লাইফস্টাইল পোস্ট || ব্যক্তিগত কাজের পাশাপাশি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কয়েকদিন আগে আমি এবং আমার দুইজন বন্ধু বিকেলবেলা বের হয়েছিলাম। মূলত আমার বাড়ির নির্মাণ কাজের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে হবে। যেমন: হাই কমোড,পানির কল এই জাতীয় অনেক স্যানিটারি মালামাল কিনতে হবে। আমাদের বাসার কাছেই মদনপুরের একটি দোকানে ঢুকলাম সবকিছু কেনার জন্য। প্রথমেই মিস্ত্রির লিস্ট অনুযায়ী সবগুলো মালামাল আছে কিনা সেটা জানলাম। তারপর হাই কমোড থেকে শুরু করে যাবতীয় জিনিসপত্র আমি পছন্দ করলাম। মালামাল পছন্দ করতে আমার বন্ধুরাও আমাকে হেল্প করল। তারপর মেমো করে সব মালামাল রেডি করতে বললাম। যেহেতু অনেক মালামাল ছিলো সেজন্য সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। দোকানদার বললো যে সবকিছু রেডি করতে ৩০/৪০ মিনিট সময় লাগবে।

20230709_184218.jpg

20230709_184249.jpg

20230709_184304.jpg

আমরা এই ফাঁকে চলে গেলাম ভোজন বিলাস রেস্টুরেন্টে। কারণ এই রেস্টুরেন্টটি সেই দোকান থেকে মাত্র দুই মিনিটের দুরত্ব। যাইহোক আমরা রেস্টুরেন্টের ঢোকার পর চিকেন ফ্রাই এবং চিকেন কর্নস্যুপ অর্ডার করলাম। চিকেন ফ্রাই একটু স্পাইসি করতে বললাম এবং চিকেন কর্ন স্যুপে কর্নের পরিমাণ একটু বাড়িয়ে দিতে বললাম। কারণ এই রেস্টুরেন্টের চিকেন কর্নস্যুপে কর্নের পরিমাণ মাঝেমধ্যে খুবই কম দেয়। আর চিকেন ফ্রাই একটু স্পাইসি না হলে খেতে ভালো লাগে না আমার। এই রেস্টুরেন্টেটি আমাদের বাসার কাছাকাছি হওয়ায়, প্রায় সময় এই রেস্টুরেন্টে আসা হয় আমাদের। যেহেতু বিকেল বেলা ছিলো,তাই আমরা বিকেলের নাস্তা হিসেবে এই খাবারগুলো অর্ডার করলাম। এই রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন তেমন ভালো না হলেও, খাবারের কোয়ালিটি মোটামুটি ভালো।

20230709_184152.jpg

20230709_184149.jpg

20230709_184159.jpg

আমরা খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম এবং গল্পগুজব করতে লাগলাম। যাইহোক খাবার আসার পর খেয়ে দেখলাম খাবারের স্বাদ বেশ ভালো। চিকেন ফ্রাই এবং চিকেন কর্নস্যুপ খাওয়ার পর আমরা কোল্ড ড্রিংকস পান করলাম। তারপর বিল দিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গেলাম। সবমিলিয়ে খাবারের কোয়ালিটি দারুণ ছিলো। যাইহোক তারপর আমরা সেই দোকানে চলে গেলাম মালামাল নেওয়ার জন্য। যাওয়ার পর দেখলাম সবকিছু তখনও রেডি হয়নি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সবকিছু রেডি করে দিল। তারপর একটি ভ্যান ভাড়া করলাম মালামাল বাসায় নেওয়ার জন্য। প্রায় ৬০,০০০ টাকার মতো বিল আসলো। আমি ৫০,০০০ টাকা বিল দিলাম এবং বললাম যে বাকি ১০,০০০ টাকা ভ্যানওয়ালা মালামালগুলো বাসায় দিয়ে আসার সময় তার কাছে দিয়ে দিবো। তারপর আমরা তিনজন বাসার দিকে রওনা দিলাম। যাইহোক কাজের পাশাপাশি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করা হয়ে গেল। সবমিলিয়ে বেশ ভালোই কাটলো পুরোটা সময়।

20230709_184317.jpg

20230709_184545.jpg

20230709_195751.jpg

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিলাইফস্টাইল
ফটোগ্রাফার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy Note 20 Ultra 5g
তারিখ২১.৭.২০২৩
লোকেশনw3w

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG_20220605_234413_388.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

বাসার কাজ বেশ জোরে জোরে চলছে বোঝা যাচ্ছে। এরকম সেনেটারি জিনিসগুলো পছন্দ করা বেশ মুশকিল। আপনার বন্ধুকে সাথে নিয়ে গিয়েছেন দেখে ভালো হয়েছে। তাছাড়া ৩০/৪০ মিনিট ওখানে বসে না থেকে বাইরে এসে বেশ মজাদার খাওয়া-দাওয়া করেছেন। আশা করি এগুলো ফিটিংস শেষ হলে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

হ্যাঁ আপু এক ফ্ল্যাটের কাজ ইতিমধ্যে শেষ করে শিফট হয়ে গিয়েছি। আরেকটি ফ্ল্যাট এর সম্পূর্ণ কাজ শেষ হতে ১৫-২০ দিন সময় লাগবে আরো। অবশ্যই শেয়ার করবো আপু। পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

ব্যক্তিগত কাজ সেরে বন্ধুবান্ধব নিয়ে জম্পেশ আড্ডা মেরে খেতে বসতে আসলে অনেক ভালোই লাগে।ফেনীতে দাওয়াত রইলো একদিন চলে আসবেন জম্পেস আড্ডা হবে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনি ঠিক বলেছেন ভাই, বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া করতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। অবশ্যই যাওয়ার চেষ্টা করবো ভাই। আপনাদেরও দাওয়াত রইল। ভালো থাকবেন সবসময়।

 last year 

একটা কাজের পাশাপাশি দেখছি রেস্টুরেন্টে গিয়ে আপনাদের খাওয়া-দাওয়া ও বেশ ভালো হয়েছে। তিন বন্ধু মিলে খুবই মজা করে খেয়েছিলেন রেস্টুরেন্টে গিয়ে তাহলে। রেস্টুরেন্টের খাবারের মান গুলো ভালো ছিল এটা জেনে ভালো লাগলো। আপনার আপনি দেখছি প্রায় ষাট হাজার টাকার মতো মালামাল কিনেছেন। সব মিলিয়ে আপনাদের সময় বেশ ভালোই কেটেছিল তাহলে। শেয়ার করলেন দেখে খুব ভালো লেগেছে।

 last year 

হ্যাঁ আপু আমরা সবাই মিলে খুব মজা করে খেয়েছিলাম। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছি আমরা। পোস্ট পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

একদিকে কাজ শেষ আবার এমন যদি সুন্দর এবং মজাদার খাবার খাওয়া যায় তাহলে মনটা একদম ফুরফুরে হয়ে যায়। আমার তো চিকেন ফ্রাইয়ের সাথে স্যুপ অনেক ভালো লাগে। স্যুপ খেলে অনেক এনার্জি চলে আসে আপনি যেহেতু চিকেন ফ্রাই এর সাথে খেলেন দারুন। আপনি ঠিক বললেন চিকেন ফ্রাই যদি একটু স্পাইসি হয় তাহলে খেতে দারুন লাগে। সব বন্ধুদের মিলে খুব সুন্দর সময় কাটালেন খাওয়া দাওয়া করলেন অসাধারণ ভালো লাগলো পড়ে।

 last year 

আপনার মতো আমারও চিকেন ফ্রাই এর সাথে স্যুপ খেতে খুব ভালো লাগে আপু। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

নিজের কর্মের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার মজার আলাদা। অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে। লাইফস্টাইল জাতীয় পোস্টগুলো আমার এমনিতে ভালো লাগে কারণ এখানে নতুন নতুন কিছু জানতে পারি আর বন্ধুরা কিভাবে চলাচল করছে সেটাও দেখতে পারি।

 last year 

আপনার কাছে পোস্টটি খুব ভালো লেগেছে, জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ভাই আপনার পোস্ট পড়ে বোঝা গেল আপনি খুব বুদ্ধি করে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন। একদিকে যেমন বাড়ির জন্য স্যানেটারী মালামাল ক্রয় করা অন্যদিকে রেস্টুরেন্টে গিয়ে মুখরোচক খাবার খাওয়া। আর হ্যাঁ ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেয়ে যদি স্বাদ পাওয়া যায় তাহলে খুবই ভালো লাগে, তা না হলে বিরক্তির শেষ থাকেনা। যাইহোক ভাই, ব্যক্তিগত কাজের পাশাপাশি রেস্টুরেন্টের খাওয়া দাওয়া নিয়ে আপনার সুন্দর অনুভূতিটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

আপনি ঠিক বলেছেন ভাই, এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়েছে সেদিন। এই রেস্টুরেন্টের খাবার মোটামুটি ভালো হয়। যাইহোক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 66740.62
ETH 3336.11
USDT 1.00
SBD 2.72