বন্ধুদের সাথে নদীর পাড়ে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। আর সেই মুহূর্তগুলো আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে আসলাম। আসলে আপনাদের সিরাজগঞ্জের অনেকগুলো বেরিবাঁধ রয়েছে। যেগুলো সিরাজগঞ্জ শহরকে রক্ষা করছেম আর এই বাঁধগুলো খুবই সুন্দরভাবে ঈদের আগের রং করা হয়েছে। একই কালার একই রং সকল বেরিবাঁধে করা হয়েছে। যার কারণে দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। তাই আমরা কাছে খুবি সুন্দর লেগেছে।তাই বন্ধুদের সাথে কিছু সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আর আজকে আপনাদের মাঝে নদীর পাড়ে ভ্রমণের অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। আশা করছি এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে আপনাদেরও ভালো লাগবে।

সিরাজগঞ্জের শহরকে রক্ষা করার জন্য যে বেরিবাঁধ গুলো দেওয়া হয়েছে, এই বাঁধগুলোতে ভ্রমণ করতে আসলে অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ এই বাঁধগুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি আকর্ষণীয়। আর ঈদের আগে রং করা হয়েছে যার কারণে আরো বেশি ভালো লাগছে। আমি যখন এই বাঁধে আসলাম তখন আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। আর এই বাঁধের চারপাশের প্রকৃতির দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। তাই বাঁধের পাশে আসে আমি বাঁধ থেকে নদীতে নৌকা চলার দৃশ্য দেখতে ছিলাম।

এই বেরিবাঁধটি বিশাল বড় ছিল, আসলে এই বেরিবাঁধ দিয়ে যখন আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম, তখন অনেক সময় লেগেছে কারণ বাঁধ একদম নদীর মাছ পর্যন্ত গিয়েছে। আর বন্ধুদের সাথে বিকেল বেলা নদীর অপরূপ সৌন্দর্যময় বাতাস যেন এই বাঁধে আসলেই উপভোগ করা যায়। আর বাঁধে যতক্ষণ ছিলাম ততক্ষণ আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে, কারণ চারপাশের প্রকৃতির দৃশ্যগুলো যেন সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে, আর শীতল বাতাস গায়ে লাগতেছিল।

এই বেরিবাঁধের পাশ দিয়েই মাছ ধরার জন্য অনেকগুলো জাল দেখতে পেলাম। আসলে বিকেলবেলা হলে এখানে মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। আর সকলেই একসাথে মাছ ধরে এই মুহূর্তটা সত্যিই অসাধারণ। আমি বেরিবাঁধে পাশে বসে থাকলাম এবং মাছ ধরার জালের এই দৃশ্য দেখতে লাগলাম। আসলে নদীর পাড়ে আসলেই যেন অনেক ভালো লাগে আমার। তাই এই নদীর সৌন্দর্য আর মাছ ধরার এই দৃশ্যগুলো দেখতে ছিলাম।

নদীর পারে অনেক নৌকা বাধা ছিল।আর এই নৌকায় করে ভ্রমণ করার ইচ্ছা জাগছিল। তবে আমরা এই বাঁধ থেকে আরেকটি বাঁধে যাব সেজন্য, আমরা একটি ভ্যান ভাড়া করলাম এবং আমরা তিন বন্ধু মিলে সেই ভ্যানে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার মুহূর্তের ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আসলে বন্ধুদের সাথে এভাবে ভ্রমণ করার মুহূর্তও সত্যি আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যার কারণে আমরা এই বেরিবাঁধ থেকে চায়নাবাঁধের দিকে যাচ্ছিলাম।

আসার সময় দেখতে পেলাম, নদীর পাড় দিয়ে মাছ ধরার অনেক ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরে জেলেরা নৌকা নিয়ে মাছ ধরছে। আর নৌকা নিয়ে মাছ ধরার এই দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আসলে নদীর পারে আসলেই নৌকায় করে ভ্রমণের মুহূর্ত আর নদী থেকে মাছ ধরার দৃশ্যগুলো আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। তাই সেই মুহূর্তগুলো আমি ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম।

নদীর পাড়ে ভ্রমণের এই মুহূর্তটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বেরিবাঁধের দৃশ্য গুলো আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে আর এই বেরিবাঁধ রং করার কারণে আরো বেশি সুন্দর্যময় হয়েছে তাই তিন বন্ধু মিলে আনন্দের সাথে নদীর পাড়ে ভ্রমণ করলাম। আর এই মুহুর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আমি ফটোগ্রাফি গুলো করে রেখেছিলাম। আজকে তাই শেয়ার করলাম, আশা করছি আমার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।

প্রত্যেকটা ছবি তোলার লোকেশন এবং ডিভাইসের নামঃ

Location
Device:Poco X2

আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	রেডমি পোকো x2
ধরণ	❝ ফটোগ্রাফি❞
ক্যমেরা মডেল	Poco X2
ক্যাপচার	@mohamad786
অবস্থান	সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ

আমার পরিচয়