ফটোগ্রাফি পোস্ট || 📸 কক্সবাজার থেকে ক্যাপচার করা সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি 📸
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করবো। বেশিরভাগ সময় আমি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করি আপনাদের সাথে, তবে আজকে ভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক গত ফেব্রুয়ারিতে অর্থাৎ দুই মাস আগে আমার ওয়াইফকে নিয়ে কক্সবাজার ট্যুরে গিয়েছিলাম এবং কক্সবাজার থেকে ধারণকৃত বেশ কিছু ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে। তবে ভ্রমণ পোস্ট এখনো শেয়ার করা হয়নি। আশা করি ভ্রমণ পোস্ট খুব শীঘ্রই শেয়ার করতে পারবো আপনাদের সাথে। যাইহোক আজকে কক্সবাজার থেকে ক্যাপচার করা সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করবো। এই ফটোগ্রাফি গুলো কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্যাপচার করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। কারণ আপনাদের সাথে যেকোনো কিছু শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনারা অনেকেই জানেন যে ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
📸১নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা আমি করেছিলাম রেজু খাল ব্রিজ থেকে। আমরা যখন সিএনজি দিয়ে ইনানী বিচের দিকে যাচ্ছিলাম,এই ব্রিজ ক্রস করার সময় হঠাৎ খেয়াল করলাম এতো চমৎকার দৃশ্য। তখন সিএনজি থামিয়ে আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। তাছাড়া একটি ভিডিওগ্রাফি করেছিলাম। সেটা আপনাদের সাথে পরবর্তীতে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
📸২নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা আমি পাটুয়ারটেক বিচ থেকে করেছিলাম। তখন প্রচন্ড রোদ ছিলো। পাটুয়ারটেক বিচে বিভিন্ন সাইজের প্রচুর পাথর রয়েছে। আমি যতবারই কক্সবাজার গিয়েছি,প্রতিবার পাটুয়ারটেক বিচে গিয়েছি। এই বিচ টা আমার খুব পছন্দ। অনেক আগে শুনেছিলাম এই বিচে নাকি ফিল্মের শুটিং করা হয় মাঝেমধ্যে। পানির কালার খুবই সুন্দর লেগেছিল দেখতে।
📸৩নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা কক্সবাজারের মিনি বান্দরবান থেকে করেছিলাম। বেশ কয়েকবার কক্সবাজার গেলেও, এই জায়গায় প্রথম বার গিয়েছিলাম এবার। এই জায়গায় গেলে বান্দরবানের কিছুটা ফিল পাওয়া যায়। সেখানকার রাস্তা ঘাট খুবই সুন্দর লেগেছিল। আমরা পাহাড়ে উঠে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি, কিছু ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করেছিলাম। পাহাড়ের উপর থেকে আশেপাশের ভিউ দেখতে দারুণ লেগেছিল।
📸৪নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা আমি কাঁকড়া বিচের দিকে যাওয়ার সময় করেছিলাম। এই কাঠের ব্রিজ পার হওয়ার পর,একটি রাস্তা রয়েছে এবং রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য ঝাউ গাছ রয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে অল্প একটু এগিয়ে যাওয়ার পরেই কাঁকড়া বিচ দেখা যায়। কাঁকড়া বিচে প্যারাসেলিং করার সুযোগও রয়েছে।
📸৫নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা আমি রামু ১০০ ফিট বৌদ্ধ মন্দির থেকে করেছিলাম। গৌতম বুদ্ধের শায়িত এই মূর্তিটা দেখতে অনেক সুন্দর। এই গোল্ডেন কালারের মূর্তিটা দেখতে অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন গিয়ে থাকে। আমি এর আগেও একবার গিয়েছিলাম রামু বৌদ্ধ মন্দিরে।
📸৬নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা সুগন্ধা বিচ থেকে করেছিলাম। এই দোকানে বিভিন্ন ধরনের শামুক এবং ঝিনুক রয়েছে। অনেকে দেখলাম বিভিন্ন ধরনের শামুক কিনে,দোকানের লোকের মাধ্যমে অনেক কিছু লিখিয়ে নিচ্ছে। আমরাও বড় সাইজের শামুক কিনে অনেক কিছু লিখিয়েছি। সেগুলো পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
📸৭নং ফটোগ্রাফি📸
What 3 Words Location
Device Name- Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
এই ফটোগ্রাফিটা হিমছড়ি থেকে করেছিলাম। প্রবেশ টিকেট কিনে যখন হিমছড়ি ঝর্ণার দিকে যাচ্ছিলাম,তখন এই দোকানটি আমার চোখে পড়ে। শামুক ও ঝিনুক দিয়ে তৈরি ঝাড়বাতির মতো দেখতে, এগুলো রুমে ঝুলিয়ে রাখলে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। ২০১৯ সালে আমি একটা কিনে নিয়ে এসেছিলাম বাসার জন্য। এখনো সেটা রয়েছে অনেকটা নতুনের মতোই।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১০.৪.২০২৪ |
লোকেশন | কক্সবাজার,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
কক্সবাজারে দারুন সময় কাটানোর পাশাপাশি সেখানকার সুন্দর দৃশ্য গুলো খুব সুন্দরভাবে ক্যামেরা বন্দি করেছেন। আসলে এরকম সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা তার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করার মজাই আলাদা। আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো ভালই উপভোগ করেছি। যেটা করতে আমিও পছন্দ করি ।আমাদের সাথে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি আমার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ উপভোগ করেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
কক্সবাজার থেকে আপনি বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন দেখছি। একদিকে প্রাকৃতিক পরিবেশের চিত্রধারণ করেছেন আর তার সুন্দর বর্ণনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আবার এদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানের জিনিসের ফটো ধারণ করেছেন। হিমছড়িতে যেতে শামুক ঝিনুকের তৈরি ঝাড়বাতির দারুন দোকান টা দেখার সুযোগ হলো আপনার মাধ্যমে।
ঝাড়বাতির দোকানটি খুবই সুন্দর লেগেছিল সামনা-সামনি দেখতে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি কক্সবাজার থেকে অনেক কিছুই ফটোগ্রাফারের মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার।কক্সবাজার থেকে ক্যাপচার করা সাতটি রেনডম ফটোগ্রাফি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই পোস্ট করার সার্থকতা ভাই। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার প্রিয় জায়গা গুলোর মধ্যে কক্সবাজার অন্যতম। আপনি কক্সবাজার ভ্রমণের দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার ঘোরাঘুরি স্মৃতি ভেসে উঠলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার মতো আমারও কক্সবাজার খুবই পছন্দ। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বোঝাই যাচ্ছে কক্সবাজার গিয়ে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন, সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার পাশাপাশি দারুন কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন এবং সেই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। কক্সবাজার যে কতটা সুন্দর সেটা আপনি আপনার এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আশেপাশের চমৎকার দৃশ্যের সৌন্দর্য তুলে ধরার জন্য। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আপনার পোস্টে কিছু বোঝাই যাচ্ছে যে আপনি কক্সবাজার ভ্রমণ করে দারুন একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন এবং খুব ইনজয় করেছেন। আর সেখান থেকে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছে আপনার ফটোটাতে কোনটা থেকে কোনটা বলবো ভালো লেগেছে সেটা বলা ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। সামুদ্রিক মালা গুলো দেখতে পেরে বেশ ভালো লাগলো এছাড়াও পাহাড়ি রাস্তা ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই আমরা সেখানে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার তোলা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। আসলে এরকম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। একই সাথে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির খুবই চমৎকার বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার কাছ থেকে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।