একাকীত্ব জীবনের গল্প
হাই স্কুলের জীবন পার হয়ে সাজু যখন কলেজে ভর্তি হয়, তখন ওরা ঢাকা চলে যায়। আর আমরা সিরাজগঞ্জে থেকে যায়। যার কারণে ওর সাথে আর ওই ভাবে যোগাযোগ হয় না। ও হয়তো ওর নিজের মতোই রয়েছে, খোঁজ খবরও আর নেওয়া হয়নি। তবে গত কয়েকদিন আগে আমার সাথে সাজুর ঢাকার শহরেই দেখা হয়েছিল। তখন দেখতে পেলাম সাজু আর আগের মত নেই। অনেক ভালো স্টুডেন্ট ছিল, যে ছাত্র পড়াশোনা ছাড়া কিছুই বুঝতো না। সে এখন হাতে সিগারেট এবং মদ গাঁজা থেকে শুরু করে অন্যান্য নেশায় আসক্ত হয়েছে। সে এখন এমন অবস্থায় মনে হয় ঢাকা শহরের মাস্তান। তার চুলের কাটিং এবং তার পোশাকের অনেক বদলে গেছে। ওকে দেখে আমি চিনতেই পারলাম না। কি অবস্থায় ছিল, আর এখন কি অবস্থায়। রাত দিন তফাৎ, এই সাজুকে দেখেই যেন আমি অবাক হয়ে গেলাম। এই অবস্থা কিভাবে হল ওর কাছে জানতে চাইলাম। আসলে ছোটবেলার প্রিয় বন্ধু ছিল, সিক্স থেকে টেন পর্যন্ত একসাথে পড়েছি। মনের ভিতরে যেন টান রয়েই আছে। যার কারণে সাজু আমার কাছে অনেক দুঃখ প্রকাশ করল ওর এই জীবনে আসার গল্প গুলো।
তারপরে অনেকক্ষণ বুঝালাম, বললো জানিনা আমি ঠিক হব কিনা। তবে চেষ্টা করব তোর কথাগুলো শুনার। তুই আজ অনেক ভালো একটা পরিবেশের মধ্যে আছিস। আমিও হয়তো এভাবেই থাকতাম, অনেকক্ষণ বলার পরে বলল ঠিক আছে আমি আস্তে আস্তে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। সাজুর সাথে আমার মাঝে মধ্যে এখন দেখা করতে হবে। ওর বাবা মার সাথে কথা বলবো। এই বিষয় নিয়ে, কারণ ও যে বন্ধুদের সাথে মিশে যাচ্ছে আর কিছুদিন মিশলেই হয়তো ওর জীবনে একদম শেষ হয়ে যাবে। আর কখনোই নেশার ঘর থেকে ফিরে আসবে না হয়তো । নেশার কারণে নিজের জীবন ও বাবা-মা কেউ শেষ করে দিতে পারে, এরকম পরিস্থিতিও হতে পারে। যার কারণে আমার বন্ধুকে যতটা সম্ভব আমি ফেরাতে পারি কিনা এই বলে ওর কাছ থেকে চলে আসলাম। সাজু বলল বন্ধু বাসায় আসিস মাঝে মাঝে দেখা হবে। তুই যেহেতু ঢাকা শহরে আছিস। বললাম ঠিক আছে এই বলে ওর কাছ থেকে বিদায় নিলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
https://twitter.com/mohamad786FA/status/1805898127897202690?t=rcOtDpNWfUo6PX_wi1GN8w&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.