স্মৃতিচারণঃস্মৃতির পাতা থেকে বন্ধুদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার জীবনের গল্প //পর্ব-২
আমার বন্ধু মানিকের বাড়িতে যখন আমি রনি এবং অন্যান্য বন্ধুরা আসলামম এসে শুনতে পেলাম মানিক হাটে গেছে সবজি বিক্রি করতে। মানিকের বাবা বারান্দায় বসে রয়েছে। সে অনেক অসুস্থ। মানিকের বাবার কাছে এসে বললাম আচ্ছা আঙ্কেল মানিকের কি কোন পরীক্ষা বা ওর কোন বাড়িতে কাজ রয়েছে শুক্রবারে। যেদিন আমাদের পিকনিকে যাবো ঐ ডেটের কথা বললাম। তখন মানিকের বাবা বলল না তো আমাদের বাড়িতে তো কোনো কাজ নেই।তখন বললাম যে মালিক আমাদের সাথে তাহলে মিথ্যা কেন বলছে। ওর বাবা বলল কি হয়েছে, মানিকের বাবাকে বললাম, আমরা পিকনিকে যাবো ৭০০ করে টাকা চাঁদা তোলা হয়েছে। কিন্তু মানিক বলছে ওর বাড়িতে নাকি অনেক কাজ রয়েছে। ও যেতে পারবেনা। তখন মানিকের বাবা বলল দেখো বাবা মানিক আমার কাছে এসে বলেছিল আমার বন্ধুরা পিকনিকে যাবে। ওদের সাথে আনন্দময় মুহূর্তটা উপভোগ করতে পারলাম না। না পারলাম আমি পরে একসময় যাব। এটা বলল কিন্তু এর প্রধান কারণ হলো মানিকের টাকা দেওয়ার সামর্থন নেই। ও যদি পিকনিকে যায় তাহলে ওর জামা কাপড় কিনতে হবে কারণ ওর ভালো কোন পোশাক নেই। কারণ আমি অসুস্থ হয়ে গেছি, আমার এই ঔষধের খরচ অনেক লাগে।
অনেক সময় আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম। মানিকদের বাড়িতে, তারপরে দেখতে পেলাম মানিক মাথায় একটি ঝুড়ি নিয়ে হাট থেকে ফিরেছে। আর এই ঝুড়ির ভিতর শাক নিয়ে এসে হাটে গিয়েছিলো। হাটে শাক বিক্রি করে প্রয়োজনীয় সবজি কিনে এনেছে এই ঝুড়ির ভিতরে।মানিক তো আমাদের দেখেই যেন অবাক হয়ে গেল। বলল কি রে তোরা কখন আসলপ, তোরা বন্ধুরা আমার বাড়িতে, মনে হচ্ছিল আমাদের দেখে ও চোখে আনন্দে হাসি জলময় করছে।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
https://twitter.com/mohamad786FA/status/1775848711148777739?t=QxTYsK41Nkqeu0ZOsEtEAQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জীবন যোদ্ধা মানিকের ঘটণা পড়ে কষ্ট পেলাম। এই বয়সে আনন্দ বিসর্জন দিয়ে পরিবারের দায়িত্ব কাধে নিয়ে, বাবার পাশে দাঁড়িয়েছে। স্যালুট মানিককে। বন্ধুর পাশে বন্ধুরা দাঁড়ায়, সেখানে ধনী-গরীব বাধা হয়ে দাড়ায়না। আপনার পোস্টটি ভাল লেগেছে ভাইয়া। পরবর্তি কিস্তির অপেক্ষায় রইলাম। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
স্কুলে যাওয়ার বয়সে পরিবারের দায়িত্ব কাঁদে নেওয়া আসলেই অনেক বড় ব্যাপার এই দায়িত্ব সবাই নিতে পারে না।
বন্ধুত্ব কখনো ধনী বা গরিব দেখে হয় না। বন্ধু হয়ে বন্ধুর পাশে দাঁড়ানোর যে ব্যাপারটা গল্পের মাঝে উল্লেখ হয়েছে বিষয়টা সত্যি ভালো লাগলো। পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় থাকবো। পোস্টটি এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোট বেলার এসব স্মৃতি আজ কেবলই গল্প ৷ ছোট বেলায় বন্ধুদের সাথে এমন কত রঙিন মুহূর্তেই না কাটিয়েছি আমরা প্রত্যেকে ৷ যাই হোক , আপনার ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার রঙিন স্মৃতিময় গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ খুবই সুন্দর লিখেছেন ৷ এরপর কি হলো জানানোর অপেক্ষায় রইলাম ৷ আশা করি এর পরের পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে