নাটক রিভিউ || বহিরাগত
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে বহিরাগত। এই নাটকটি ৫/৬ দিন আগে রিলিজ হয়েছে। এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব,তানজিম সাইয়ারা তটিনী এবং রুনা খান। অপূর্ব এবং তটিনীর নাটক দেখতে বেশ ভালো লাগে আমার। তবে এই নাটকের কাহিনীটা একটু বেশি ভালো লেগেছে। কারণ এই নাটকটি সত্যিই হার্ট টাচিং। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
নাটক | বহিরাগত |
---|---|
রচনা | মেজবাহউদ্দিন সুমন |
পরিচালনা | রুবেল হাসান |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব,তানজিম সাইয়ারা তটিনী,রুনা খান এবং আরো অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
প্রচার | ২রা জুলাই ২০২৩ |
দৈর্ঘ্য | ৫১ মিনিট |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
নাটকের নায়ক অপূর্ব এবং রুনা খান এর একটি কিউট মেয়ে আছে। কিন্তু তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। ডিভোর্সের পর রুনা খান কানাডায় চলে যায়। অপূর্ব এবং তার মেয়ে একসাথে থাকে। অপূর্বর মেয়েকে নাটকের নায়িকা তটিনী পড়ায় কোচিং সেন্টারে। তটিনী অপূর্বর মেয়েকে খুব আদর করে। একদিন তটিনী অপূর্বর মেয়েকে তার পরিবারের কথা জিজ্ঞেস করার পর, জানতে পারে যে মেয়েটির মা নেই। এটা শুনে তটিনীর খুব খারাপ লাগে। কারণ তটিনী নিজেও বাবা মা ছাড়া বড় হয়েছে তার দাদুর কাছে। তাই সে বুঝে মা ছাড়া বড় হওয়া কতোটা কষ্টের। তটিনী অপূর্বর কাছে সবকিছু জানতে চাইলে, অপূর্ব তাদের ব্যাপারে সবকিছু শেয়ার করে তটিনীর কাছে।
যাইহোক অপূর্বর বাসায় তটিনীর যাতায়াত বেড়ে গেল। কারণ অপূর্বর মেয়ের সাথে সময় কাটাতে তটিনীর খুব ভালো লাগতো। অপূর্বর মেয়েও তটিনীকে খুব পছন্দ করতো এবং অপূর্বকে বলতো যে তটিনী যদি সবসময় তাদের সাথে থাকতো, তাহলে খুব ভালো হতো। অপূর্বর মা খুলনা থাকতো এবং অপূর্বরা ঢাকায় থাকতো। অপূর্বর মা খুলনা থেকে ঢাকায় আসার পর, তটিনীকে দেখে খুব পছন্দ করে। সবকিছু চিন্তা ভাবনা করে তটিনীর দাদুর কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। অপূর্ব প্রথম প্রথম না করলেও, পরবর্তীতে মেয়ের কথা ভেবে রাজি হয়ে যায়। যাইহোক তটিনী এবং অপূর্ব কথাবার্তা বলে সিদ্ধান্ত নেয় তারা বিয়ে করবে।
এরইমধ্যে হঠাৎ করে রুনা খান কানাডা থেকে ৬ বছর পর বাংলাদেশে আসে। অপূর্বর বাসায় এসে মেয়েকে নিয়ে যেতে চায় কানাডায়। অপূর্ব বাঁধা দিলেও রুনা খান কোনো কথাই শোনে না। এমনকি বলে যে কোর্ট কাচারি করেও কোনো লাভ হবে না। সে তার মেয়েকে নিয়ে যাবেই। এসব শুনে অপূর্ব, তার মেয়ে এবং তটিনী কান্নায় ভেঙে পড়ে। তটিনী রুনা খানের সাথে আলাদা ভাবে দেখা করে বুঝায় যে, মেয়েটিকে যেন রুনা খান কানাডায় না নিয়ে যায়। তারপর রুনা খান তটিনীকে বলে যে, আমি কেনো তোমার মতো বহিরাগত মেয়ের কথা শুনবো। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।
উপরের সবগুলো ছবি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
অনেক সময় মা বাবার ভুলের কারণে ছোট শিশুদেরকে কষ্ট পেতে হয়। এই নাটকে রুনা খান অপূর্বকে ডিভোর্স দিয়ে তার মেয়েকে রেখে কানাডা চলে গিয়েছে। এমনকি তেমন কোনো যোগাযোগও করেনি কারো সাথে। এতে করে অপূর্বই তার মেয়েকে লালন পালন করে বড় করে তুলেছে। রুনা খান ছয় বছর পর বাংলাদেশে এসেছে মেয়েকে নিয়ে যেতে। কিন্তু তখন মেয়েটি অপূর্বকে ছেড়ে যেতে কোনোভাবেই রাজি হয় না। কারণ জন্মের পর থেকে মেয়েটি অপূর্বর সাথে ছিলো এবং তার প্রতি অনেক মায়া হয়ে গিয়েছে। এক পর্যায়ে ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে টানাটানি পর্যন্ত হয়। তাই ডিভোর্সের মতো এতো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, অবশ্যই সন্তানের কথা ভাবা উচিত। তবে এই নাটকে তটিনীর ভূমিকা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। তটিনী অপূর্বর অতীত জানার পরও,অপূর্ব এবং তার মেয়েকে মন থেকে মেনে নিয়েছে। এই ব্যাপারটা সত্যিই প্রশংসনীয়। মূলত তটিনীকে কেন্দ্র করেই নাটকের নামকরণ করা হয়েছে।
