বন্ধুদের সাথে রাতের বেলা পিকনিক খাওয়ার গল্প//পর্ব-৩

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।হ্যাঁ, আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @mohamad786 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস করি।আমির সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অধ্যায়নরত আছি।

রাতের বেলায় পিকনিক হওয়ার সেই স্মৃতিময় মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল। আসলে ছোট বেলাতে আমরা বন্ধুরা এবং মামা ও চাচা মিলে স্কুল মাঠে আমরা এই পিকনিকের আয়োজন করেছিলাম। এবং রাতের বেলা আমরা ইটভাটা থেকে কয়লা নিয়ে এসে মুরগি পুড়িয়ে খাচ্ছিলাম। আর এটাই ছিল আমাদের মুরগির মাংস পুড়িয়ে খাবার প্রথম মুহূর্ত। যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর সেই মুহূর্তগুলোই আমার যেন এখনো স্মৃতি হয়ে রয়েছে। তাই আপনাদের মাঝে স্মৃতিময় সেই গল্পটি শেয়ার করতেছিলাম। আজকে সেই গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে এসেছি। আশা করছি শেষ পর্বের গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


tree-736877_1280.jpg

Source

তারপরে আমি মানিক ও চাচা ইটের ভাটার থেকে কয়লা নিয়ে আসলাম। সেই কয়লা দিয়ে আমরা আগুন জ্বালিয়ে মাংস পড়াচ্ছিলাম। আসলে এভাবে মাংস পুড়িয়ে খাওয়া হয় সেটাই আমার জীবনের প্রথম ছিল। মামা ও চাচা খুবই সুন্দরভাবে মাংসগুলো পড়াচ্ছিলো আর এই মাংস পুড়িয়ে খাওয়ার মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লাগতেছিলো। কারণ আমরা সকল বন্ধুরা অপেক্ষা করতেছিলাম কখন মাংস পূরানো শেষ হবে। সকল বন্ধু মিলে একসাথে খাব, আসলে এভাবে কখনো এর আগে খাওয়া হয়নি। যার কারণে বেশি আকর্ষণীয় এবং বেশি ভালো লাগতেছিল। মনে হচ্ছিল অনেক বেশি মজাদার হবে, আর যার কারণে আমরা সবাই অপেক্ষা করতেছিলাম এবং মামা ও চাচা এই মাংসগুলো পড়াচ্ছিলো, সেই দৃশ্য আমরা দেখতেছিলাম।


জোসনা ভরা রাত ছিল, চাঁদের আলোয় যেন মাঠের দৃশ্যটি অনেক সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আসলে জোসনাময় রাতে এভাবে আনন্দের মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লাগতেছিল। আমরা বন্ধুরা মিলে গান ও নাচানাচি করতে ছিলাম। আর অপেক্ষা করতেছিলাম কখনো শেষ হবে, মাঝেমধ্যে এসে দেখতেছিলাম এই মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তবে মাংস পোড়াতে অনেকটাই সময় লেগেছে। আমরা তখন রাত ১১ টা বাজে। সেই সময় সকল মাংস পুরানো শেষ হলো। আমরা সকলে ভেতরে বসে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।মাছের মাঝে সেখানে আমরা গোল হয়ে বসে এই মুরগি পোড়ানোর মাংস খাওয়ার জন্য কথা বলতেছিলাম।


bonfire-1867275_1280.jpg

Source

মামা বলল যে ছোটদের আগে দাও, ওরা যেন অনেকক্ষণ হলো অপেক্ষা করতেছিলো,মামারা বলল যে আমরা তো এর আগে অনেকবার খেয়েছি। কিন্তু ওরা খায়নি, যার কারণে ওদের আগে দিতে বললো। আর মামার এই কথাটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, কারণ আমরা ছিলাম ছোট, আমাদেরই খাওয়ার ইচ্ছা ছিল বেশি। আর সেই বিকাল থেকে অপেক্ষা করতেছিলাম। কখন খাবো, তাই মামা যখন এই মুরগি খাওয়ার কথা বলল। তখন আমি একটি টমেটো সস্ দিয়ে সুন্দর করে মাখিয়ে খেতে লাগলাম এবং মুরগি পোড়ানো খেতে এতটা মজাদার হবে, সেটা আমি কখনোই ভাবিনি।


আমার কাছে মুরগি পুরানো অনেকটাই মজাদার ছিল।তবে আমার বন্ধু মানিকের কাছে খুব একটা ভালো লাগেনি, ও প্রথম প্রথম খেয়েছে আরো সস ছাড়াই খেয়ে ছিলো।যার কারণে ও এক পিস পোড়া মুরগি টুকরা খাওয়ার পরেই ও বমি করে দেয়। আর ওর বমি করা দেখতে পেয়ে আমারও তখন খারাপ লাগে। যার কারণে তখন আর খেতে মন চাইলো না। আসলে ওর বমি করতে করতে অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে খুবই খারাপ লেগেছে আমার।


পরে তারপরে মামা আর চাচা মিলে মানিককে নিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে দিল। আসলে স্কুলের মাঠে একটা টিউবয়েল ছিলো মানিকের মুখ ভালো করে ধুয়ে দেওয়ার পরে কিছুক্ষণ বসে রাখা হলো এবং তারপরে সস দিয়ে ওকে খেতে বললো মামা। আর যখন ভালো করে মাখিয়ে খেলো তখন মানিকের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। এভাবে আমরা সবাই মিলে সেই রাতে মুরগি পোড়ানোর মুহূর্তগুলো আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি, আর খাওয়ার মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

standard_Discord_Zip.gif

আমার পরিচয়

IMG_20230821_180423.jpg

আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।

Amar_Bangla_Blog_logo_png.png

👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

আসলে খাবার যেমনই হোক বন্ধুদের সাথে একত্রে আড্ডা দেয়ার মুহূর্তটা সবসময়ই ফ্রেমে বেঁধে রাখার মত।
আপনারা রাতের বেলায় সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন।
এ পর্বের ঘটনাগুলো জানতে পেরে সত্যি ভালো লাগলো আমরাও বন্ধুরা মিলে এরকম আড্ডায় মেতে উঠি মাঝে মাঝে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 67383.45
ETH 3525.45
USDT 1.00
SBD 2.70