ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে রমনা পার্ক ভ্রমণ (১ম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। আসলে আমি ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ পছন্দ করি, তবে ব্যস্ততার কারণে এখন তেমন একটা ঘুরাঘুরি করার সুযোগ হয়ে উঠে না। তবুও চেষ্টা করি অন্তত মাসে ২/১ বার কোথাও ঘুরতে যেতে। যাইহোক এই মাসের ৪ তারিখ আমি এবং আমার ওয়াইফ রমনা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমরা যেদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম,তার আগের দিন রাতেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম, পরের দিন লাঞ্চের আগে বাসা থেকে বের হবো এবং বাহিরে খাওয়া দাওয়া করে, তারপর রমনা পার্কের ভিতরে ঢুকবো। তো আমাদের প্ল্যান ছিলো লাঞ্চ করে রমনা পার্কে ঘুরাঘুরি করে, তারপর এলিফ্যান্ট রোড এবং নিউমার্কেট যাবো কিছু কেনাকাটা করতে।
তো আমরা বাসা থেকে বের হলাম দুপুর ২টার কিছুক্ষণ আগে। সেদিন রাস্তায় গাড়ি খুবই কম ছিলো। কারণ ২ দিন পর অর্থাৎ ৭ তারিখে নির্বাচন ছিলো। তাই আমরা ৩০ মিনিটের মধ্যেই গুলিস্তান পৌঁছে গেলাম। তারপর গুলিস্তানের পিঠাঘর রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম লাঞ্চ করতে। আসলে পিঠাঘর রেস্টুরেন্টের মাটন ভুনা খিচুড়িটা আমার ভীষণ পছন্দ। এই খিচুড়িটা আমি বেশ কয়েক বছর ধরেই খাচ্ছি পিঠাঘর রেস্টুরেন্টে। একসময় এই রেস্টুরেন্টে ভুনা খিচুড়ির সাথে এক ধরনের আচার দেওয়া হতো, যেটা খেতে দারুণ লাগতো। তবে এখন আচার দেওয়া হয় না। যাইহোক আমি মাটন ভুনা খিচুড়ি অর্ডার করলাম আমার জন্য এবং আমার ওয়াইফ এর জন্য চিকেন খিচুড়ি অর্ডার করলাম। কারণ আমার ওয়াইফ মাটন একেবারেই পছন্দ করে না।
যাইহোক খাবারের মান বেশ ভালো ছিলো। পিঠাঘর রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন ধরনের পিঠা পাওয়া যায় সবসময়। আমি মাঝেমধ্যে পিঠাঘর রেস্টুরেন্টে পিঠা খেয়ে থাকি এবং বাসায়ও পার্সেল করে নিয়ে আসি। যাইহোক আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গেলাম। তারপরে একটা রিকশা নিয়ে সোজা চলে গেলাম রমনা পার্কের ভিতরে। আমরা জানি যে রমনা পার্কের এরিয়া বিশাল। যাইহোক প্রথমে আমরা রমনা পার্কের ভিতরে থাকা কাঠের ব্রিজ দেখতে চলে গেলাম। কারণ কয়েকমাস আগেও যখন আমরা রমনা পার্কে গিয়েছিলাম,তখনও ইচ্ছে ছিলো কাঠের ব্রিজ দেখার। কিন্তু তখন হাতে পর্যাপ্ত সময় ছিলো না বিধায়, কাঠের ব্রিজ দেখার সুযোগ পাইনি। তাই এবার প্রথমেই কাঠের ব্রিজ দেখতে চলে গিয়েছিলাম। এই কাঠের ব্রিজ ২০২২ সালে নির্মাণ করা হয়েছে।
কাঠের ব্রিজ তৈরি করার পর মানুষের ভিড় অনেকটা বেড়েছে। যদিও এমনিতেই রমনা পার্কে মানুষের আনাগোনা থাকে সবসময়। তবে লেকের পাড়ে এতো সুন্দর কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করায়,লেকের সৌন্দর্য অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। দর্শনার্থীরা কাঠের ব্রিজে হেঁটে হেঁটে লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে। লেকের মধ্যে স্পিড বোট রয়েছে পানিতে ঢেউ দেওয়ার জন্য এবং বোটে চড়ার সুযোগ রয়েছে। অনেকে বোটে চড়ে ভীষণ আনন্দ করছিল। আমরা দু'জন বোটে চড়িনি, কারণ আমরা দু'জন সাঁতার পারি না। তাই বোটে খুব কম চড়া হয় আমাদের। যাইহোক আমরা দু'জন লেকের পাড়ের কাঠের ব্রিজে হাঁটাহাঁটি করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গল্প করতে লাগলাম। তাছাড়া আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। এরপর আর কি কি করলাম এবং কোথায় কোথায় ঘুরলাম, সেটা জানতে হলে অবশ্যই আপনাদেরকে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 ultra 5g |
