লাইফস্টাইল পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে সরিষা ক্ষেতে ঘুরাঘুরি এবং টাটকা সবজি কেনার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গত পরশুদিন অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে আমাদের একটা দাওয়াত ছিলো এক আত্নীয়ের বাসায়। মূলত সেই আত্নীয়ের সন্তান হয়েছিল কিছুদিন আগে। তাই বাড়িতে ছোটখাটো একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল এবং আমাদেরকে দাওয়াত দিয়েছিল। তো জুমা’র নামাজের পর বাসা থেকে রেডি হয়ে আমি এবং আমার স্ত্রী বের হলাম। সেই আত্মীয়ের বাসা আমার বাসা থেকে একেবারে কাছাকাছি। ১০/১৫ মিনিটের মধ্যেই চলে গেলাম সেখানে। অবশ্য আমি শুক্রবার সকালে নতুন অতিথির জন্য আমার শ্বাশুড়িকে দিয়ে কাপড়চোপড়, বেবি বেডিং সেট কিনে আনিয়েছিলাম।
কারণ আমি এসব জিনিস কিনতে পারি না সেভাবে। যাইহোক আমরা আত্নীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে, অল্প একটু দূরে সরিষা ক্ষেতে ঘুরতে গেলাম। কারণ আমাদের কমিউনিটিতে অনেকেই দেখলাম ইতিমধ্যে সরিষা ক্ষেতে ঘুরাঘুরি করে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। তাই কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম সরিষা ক্ষেতে ঘুরতে যেতে হবে। আর এমনিতেও সরিষা ক্ষেতে ঘুরাঘুরি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কারণ সরিষা ফুলের ঘ্রাণ আমার খুব ভালো লাগে। আমরা সরিষা ক্ষেতে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম এবং আমার ওয়াইফকে বললাম বাসায় চলে যাবো। কিন্তু সে বললো যে রিকশা দিয়ে কিছুক্ষণ ঘুরবে। কারণ রিকশা দিয়ে ঘুরতে তার খুবই ভালো লাগে।
তারপর আমরা একটা রিকশা নিয়ে লাঙ্গলবন্দ বাজারের দিকে চলে গেলাম। গিয়ে দেখলাম সেখানে হাট বসেছে। এমনিতে জানি যে শুক্রবারে লাঙ্গলবন্দ বাজারে হাট বসে থাকে,তবে আমার সেটা মনে ছিলো না। যাইহোক হাটের মধ্যে একেবারে তাজা শাকসবজি ছিলো। তখন আমার ওয়াইফ বললো কিছু শাকসবজি কিনতে। প্রথমে আমি দ্বিমত পোষণ করলেও,পরবর্তীতে রাজি হয়ে যাই। কারণ টাটকা সবজি আমারও ভীষণ পছন্দ। এরপর আমরা শিম,ফুলকপি, টমেটো, নতুন আলু,বেগুন, মটরশুঁটি, পেঁয়াজ, পেঁয়াজ পাতা এবং আরও বিভিন্ন ধরনের টাটকা সবজি কিনে একেবারে ব্যাগ ভরে ফেললাম। এরপর ওয়াইফ এর কথামতো মসলা কিনতে গেলাম একটি মসলার দোকানে।
আসলে হাটের দিন সেখানে অনেক কিছু পাওয়া যায়। যাইহোক আমরা মসলার দোকানে গিয়ে ধনিয়ার গুঁড়া, জিরাগুঁড়া, দারচিনি, এলাচি,কালোজিরা এবং এক কেজি চিঁড়া কিনলাম। তারা নাকি ধনিয়া এবং জিরা মেশিনে ভাঙ্গিয়ে নিয়ে আসে। জিরা এবং ধনিয়ার গুঁড়ার ঘ্রাণ বেশ ভালো ছিলো। যাইহোক কেনাকাটা শেষ করে, আমরা চলে গেলাম ফলের দোকানে। কারণ আমার উকিল শ্বশুরের ছেলের হাত ভেঙে গিয়েছে। তাই তাকে দেখতে তাদের বাসায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফল কিনলাম। অবশ্য উকিল শ্বশুরের বাসা আমার বাসার একেবারে কাছাকাছি। তাই একটি অটো নিয়ে প্রথমে বাসায় আসলাম। তারপর সবজিগুলো বাসায় রেখে আমার ওয়াইফকে নিয়ে চলে গেলাম উকিল শ্বশুরের বাসায়।
তারপর উনার ছেলের কিভাবে হাত ভেঙেছে এবং হাতের কি অবস্থা ছিলো তখন, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করলাম। তারপর আমরা সবার সাথে গল্প করতে করতে বেশ কয়েক ধরনের পিঠা খেলাম উনাদের বাসায়। তারপর উনাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। কারণ বাসায় একটু কাজ ছিলো। যাইহোক একদিনে বিভিন্ন জায়গায় গেলাম আমি এবং আমার ওয়াইফ। বেশ ভালোই লেগেছিল এখানে সেখানে যেতে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল সরিষা ক্ষেতে ঘুরতে গিয়ে এবং রিকশা দিয়ে ঘুরতে। তারপর টাটকা সবজি কিনে ও খুব ভালো লেগেছিল। কারণ ওয়াইফ সাথে ছিলো বলে সবজি কিনতে খুব সুবিধা হয়েছিল। সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম আমরা।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৩১.১২.২০২৩ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Twitter Link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সরিষা ফুলের সুন্দর্য় উপভোগ করতে সবাই গেছে প্রায় এবং সুন্দর সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছে আমাদের সাথে।আপনিও খুব সুন্দর অনুভূতি আজ শেয়ার করলেন আমাদের সাথে।আমারও সরিষা ফুলের ঘ্রাণ খুব ভালো লাগে।সবজি,মসলা এবং দাওয়াত বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাচ্চার জিনিসপত্র কেনা। আপনার উকিল শ্বশুড়ের ছেলের হাত ভেঙ্গে গেছে জন্য তাকে দেখতে যাওয়া সব মিলিয়ে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু অনেকেই সরিষা ক্ষেতে ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করছে। সবমিলিয়ে আমরা দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এমন প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সত্যি ভাইয়া সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
নিশ্চয়ই ভাবির সাথে এখানে অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন।
সরিষা ফুলের সুগন্ধ আর মৌমাছির ভন ভন আওয়াজ এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি জাগায়।
আমিও বেশ কয়েকদিন আগে সরিষা ক্ষেত ভ্রমণ করে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি।
সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন,জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক এভাবে উৎসাহিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে কমবেশি সবার কাছে বেশ ভালো লাগে। কাছ থেকে এরকম সরিষা খেত দেখার আনন্দই আলাদা। সরিষা ক্ষেত দেখার পাশাপাশি সাথে টাটকা শাকসবজিও কিনেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। দাওয়াত খাওয়া। সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য উপভোগ করা। উকিল শ্বশুরের ছেলের হাত ভেঙ্গে গেছে তাকে দেখে আশা। সব মিলিয়ে বেশ ভালো সময় পার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু সরিষা ক্ষেতে ঘুরাঘুরি করার পর, আমরা হাটে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের টাটকা সবজি কিনেছিলাম। তারপর উকিল শ্বশুরের বাসায় গিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি আমরা। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
লাঙ্গলবন্দ এখানে আমার মামা জব করতো সে সুবাধে একবার যাওয়া হয়েছিল। অতিথের বাড়িতে গিয়ে সরিষার ক্ষেতের সৌন্দর্য উপভোগ করা হলো সেই সাথে টাটকা সবজিও কিনতে পারলেন। গ্রামের সাইডে টাটকা সবজি বেশি পাওয়া যায়। যাক আপু আর আপনি ভালো সময় কাটিয়েছেন
হ্যাঁ ভাই আপনি একবার বলেছিলেন লাঙ্গলবন্দ এসেছিলেন অনেক আগে। আমরা আসলেই খুব ভালো সময় কাটিয়েছি ভাই। যাইহোক প্রতিনিয়ত এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বাহ!!আপনি এবং আপনার ওয়াইফ সারাদিনে অনেক জায়গায় ঘুরেছেন৷ সরিষা ক্ষেতে ঘুরাঘুরি তারপর টাটকা সবজি কেনা। সব মিলিয়ে খুব ভালো সময় পার করেছেন।তারপর আপনার উকিল শশুরের ছেলের হাত ভেঙে গিয়েছে সেখানেও গিয়েছেন বিভিন্ন রকম ফল কিনে নিয়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, আমরা দু'জন সেদিন বেশ কয়েক জায়গায় গিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়ে সরিষা ক্ষেতের মাঝখানে খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সরিষার মাঝে সময় কাটাতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে সময়টা যদি বিকেলবেলা হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই, যাইহোক সেখান থেকে আবার টাটকা সবজি কিনেছেন জেনে খুশি হলাম যদিও প্রথমে সবজি কেনার তেমনি ইচ্ছে ছিল না। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমরা বিকেলের দিকেই সরিষা ক্ষেতে গিয়েছিলাম,তবে রোদ বেশ ভালোই ছিলো। যাইহোক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।