। অনেকদিন পরে আপনার ফটোগ্রাফিতে বাঁশের মোড়া দেখতে পেলাম। আপনি সত্যি বলেছেন ভাই আমাদের দেশে আস্তে আস্তে হস্তশিল্পটা হারিয়ে যাচ্ছে। মেটালের তৈরি বাড়িটা দেখতে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আমিও বাঁশের মোড়া বেশ কয়েক বছর পর দেখেছিলাম। হ্যাঁ ভাই মেটালের তৈরি বাড়িটি দেখতে আসলেই খুব সুন্দর লেগেছিল। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।