তারিখ | ২৮.১.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ভাবিকে নিয়ে রমনা পার্ক ভ্রমণ করতে গিয়ে অনেক সুন্দর মহূর্ত উপভোগ করেছেন। রমনা পার্ক গিয়েছিলাম অনেক দিন আগে। আজকে আপনার মাধ্যমে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে পড়ে গেলো। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই আমরা বেশ উপভোগ করেছি পুরোটা সময়। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
X-promotion
ভাবিকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন দেখছি। তবে ভাবি মাটন খিচুড়ি পছন্দ না করলে সে ভাগ আমরা নিয়ে নেব। ভাবিকে শুধুমাত্র চিকেন খিচুড়িই খেতে দেব। দুজন মিলে এভাবে ঘুরাঘুরি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। ঘোরাঘুরি করলে মন যেমন ভালো থাকে তেমনি শরীরটাও ক্লান্তি দূর করতে পারে। কিছুদিনের মধ্যে আমরাও ঘুরতে যাবে ইনশাল্লাহ।
আপনাদের ভাবী শুধু মাটন খিচুড়ি না,মাটন দিয়ে তৈরি কোনো কিছুই পছন্দ করে না। আমাদেরও প্ল্যান রয়েছে আগামী মাসে কক্সবাজার যাওয়ার। যাইহোক আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল আপু। আশা করি ঘুরতে গিয়ে দারুণ সময় কাটাবেন।
ইনশাল্লাহ ভাইয়া,তবে এবার আসলে হয়তো দেখা হতো সেখানে।
হ্যাঁ আপু অবশ্যই দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। কারণ আমাদের যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।
রমনা পার্কের সৌন্দর্যটা সবসময়ই আমাকে আকৃষ্ট করে সত্যি বলতে ভাইয়া জায়গাটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ভাবিকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন আবার খাওয়া দাওয়া করেছেন। সেই সাথে খাবারের মানও বেশ ভালো ছিল সবমিলিয়ে একদম পারফেক্ট ভ্রমণ হয়েছে।
হ্যাঁ ভাই রমনা পার্কের পরিবেশ আগের চেয়ে খুব ভালো লাগে এখন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবারকে সময় দেয়া মানেই কোয়ালিটি টাইম! আর প্রিয় মানুষকে নিয়ে বাহিরে ঘুরতে বের হওয়ার সুযোগ এখন অনেকেরই হয় না বললেই চলে৷ আপনারা যে আগের দিনই প্ল্যান করে দুপুরে বাহিরে খেয়ে দেয়ে পরে রমনা পার্কে ঘুরতে গিয়েছেন, জেনে ভালো লাগলো। আমারো আসলে রমনা পার্কের এই কাঠের ব্রীজটা এখনো দেখা হয় নি! আপনার ছবিতে দেখেও ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু ব্যস্ততার জন্য এখন অনেকেই প্রিয় মানুষকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় না। সময় পেলে কাঠের ব্রিজটা দেখে আসবেন আপু। আশা করি খুব ভালো লাগবে। যাইহোক গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাসে যাওয়ার পথে মাঝে মাঝে জানালার গ্লাস থেকে রমনা পার্ক দেখা হতো! রমনা পার্ক আসলে বিশাল এরিয়া জুড়ে! যেহেতু কাঠের ব্রিজ করেছে তাই সৌন্দর্য টাও বেড়েছে মনে হয়। আর লেকের পানিটাও পরিষ্কার মনে হয়। আপুকে নিয়ে দারুণ সময় অতিবাহিত করেছেন 🌼
হ্যাঁ ভাই কাঠের ব্রিজের জন্য রমনা পার্কের সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আপনার মত আমিও মাসে দু-একবার কোথাও ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকি । যাইহোক, যেহেতু আপনি নিজের সহধর্মিনী কে নিয়ে ঘুরতে গেছেন, তার মানে তো অনেক আনন্দে সময় কাটিয়েছেন। যাইহোক, রমনা পার্কের ভিতরের এই নতুন কাঠের ব্রিজটি ফটোগ্রাফিতেও দেখতে অসাধারণ লাগছে। সাঁতার না জেনেও অনেকে বোটে চড়ে তো ভাই, আপনারও ট্রাই করে দেখতে পারতেন। যাই হোক, পরের পর্বে আপনাদের ঘোরাঘুরির আরো গল্প জানা যাবে, সেই অপেক্ষায় থাকলাম।
আমার ওয়াইফ খুব ভয় পায় বোটে চড়তে, তবুও আমরা মাঝেমধ্যে বোটে চড়ি ভাই। যাইহোক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বোটে চড়তে চড়তে এই ভয় ধীরে ধীরে কেটে যাবে । বোটিং করতে কিন্তু অনেক মজা লাগে ভাই।