প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকে আবারো ভিডিওগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। অনেকের ভিডিওগ্রাফি পোস্ট দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হই প্রতিনিয়ত। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই বা কোনো সুন্দর কিছু চোখে পড়লে ফটোগ্রাফি করি সচরাচর। তবে অনেক সময় ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয় না। তাই মাঝে মধ্যে ভিডিওগ্রাফি করার প্রয়োজন হয়।

গত সপ্তাহে আমি এবং আমার কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে মোট পাঁচজন ক্রাউন রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। মূলত আমাদের নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় অবস্থিত ক্রাউন রেস্টুরেন্টে বাফেট লাঞ্চ করতে গিয়েছিলাম। আমরা গত শনিবার কয়েকজন মিলে আড্ডা দেওয়ার সময়, হঠাৎ করে এক ফ্রেন্ড বললো যে ব্যুফে লাঞ্চ করার কথা। তারপর আমরা সবাই রাজি হয়ে গেলাম। এর আগে বেশ কয়েকবার আমরা কয়েকজন ধানমন্ডি বাফেট মানিয়াতে গিয়ে ব্যুফে লাঞ্চ করেছিলাম। কিন্তু এবার সবাই প্ল্যান করলাম কাছাকাছি কোনো রেস্টুরেন্টে যাবো। তখন আমি বললাম ক্রাউন রেস্টুরেন্টের কথা। কারণ ক্রাউন রেস্টুরেন্টে ৬০+ ব্যুফে আইটেম থাকে লাঞ্চের জন্য। আমাদের সবার কাছেই ব্যুফে লাঞ্চ করতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক আমরা শনিবার প্ল্যান করে রেখেছিলাম যে পরের দিন অর্থাৎ রবিবার আমরা বাফেট লাঞ্চ করতে যাবো।

তো বেলা ১২ টার দিকে আমি রেস্টুরেন্টে ফোন দিয়ে ৫ জনের সিট বুকিং করলাম। এরপর রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হলাম ১২.৩০ টার দিকে। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই আমরা ক্রাউন রেস্টুরেন্টে পৌঁছে গেলাম। রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করার পর জানতে পারলাম যে বিফ রেজালা একটু পর আসবে। খাবারের আইটেম এর মধ্যে ছিলো ফ্রাইড রাইস,ভুনাখিচুড়ি, চিকেন এর বেশ কয়েকটি আইটেম, স্যুপ,ডেজার্ট এবং আরো বিভিন্ন ধরনের খাবার। যাইহোক খাওয়ার আগেই আমি খাবারের ভিডিওগ্রাফি করা শুরু করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। কারণ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলে সেই ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে আমার আগে থেকেই ভীষণ ভালো লাগতো। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।