এসো হে বৈশাখ এসো এসো// সবাইকে বৈশাখের শুভেচ্ছা
বৈশাখী অনুষ্ঠানে পান্তা খাওয়ার মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ। আমি যখন গত বছর আমাদের সিরাজগঞ্জে ছিলাম, তখন আমি বন্ধুদের সাথে কলেজে এই আয়োজনটা করেছিলাম। আসলে বৈশাখী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কলেজে নানা রকমের আয়োজন করা হতো। নাচ গান থেকে শুরু করে পিঠা উৎসব এবং পান্তা খাওয়ার উৎসব। ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা খাওয়ার এই মুহূর্তটা আমরা কয়েক বন্ধু এবং বান্ধবীরা আয়োজন করেছিলাম। যারা যারা খেয়েছে প্রত্যেকেই ৫০০ টাকা করে দিয়েছিল। সেবার অনেক আনন্দ হয়েছিল মকারণ আমরা এই বৈশাখী কেন্দ্র করে অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম মকিন্তু এবার ব্যস্ততার কারণে ঢাকায় আসার কারণে আর সেই আনন্দ উপভোগ করতে পারিনি।
বিভিন্ন রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ঢোল তবলা বাজানো হয়। আসলে ঢোল তবলার তালে তালেই যেন বাঙালিরা নতুন বছরকে আগমন জানায়। আর বাঙালির মেয়েরা শাড়ি পড়ে বৈশাখের ফুল মাথায় দিয়ে এই বৈশাখী অনুষ্ঠান পালন করে। একই শাড়িতে দেখতে যে কত সুন্দর লাগে, সেই মুহূর্তগুলো দেখলেই মনে পড়ে যায় নতুন বছর কত আনন্দের সাথে আমরা আগমন জানাচ্ছি। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। আর এই বৈশাখী মেলাতে বাঙালির ঐতিহ্যময় কিছু দৃশ্য আমরা দেখতে পাই। তারপরে এই মেলাতে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আমাদের গ্রামে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়, আর সেখানে তিন দিনব্যাপী ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এবারও আয়োজন করা হয়েছে। আর এই ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতায় কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশ যেন গ্রামের মধ্যে বিরাজ করে।
আসলে নতুন বছর মানেই পুরাতন সব স্মৃতি ভুলে গিয়ে, নতুন ভাবে জীবন শুরু করা। এবং সকল কিছু নতুন ভাবে সাজিয়ে নেওয়া। অনেকের সাথে ঝগড়া অনেকের দুঃখ-কষ্ট সকল কিছু ভুলে গিয়ে নতুন ভাবে যেন জীবন শুরু করা। নতুন বছরের প্রথম দিন অনেক আনন্দের সাথে পালন করা হয়। বিশেষ করে পান্তা ইলিশ এবং ভর্তার সাথে পান্তা খাওয়ার অনুভূতি অসাধারণ। বাঙালি জাতি যেন পান্তা তার সাথে খুবই পরিচিত। আর এই নতুন বছরে পান্তা খাওয়ার মুহূর্তটা অসাধারণ। সকলেই একসাথে যখন পান্তা খাওয়া হয় খুবই ভালো লাগে। আমিও ঢাকা শহরে রয়েছি বন্ধুদের সাথে সকালবেলা ইলিশ পান্তা খেয়েছি।
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/mohamad786FA/status/1779548741927919857?t=xyAl3m-_ttppGS-G7pZQJg&s=19
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।সত্যি পুরানো দিনের সকল গ্লানি মিছে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া। বৈশাখের সব থেকে ভালো লাগে হালখাতাটা। আসলে সারা বছর সবাই বাকি খায় কিন্তু হালখাতার মাধ্যমে তা শোধ করতে হয়। ধন্যবাদ ভাই আপনার অনুভূতি গুলো অনেক ভালো লাগলোল।
যারা যারা পান্তা ভাত এবং ইলিশ মাছ খেয়েছিল তারা প্রায় ৫০০ টাকা করে দিয়েছিল।পহেলা বৈশাখে আপনাদের ওদিকে পিঠা উৎসব পালন করা হয় ।কিন্তু আমাদের এদিকে পিঠা উৎসব পালন করা হয় না ।ধন্যবাদ ভাইয়া পহেলা বৈশাখের কিছু কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
পহেলা বৈশাখ ঐতিহ্যবাহী দিন। এই দিনের বাঙালি ঐতিহ্য সাংস্কৃতিক গুলো তুলে ধরা হয়ে থাকে। এই দিনে মানুষ বিভিন্ন রং এর পোশাক আশাক পরিধান করে পান্তা ভাতের সাথে ইলিশ মাছ। বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সব মিলে একটা হৈ হৈ উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে দিনটা পার করে থাকে।
আপনাকেও জানাই বৈশাখের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আশা করি বৈশাখের দিনটা আপনার খুব ভালো কেটেছে। পহেলা বৈশাখে কেন্দ্র করে সারা দেশব্যাপী বেশ সুন্দর সব অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং মানুষের সাজা গুজা পাশাপাশি পান্তা ভাত আর ইলিশ খাওয়ার ধুম পড়ে গেছিল। জয় হোক আপনার সুন্দর এক অনুভূতি পড়ার মধ্য দিয়ে আরও যেন ভালো লাগলো পহেলা বৈশাখ নিয়ে।
জী ভাইয়া এই বছর পহেলা বৈশাখ ঈদের ছটিতে হওয়ার কারনে সবাই আনন্দ করেছে। সবার স্কুল কলেজ অফিস আদালত বন্ধ ছিল। যার ফলে সবাই আগে থেকেই প্লান করে পহেলা বৈশাখ উৎযাপন করছে। আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ।