আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে এসো হাত বাড়াও। এই নাটকটি কয়েকদিন আগে রিলিজ হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং তানজিম সায়রা তটিনী। মাঝে মধ্যে অপূর্বের নাটক দেখা হয়। অপূর্বের রোমান্টিক নাটক গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে আমার। তবে নাটকের নায়িকা তটিনীর নাটক এই প্রথম দেখলাম আমি। অপূর্ব নিঃসন্দেহে বেশ ভালো অভিনয় করে। তবে নতুন নায়িকা হিসেবে তটিনী খুব ভালো অভিনয় করেছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

নাটকের নায়ক অপূর্বের পেটের সমস্যা কয়েকদিন যাবৎ। কিন্তু সে লজ্জায় এবং ইনজেকশন এর ভয়ে হাসপাতালে যেতে চায় না। তাই তার দুই বন্ধু তাকে ধরে বেঁধে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইনজেকশন দেওয়ার আগে সে ভীষণ ভয় পাচ্ছিলো। কিন্তু যখন নার্স ইনজেকশন দিচ্ছিলো, তখন অপূর্ব তার আঙুলের ফাঁক দিয়ে নার্সকে দেখে খুব পছন্দ করে। নার্সটি আর কেউ নয়। সে হচ্ছে নাটকের নায়িকা তটিনী। অপূর্ব তটিনীর মায়া ভরা চেহারা দেখেই প্রেমে পড়ে যায়। সে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তটিনীকে তার কেবিনে ডেকে আনতে বলে। অপূর্বের বন্ধুরাও তটিনীকে বারবার ডেকে আনে। এতে করে তটিনী বুঝতে শুরু করে যে,অপূর্ব তাকে খুব পছন্দ করে। ধীরে ধীরে অপূর্বের পাগলামি আরো বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে তটিনীও অপূর্বকে পছন্দ করতে শুরু করে। তবে এক পর্যায়ে অপূর্বর পাগলামি অনেক বেড়ে যায়। তখন তটিনী অপূর্বকে বুঝায় যে এমন করলে তার চাকরিতে সমস্যা হতে পারে।

অপূর্ব সুস্থ হওয়ার পর ডাক্তার রিলিজ দিয়ে দেয় অপূর্বকে। তবুও সে হাসপাতাল থেকে যেতে নারাজ। একদিন তটিনী হাসপাতালে আসে না। তখন অন্য একজন নার্সের কাছ থেকে অনেক কষ্টে, অপূর্ব তটিনীর বাসার ঠিকানা যোগাড় করে। তটিনীর বাসায় যাওয়ার পর অপূর্ব দেখে যে, তটিনীর আংটি বদলের ঘরোয়া অনুষ্ঠান চলছে বাসায়। এতে করে অপূর্ব অনেক কষ্ট পায় এবং অনুষ্ঠান শেষ করে তার বাসায় চলে যায়। অপূর্ব তটিনীকে অনেক কষ্টে রাজি করায় তার সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য। এভাবেই চলতে থাকে তাদের বন্ধুত্ব। তারা একসাথে মাঝে মধ্যে ঘুরতে যায় এবং কথা বলতে বলতে একে অপরের প্রতি আরো দুর্বল হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে তটিনীর হবু হাসবেন্ড তাদের বন্ধুত্ব নিয়ে অনেক রাগ করে। এভাবেই চলতে থাকে নাটকের কাহিনী। এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে নাটকটি অবশ্যই দেখতে হবে আপনাদেরকে।

উপরের সবগুলো ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

একজন মানুষের জীবনে অনেক সময় অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়। সেটা বিভিন্ন ভাবে হতে পারে। সেই পরিচয় থেকে অনেক সময় কাউকে ভালো লেগে যায় এবং ভালোলাগা থেকে ভালোবাসাও হয়ে যায়। ভালোবাসা দোষের কিছু না। মন থেকে ভালোবাসলে আমি মনে করি অবশ্যই বলে দেওয়া উচিত। বলার পর রেজাল্ট পজিটিভ এবং নেগেটিভ যা ই আসুক না কেনো, বলার পর অন্তত আফসোসটা থাকে না। আর কপালে থাকলে তো অবশ্যই পজিটিভ রেজাল্ট আসবে। এই নাটকেও একই রকম হয়েছে। অপূর্ব তটিনীকে বলার পর, তটিনী অপূর্বকে ধীরে ধীরে ভালোবাসতে শুরু করে। অনেক দিন পর এমন রোমান্টিক একটি নাটক দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো।

আমার রেটিং

এই নাটকটিকে আমি ৯/১০ দিলাম।