লাইফস্টাইল পোস্ট || কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কেনার ব্যর্থ অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গত সপ্তাহের বুধবার অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি আমি এবং আমার ওয়াইফ কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়েছিলাম, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কিনতে। যদিও আমরা টিকেট কিনতে পারিনি এবং সেই ব্যর্থ অভিজ্ঞতা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। মূলত আমরা প্ল্যান করেছি ফেব্রুয়ারী মাসের ১০ তারিখের পর কক্সবাজার ট্যুরে যাবো। যাইহোক এর আগে বাসে এবং প্লেনে চড়ে কক্সবাজার গিয়েছি বেশ কয়েকবার। কিন্তু ট্রেনে চড়ে কখনো কক্সবাজার যাওয়া হয়নি। কারণ ট্রেনে করে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ আগে ছিলো না। আপনারা জানেন যে, মাত্র দুই মাস আগে থেকে অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার ট্রেন। ট্রেন জার্নি বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ।
তাই আমাদের দুজনের ইচ্ছে ছিলো ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাওয়ার। মূলত কয়েকদিন ধরেই অনলাইন থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কেনার চেষ্টা করছি। অনলাইনে সকাল আটটা বাজে টিকেট ছাড়ে এসি-স্নিগ্ধা এবং শোভন-চেয়ার মিলে প্রায় ৪০০ টিকেটের মতো। কিন্তু ৮ টা বাজে টিকেট ছাড়ার ২/১ মিনিটের মধ্যেই টিকেট গুলো বিক্রি হয়ে যায়। কোনোভাবেই টিকেট কিনতে পারছিলাম না কয়েকদিন ট্রাই করে। অনলাইনে মূলত আগামী ১০ দিনের টিকেট পাওয়া যায়। আসলে ২/১ মিনিটের মধ্যে কখনোই সাধারণ লোকেরা এতগুলো টিকেট কিনতে পারবে না। যতই যাত্রীদের চাপ থাকুক না কেনো। হয়তো টিকেট গুলো কোনো এজেন্সি কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান হ্যাক করে নিয়ে যায়। নয়তো ৮ টার সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার সাথে সাথেই প্রায় সবগুলো টিকেট বিক্রি হয়ে যায় কিভাবে, সেটা আমার বোধগম্য হয় না।
পরবর্তীতে ২/১ মিনিট অল্প কিছু টিকেট শো করলেও, ক্লিক করলেই লেখা আসে টিকেট এভেলেবেল নেই। যাইহোক ২/৩ দিন সকালে চেষ্টা করার পর, টিকেট কিনতে না পেরে সহজ.কম এর কাস্টমার কেয়ারে ফোন করলাম টিকেট কেনার জন্য। কিন্তু কাস্টমার কেয়ার থেকে বললো ট্রেনের টিকেট বিক্রি করে না। পরবর্তীতে কয়েকজনের কাছ থেকে জানতে পারলাম যে,কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গেলে হয়তোবা কোনো ব্যবস্থা হতে পারে। আমিও ভেবেছিলাম হয়তো দালালদের কাছ থেকে টিকেট কিনতে পারবো। যাইহোক কমলাপুর রেলস্টেশনে যাওয়ার পর প্রথমে কাউন্টারে খোঁজ করলাম টিকেটের। কিন্তু তারা বললো কাউন্টারে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট বিক্রি করা হয় না এবং ১০০% টিকেট অনলাইনে বিক্রি করা হয়। তারপর তথ্য ও অনুসন্ধান কেন্দ্রে গিয়ে টিকেট এর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করার পর তারা একই কথা বললো।
তখন আমি তাদেরকে বললাম অনলাইনে টিকেট ছাড়ার সাথে সাথেই টিকেট বিক্রি করা হয়ে যায়। এই টিকেট গুলো নিশ্চয়ই কোনো এজেন্সি বা প্রতিষ্ঠান হ্যাক করে নিয়ে যায়। তারা দুইজন আমার কথা শুনে মিটমিটিয়ে হাসলো এবং বললো যে সারাদিন আমরা একই অভিযোগ শুনি। আমাকে বললো আপনি কিছুক্ষণ বসেন,দেখবেন যে অনেক যাত্রী এসে এসব বলবে। কি আর করার,এরপর দালাল খুঁজতে লাগলাম টিকেটের জন্য। কিন্তু একেবারে অবাক কান্ড, দালালের আনাগোনা একেবারেই ছিলো না। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম পুলিশের পিটানি খেয়ে দালালেরা দৌড়ের উপর আছে। টিকেট কিনতে না পেরে মনটা কিছুটা খারাপ হয়ে গেলো। এরপর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে একটু ঘুরাঘুরি করলাম এবং কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম। তারপর আমরা নয়া পল্টনের পলওয়েল সুপার মার্কেটে এবং গাজী ভবনে গেলাম জুতা কিনতে। সেই গল্প আপনাদের সাথে পরবর্তীতে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৫.২.২০২৪ |
