লাইফস্টাইল পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে সোনারগাঁও জাদুঘরের মেলায় ঘুরাঘুরি করার অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই বছরের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে সোনারগাঁও জাদুঘরের মেলায় গিয়েছিলাম এবং সেখানে গিয়ে নকশীকাঁথা সহ টুকিটাকি অন্য কিছু কেনাকাটা করেছিলাম। আজকে সেই অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাইহোক প্রতি বছর শীতকালে একমাস ব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে সোনারগাঁও জাদুঘরের ভিতরে। তো সোনারগাঁও জাদুঘরের মেলা আমার খুব পছন্দ। প্রতি বছর সেখানে মেলা চলাকালীন সময়ে কমপক্ষে ২/৩ বার যাওয়ার চেষ্টা করি। তবে এবার শুধুমাত্র একবারই গিয়েছিলাম ব্যস্ততার জন্য।
যাইহোক আমরা মূলত বিকেলে গিয়েছিলাম মেলায়। প্রথমে গিয়ে মেলায় এবং জাদুঘরের ভিতরে অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম। তাছাড়া সেদিন নাগরদোলায় চড়েছিলাম। যাইহোক মেলায় যাওয়ার আগেই আমরা প্ল্যান করে রেখেছিলাম খুব সুন্দর একটি নকশীকাঁথা কিনবো। কারণ সোনারগাঁও জাদুঘরের ভিতরে মেলা ছাড়া সবসময়ই অনেক সুন্দর সুন্দর জামদানী শাড়ি এবং নকশীকাঁথা পাওয়া যায়। সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘরের জামদানী শাড়ি এবং নকশীকাঁথা সারাদেশেই বিখ্যাত। যাইহোক আমরা প্রথমে বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরাঘুরি করে নকশীকাঁথা দেখতে লাগলাম। কিন্তু নকশীকাঁথা ততোটা পছন্দ হচ্ছিলো না বলে,আরও ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করলাম। তারপর শেষমেশ একটি দোকানে ৩/৪ টা নকশীকাঁথা পছন্দ হলো।
তারপর আমি নীল রঙের একটি নকশীকাঁথা পছন্দ করলাম। সেই নকশীকাঁথার মধ্যে এতো সুন্দর ভাবে নকশী করা হয়েছে, দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। সেই দোকানে একজন মহিলা দোকানদার ছিলো এবং উনার মা বাবা ছিলো। আসলে সেই মহিলার মা বেশ অভিজ্ঞ। উনি অনেক বছর আগে থেকেই কাপড়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নকশী করে থাকেন। উনাদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছিলাম, সেই মহিলার মা বেশ কয়েকবার পুরষ্কারও পেয়েছে। আমি উনাদের ভিজিটিং কার্ড নিয়ে এসেছিলাম এবং উনাদের স্টল সারা বছর ই থাকে সোনারগাঁও জাদুঘরে। যাইহোক আমি যে নকশীকাঁথা পছন্দ করেছি,সেটার দাম চাইলো ২৫০০ টাকা এবং সেই মহিলা বললো যে উনারা মোটামুটি একদামেই বিক্রি করে থাকেন।
আমি কিছুটা ডিসকাউন্ট দেওয়ার কথা বলার পর,শেষ পর্যন্ত ২৩০০ টাকা দিয়ে আমার পছন্দ করা নকশীকাঁথা কিনলাম। এরপর আমরা চলে গেলাম একটি আচারের দোকানে। সেখানে গিয়ে রসুনের আচার এবং মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস কিনলাম। কারণ রসুনের আচার দিয়ে খিচুড়ি খেতে দারুণ লাগে। যাইহোক অনেকক্ষণ মেলায় ঘুরাঘুরি করে কিছুটা ক্ষুধা পেয়েছিল। তারপর আমার ওয়াইফ বললো যে ফুচকা খাবে। তারপর একটি ফুচকার দোকানে ঢুকে বেশ মজা করে আমরা দু'জন ফুচকা খেলাম। তারপর আমরা বিল মিটিয়ে একটি দোকান থেকে আইসক্রিম খেলাম। তারপর আমরা বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং ৪০/৫০ মিনিটের মধ্যেই বাসায় চলে গিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে মেলায় ঘুরাঘুরি করে এবং কেনাকাটা করে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১.৮.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
আপনাদের ঘুরাঘুরির পোস্ট গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে ভাইয়া। আমাদের তো সেই কপাল নেই বাইরের পরিবেশে ঘুরতে যাব। তবে আপনাদের পোস্টগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে থাকি। দেশের কত সুন্দর সুন্দর জায়গা গুলো আপনারা আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেন।
আপু সবসময়ই চেষ্টা করি এই ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে। আর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সোনারগাঁও জাদুঘরের মেলায় খুব সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন। মেলা থেকে তো দেখছি অনেক কিছুই কিনেছেন। নকশি কাঁথা টা খুবই সুন্দর দেখতে। রসুনের আচার কিনেছেন। দুইজনে নাগরদোলাতেও চড়েছেন। মেলাতে গিয়ে নাগরদোলায় না উঠলে ভালো লাগেনা। সবশেষে ফুচকাও খেয়েছেন। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু নকশীকাঁথা টা দেখে সবাই খুব পছন্দ করেছিলো। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।