আমার রেটিং
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৮.৭.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter Link
সময়ের অভাবে নাটক আমারও দেখা হয় না। তবে এই নাটকটি আমি দেখেছি। চোখের কোনায় অজান্তেই পানি চলে আসে।
সকলেই বেশ সুন্দর অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে রুনা খান শেষে মেয়েকে অপূর্বর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ায় আরো বেশি ভালো লেগেছিল।
আসলেই এই নাটকটি হার্ট টাচিং আপু। গভীরভাবে দেখলে মনের অজান্তেই চোখে পানি চলে আসে। যাইহোক যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নাটক দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। যদিও এ নাটকটি দেখা হয়নি। তবে পুরো নাটকের রিভিউ পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাটকটি আসলেই ভিন্ন ধরনের আপু। সময় পেলে অবশ্যই দেখে নিবেন। আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাটকটা রিভিউ পোস্ট পড়ে খুব ভালো লেগেছে। আসলে বাচ্চারা কখনো মাকে ছাড়া থাকতে পারে না। মাকে ছাড়া বড় হতে তাদের অনেক বেশি কষ্ট হয়। আর যেহেতু তটিনীও বাবা মা হারানো ছিল তাই সে কষ্টটা বুঝতে পারে। আসলে ছোট বাচ্চাদেরকে রেখে বাবা-মা কোন কারনে ডিভোর্স নিলে, এটার সবচেয়ে বড় প্রভাবটা বাচ্চাদের উপরে পড়ে। যার জন্য ডিভোর্স নেওয়ার আগে শতবার ভেবে নেওয়া উচিত। শেষে কি হল তা তো জানতে পারলাম না। তা জানার জন্য অবশ্যই নাটকটা দেখার চেষ্টা করব সময় পেলে।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু, ডিভোর্সের মতো এতো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শতবার ভাবা উচিত। কারণ এতে করে মারাত্মক ভাবে সন্তানের প্রতি প্রভাব পড়ে। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কি বলবো ভাইয়া এবার ঈদের সেরা একটি নাটক। নাটকটি দেখে কেঁদে ফেলেছি। নাটকটির গল্প ছিলো সত্যি অসাধারণ। আজকে আপনার রিভিউ পোস্ট দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। অপূর্ব আর তটিনী চমৎকার অভিনয় করেছেন। ছোট মেয়েটিকে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তার অনেক নাটক দেখেছি কিউট দেখতে।
নাটকটি দেখে আমার চোখের কোণেও পানি চলে এসেছিল ভাই। একেবারে বাস্তবসম্মত একটি নাটক। যাইহোক গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বহিরাগত নাটক টার রিভিউ পোস্ট পড়ে খুব ভালো লেগেছে। অপূর্বের বেশিরভাগ নাটকই আমার দেখা হয়। আর এই নাটকটা মনে হয় এখনো পর্যন্ত আমার দেখা হয়নি। এই নাটকটার সম্পূর্ণ কাহিনী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আপনার রিভিউর মাধ্যমে পড়ে। তটিনী অপূর্বের অতীত জানার ফলে ও তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে এবং অপূর্বের মেয়েকে খুব আদর করতো ,এই বিষয়গুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।
সময় পেলে নাটকটি অবশ্যই দেখে নিবেন ভাই। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।