"বন্যার্তদের উৎসর্গ করে,একগুচ্ছ অনু কবিতা"
আজ আমি আপনাদের মাঝে এসে উপস্থিত হয়েছি এক গভীর অনুভূতি নিয়ে। আমাদের দেশ, আমাদের মানুষ—তারা আজ প্রকৃতির নিষ্ঠুর আঘাতে বিপর্যস্ত। বন্যার্ত মানুষের কষ্ট আজ আমাদের সকলের হৃদয়কে ভারী করে তুলেছে। বন্যার জলে ভেসে গেছে তাদের ঘরবাড়ি, জীবন-জীবিকা, এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য। এমন এক কঠিন সময়ে, আমাদের দায়িত্ব একে অপরের পাশে দাঁড়ানো, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
এই অনুভূতি থেকেই আজ আমি একগুচ্ছ অনুকবিতা নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিটি কবিতার পংক্তিতে আমি সেই ব্যথা, সেই কষ্ট, সেই হারানোর যন্ত্রণা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, যা বন্যার্ত মানুষগুলোর জীবনে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। কিন্তু শুধু কষ্টের কথা বলেই থেমে যেতে চাই না। আমি চাই, এই কবিতাগুলো আমাদের সকলকে এক সুরে বাঁধুক, ঐক্যবদ্ধ করুক।
আমাদের কাছে যা সামান্য, তাদের কাছে তা হতে পারে বেঁচে থাকার প্রেরণা। এই ছোট ছোট কবিতার মধ্য দিয়ে আমি আহ্বান জানাতে চাই—আসুন আমরা সবাই একত্রিত হই, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। আজ আমরা সবাই যদি একটু করে এগিয়ে আসি, তাহলে সেই দুর্দশার কালো মেঘ কেটে গিয়ে আবারও ফুটবে নতুন সূর্য।
এই কবিতাগুলোর প্রতিটি শব্দে আমি সেই আশা রেখেছি, যে একসঙ্গে কাজ করলে আমরা এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারব। প্রতিটি ব্যথিত হৃদয়ে যদি আমাদের ভালোবাসার স্পর্শ পৌঁছায়, তবে সেই কষ্টগুলো হয়তো খানিকটা হলেও লাঘব হবে। এই আশা নিয়েই আমি আজ এই কবিতাগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছি, যাতে আমাদের মধ্যে মানবতার শক্তি আরও দৃঢ় হয় এবং আমরা সবাই একসঙ্গে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে পারি।
মোঃ ফয়সাল আহমেদ
বন্যার্ত মানুষ কাঁদে, ডুবে গেছে ঘর,
বাঁধ ভেঙে গেছে, থেমে নেই প্রকৃতির জ্বর।
কোথাও নেই খাবার, নেই পানির স্বাদ,
তবু হাতে হাত রেখে, করে তারা ধ্যান-সাধ।
শিশুদের চোখে ভয়, মায়ের বুকে কান্না,
সব হারিয়েছে, তবু জাগে জীবন গানের সুর।
তবুও আশা বাঁচে, বাঁচতে হবে যে,
একদিন ধরা দিবে সুখের সোনার ফসল।
নীল আকাশে মেঘের ডাক, ঝড়ের হুংকার,
বন্যার পানিতে ডুবে গেছে ফসলের পার।
বুকের মাঝে দুঃখের ঢেউ, বিষণ্ন রাত,
বাঁচার লড়াই, শেষ হয়নি আজও তাদের তাত।
খালি পায়ের ছাপ রেখেছে কাদার মাটিতে,
শিশুর কান্না হারিয়ে গেছে ঝড়ের বাতাসে।
হৃদয়ের ব্যথা কেউ বোঝে না, কেউ না দেখে,
বন্যার্ত মানুষ কাঁদে, আশার প্রদীপ হাতে রেখে।
আসুন আমরা সবাই, বন্যার্তের পাশে দাঁড়াই,
দুঃখের এই আঁধারে, আলো হয়ে জ্বলাই।
হাত বাড়াই সহানুভূতিতে, ভাঙি নিঃসঙ্গ দেয়াল,
ভালোবাসার বীজ বুনে, দিই নতুন সম্ভাল।
সকলের হাতে হাত রেখে, গড়ি একতা সেতু,
মানবতার এই পথচলায়, নেই কোনো বিভেদ সূত্র।
আসুন আমরা সবাই, মিলে দুঃখ ভাগ করি,
বন্যার্তের পাশে থেকে, সৃষ্টির গান গাই হৃদয় ভরি।
ঐক্যবদ্ধ আমরা আজ, বন্যার্তের তরে,
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হৃদয়ে, ত্যাগে যাচ্ছি নড়ে।
শক্তি যেন প্রবাহিত, মানবতার স্রোতে,
দুঃখ-জর্জরিত প্রাণ, শান্তি খুঁজে খেলে।
হাত বাড়াই সবাই মিলে, সহানুভূতির স্পর্শে,
দুঃখ-সাগরের মাঝে, সুখের নৌকা ভাসে।
আসো বন্ধুরা, করো সহায়, নিরাশার দিন,
মিলে গড়ি মানবতার, নবীন এক শপথের বিন।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
https://x.com/mohamad786FA/status/1828872097399243024?t=eNzq-wHpboDniaEEAFPT_A&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুবই ভালো লাগলো কবিতাগুলো। কিন্তু পটভূমির কথা ভাবলে খুবই খারাপ লাগে। দোয়া করি বাংলাদেশ বেঁচে উঠুক।
কবিতা সবসময় বাস্তবতা কে নিয়েই লেখা হয়ে থাকে। কবিতা যেন বাস্তবতার প্রতিফলন। দারুণ লিখেছেন কবিতা টা ভাই। বন্যার্তদের অসুবিধা সহ বিভিন্ন বিষয় দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন কবিতার মধ্যে। বেশ ভালো লাগল অনু কবিতা গুলো পড়ে।
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ চমৎকার অনু কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা অনু কবিতার প্রতিটা লাইন আমাকে বেশি মুগ্ধ করেছে। আপনি পাঁচটি খন্ডে বিভক্ত করে অনু কবিতাটি লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে ভাই বন্যার্তদের কান্না দেখে নিজের মনকে আর সামাল দিয়ে রাখতে পারছিলাম না নিজের মন কেঁদে উঠেছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর অনু কবিতা লিখে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, একসঙ্গে কাজ করলে যে কোন বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের কবিতা গুলো পড়ে। বর্তমান সময় নিয়ে কবিতাগুলো লিখেছেন। ভীষণ সুন্দর হয়েছে প্রত্যেকটা লাইন। ধন্যবাদ আপনাকে বন্যার্তদের উৎসর্গ করে এত চমৎকার কিছু কবিতা লিখার জন্য।