লোকেশন | কমলাপুর রেলস্টেশন,ঢাকা |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
২-১ মিনিটে ৪০০ টিকিট শেষ হয়ে যায় জেনে অবাক হলাম। আপনি দুই তিন দিন চেষ্টা করেও টিকিট কিনতে পারেননি তাহলে এতগুলো টিকিট যায় কোথায় সত্যিই ভাবার বিষয়। যাইহোক আরো কয়েকদিন চেষ্টা করেন দেখেন যদি টিকিট পান তো ভালো আর না পেলে তো অন্য যানবাহনে যেতে হবে হয়তো।যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে টিকিট কিনতে না পারার গল্পটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে টিকেট গুলো হ্যাক করে নিয়ে যায় ভাই। সেজন্যই ২/১ মিনিটের মধ্যেই টিকেট শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাওয়া খুবই কঠিন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এ এক আজব দেশ ২-৩মিঃ মধ্যে সব টিকেট বিক্রি হয়ে যায়। অনলাইনে টিকেট কিনে কক্সবাজার যাওয়ার ইচ্ছা আপনার কখনই পূরন হওয়া সম্ভব নয় যদি এ অবস্থা থাকে টিকেট এর। তবে আপনি অনেকভাবে চেস্টা করেছেন টিকেট সংগ্রহের দেখেন চেস্টা করে যাদি ভাগ্য ভালো থাকে পেয়ে যাবেন। টিকেট কিনতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু মনে হচ্ছে ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাওয়া হবে না অন্তত ২/৩ বছর। কারণ বাঙালিরা নতুন কিছু পেলে এমনিতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ট্রেনের টিকেটের ব্যবসাতে কি লেভেলের দূর্নীতি যে হয় ভাইয়া কি আর বলবো! ২-১ মিনিটের ব্যবধানে কিভাবে হাওয়া যায় টিকেট! তবে আমি বলবো আপনাকে, ফোনের ডাটা দিয়ে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। ওয়াইফাই দিয়ে এমন করে মাঝে মাঝে।
বলেন কি ভাই, ভালো একটা আইডিয়া দিয়েছেন তো। কালকে সকালেই মোবাইলের ডাটা দিয়ে ট্রাই করবো ইনশাআল্লাহ। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর পরামর্শ দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া আমি আগে থেকেই জানি যে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট অফলাইনে দেয় না। অনলাইন থেকে নিতে হয়। অনলাইনে শোভন চেয়ার ছিট না পেলেও স্নিক্দা টিকেট পাবেন। আর চেষ্টা করলে শোভনও পাবেন। একবার না পারিলে দেখো শত বার,হা হা হ। ধন্যবাদ।
অফলাইনে টিকেট দেয় না আমিও জানি,তবে ভেবেছিলাম যদি দালালদের মাধ্যমে টিকেট ম্যানেজ করা যায়। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি তো কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটার অনেক চেষ্টাই করেছেন। তবে এটি ঠিক ট্রেনে যেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বর্তমান সময়ে অনলাইন বলতে কিছু বুঝানো ঠিকমতো সবাই কিনতে পারে না। তবে এরকম ট্রেনের টিকিটগুলো দালালের হাতে চলে যায়। সত্যিই অবাক করার বিষয় হচ্ছে আপনি দালাল থেকে ও টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন নাই। আর মনে আগ্রহ থাকলেও অনেক সময় ভাগ্যের কারণে যাওয়ায় হয় না। আর এই ব্যর্থ অভিজ্ঞতা খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আসলে টিকেট গুলো হ্যাক করে নিয়ে যায়। সেজন্যই টিকেট অনলাইনে ছাড়ার ২/১ মিনিটের মধ্যেই, সব টিকেট বিক্রি হয়ে যায়। যাইহোক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।