প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আবারো স্পোর্টস বিষয়ক একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। ক্রিকেট খেলা ছোটবেলা থেকেই আমার ভীষণ পছন্দ। তাই চেষ্টা করি সবসময় ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে। আপনারা অনেকেই জানেন যে,বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকা দলের ওয়ানডে সিরিজ চলছে। যাইহোক গতকালকে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। টস জিতে শ্রীলংকা দলের অধিনায়ক ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই মাঠে মোটামুটি ভালো রান হয়। যাইহোক বাংলাদেশ দল ইনিংসের প্রথম ওভারেই লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর সৌম্য সরকার এবং শান্ত দারুণ ব্যাট করতে থাকে। তারা চাপ কাটিয়ে দলকে বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন দেখায়। আসলে যেকোনো ম্যাচে পার্টনারশিপ খুবই জরুরী।

স্ক্রিনশট - টিএনটি স্পোর্টস ২

বড় পার্টনারশিপ গড়তে পারলে নিজেদের ইনিংসের স্কোর এমনিতেই বড় হয়। তাছাড়া ছোট ছোট যদি কয়েকটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলা যায় ওয়ানডে ম্যাচে,তাহলে ভালো একটা অবস্থানে যাওয়া যায়। যাইহোক ভালো ব্যাট করতে থাকা শান্ত আউট হয়ে যাওয়ার পর সৌম্য এবং তাওহীদ হৃদয় জুটি গড়ার চেষ্টা করতে থাকে। যদিও হৃদয় প্রথম দিকে স্ট্রাগল করছিলো। কারণ সেভাবে রান পাচ্ছিলো না হৃদয়। অপরদিকে সেট ব্যাটসম্যান সৌম্য বেশ সাবলীলভাবে ব্যাটিং করছিলো। সৌম্য বেশ ভালোই বাউন্ডারি পাচ্ছিলো। কিন্তু হাসারাঙ্গার একটি বলে রিভার্স সুইপ করে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়ে। একটি অসাধারণ ক্যাচ তালুবন্দী করে শ্রীলংকান ফিল্ডার। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যাট করতে নেমেই আউট হয়ে যায়। তখন বাংলাদেশ আবারও চাপে পড়ে যায়। আসলে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের এই সমস্যা মনে হয় কখনোই ঠিক হবে না।

স্ক্রিনশট - টিএনটি স্পোর্টস ২

কারণ একজন আউট হওয়ার পর,সিরিয়ালি আউট হতে থাকে। বাংলাদেশ দলের রান রেট কিন্তু দারুণ ছিলো। ২০/২৫ ওভার পর্যন্ত রান রেট ৬ বা এর চেয়ে একটু বেশি ছিলো। কিন্তু পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে রান রেট কমে যায়। একটা সময় ভেবেছিলাম ৩০০+ স্কোর হবে। কারণ হাতে পর্যাপ্ত উইকেট ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আর হয়নি। যাইহোক হৃদয় শেষের দিকে বেশ ভালোই বাউন্ডারি হাঁকায়। সেই সুবাদে বাংলাদেশ দল শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৮৬/৭ রান করতে সক্ষম হয়। তবে অল্পের জন্য হৃদয় সেঞ্চুরি মিস করে। যদিও সে অপরাজিত থাকে। শ্রীলংকান স্পিনার হাসারাঙ্গা সবচেয়ে ভালো বোলিং করে। জবাবে ২৮৭ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামা শ্রীলংকা দল প্রথমেই তাদের তিনজন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। তবে তাদের উইকেট পরলেও, রান রেট ঠিক ছিলো। যাইহোক পাথুম নিসাংকা এবং আসালাঙ্কা একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।

স্ক্রিনশট - টিএনটি স্পোর্টস ২

মূলত এই জুটির উপর ভিত্তি করেই শ্রীলংকা দল জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। বাংলাদেশ দলের বোলাররা প্রথম দিকে চাপে রাখতে সক্ষম হলেও,পরবর্তীতে সেই চাপ আর ধরে রাখতে পারেনি। যাইহোক শেষ পর্যন্ত টার্গেট চেজ করতে তেমন কোনো সমস্যাই হয়নি শ্রীলংকা দলের। তারা ১৭ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটের জয় পায়। বাংলাদেশ দলের স্পিনার তাইজুল ইসলাম সবচেয়ে বাজে বোলিং করে এই ম্যাচে। তাছাড়া অন্যান্য বোলাররা এভারেজ বোলিং করে। যাইহোক সেরা পারফরম্যান্সের জন্য পাথুম নিসাংকা ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়। এই জয়ের মাধ্যমে সিরিজে ১-১ এ সমতা এনেছে শ্রীলংকা দল। পরবর্তী ম্যাচটি হচ্ছে অঘোষিত ফাইনাল ম্যাচ। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত এই সিরিজটি কোন দল জিততে সক্ষম হয়। সবমিলিয়ে ম্যাচটি বেশ উপভোগ করেছি।

স্ক্রিনশট - টিএনটি স্পোর্টস ২