ফুল খাজা ও শিম ফুল পিঠা (মাত্র ৩টি উপকরণ দিয়ে মুচমুচে পিঠা তৈরীর রেসিপ) ।
আজ- ২৬ই কার্তিক ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ |বৃহস্পতিবার | হেমন্ত-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে খুব সহজে কিভাবে একই উপকরণ দিয়ে দুই ধরনের পিঠা তৈরি করা যায় তার রেসিপি শেয়ার করব।
ছবিঃ ফুল খাজা।
ছবিঃ শিম ফুল পিঠা।
সকলের এত সুন্দর সুন্দর পিঠা দেখে আমি আর লোভ সামলাতে পারলাম না। তাই আজ বিকেলে তাড়াহুড়া করে পিঠা বানিয়ে নিলাম। এই পিঠাগুলো খুবই সহজ বানাতে।বাসায় থাকা মাত্র ৩ টি উপকরণ দিয়ে এই পিঠাগুলো তৈরি করা যায়। আর আপনার এমনটা ভাববেন না যে মাত্র তিনটি উপকরণ দিয়ে তৈরি করা পিঠাগুলো অতটা মজাদার হবে না। কিন্তু বাস্তবে তা না পিঠা এগুলা খেতে অনেক মজাদার এবং পিঠাগুলো খেতে এতটাই মুচমুচে যে একপাশ থেকে কামড় দিলে অন্যপাশ ভেঙে যায়। যারা আমার মত ক্রিস্পি জাতীয় খাবার পছন্দ করে তাদের জন্য এটি একদম পারফেক্ট।
এখানে একটি পিঠার নাম হচ্ছে শিম ফুল। যদিও এটি অরজিনিয়াল নাম না। আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এই পিঠটিকে সয় ফুল পিঠা বলে। এখানে সয় বলতে শিমকে বোঝানো হয়েছে। কেননা এই পিঠাটি কিছুটা শিমের ফুলের মত দেখতে।
আর অন্য পিঠাটি নাম হচ্ছে ফুল খাজা। আমি জানিনা এই পিঠাটি নাম কেন ফুল খাজা। তবে আমি মনে করি এটির নাম বেনী খাজা রাখলে ভালো হত। কেননে এটি বানানোর সময় বেনীর মত করে পেচিয়ে পেচিয়ে বানাতে হয়।
যদি ও দুটোই পিঠা একই উপকরণ দিয়ে তৈরি তবে আকৃতি কারণে টেস্ট টা পুরোপুরি ভিন্ন হয়ে যায়।
তো কথা আর না বাড়িয়ে চলুন রেসিপি দিকে যাওয়া যাক -
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- ময়দা।
- লবণ।
- তেল।
- চিনি।
- ডিম।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে একটি বাটিতে ডিম ফাটিয়ে নিব। এবং চিনি ও লবণ দিয়ে দিব।
ধাপ-২ঃ
- চিনি, লবণ ও ডিম একসাথে ভালো ভাবে মেখে নিব।
ধাপ-৩ঃ
- এরপর এতে ময়দা দিয়ে দিব।
ধাপ-৪ঃ
- সবগুলো উপকরণ কে একসাথে ভালোভাবে মেখে নিব। প্রয়োজনে অল্প পানির ব্যবহার করব।
ধাপ-৫ঃ
- এরপর রুটি বেলে নেব।
ধাপ-৬ঃ
- একটি বোতলের ঢাকনা সাহায্যে গোল গোল করে কেটে নেব।
ধাপ-৭ঃ
- বেশ অনেকগুলো গোল তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৮ঃ
- নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে ফুল তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৯ঃ
- অনেকগুলো ফুলের পিঠা বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-১০ঃ
- এরপর নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে আরেকটি পিঠা বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-১১ঃ
- দুই ধরনের পিঠা বানিয়ে নেওয়া শেষ।
ধাপ-১২ঃ
- এখন পিঠা এগুলোকে ভাজার জন্য একটি পাত্রে তেল গরম করে দিব। তেল গরম হয়ে গেলে ফুল খাজা পিঠা তেলে দিয়ে দিব।
ধাপ-১৩ঃ
- কিছুক্ষণ ধরে পিঠে গুলোকে অল্প আঁচে ভেজে নিব।
ধাপ-১৪ঃ
- পিঠা গুলাকে ভিজে নেওয়া শেষে এরকম দেখতে হয়েছ।
ধাপ- ১৫ঃ
- এরপর শিম ফুল পিঠা গুলোকে তেলে দিয়ে দিব।
ধাপ-১৬ঃ
- পূর্বের ন্যায় অল্প আঁচে এবারও পিঠাগুলো কে ভেজে নিব।
ধাপ-১৭ঃ
- পিঠা গুলোর কালার যখন কিছুটা বাদামী হয়ে আসবে তখন নামিয়ে নিব।
ধাপ-১৮ঃ
ধাপ-১৯ঃ
- পিঠে গুলোকে নামানোর শেষে এরকম দেখতে হয়েছে।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
শীত এর পিঠার কনটেস্ট এর আয়োজন না করা হলে হয়ত এতো সব ইউনিক পিঠার রেসিপি জান্তেই পারতাম না৷ সত্যিই নতুন নতুন কতো রেসিপি যে শিখলাম।
আপনার পিঠার রেসিপি আমি আগে কখনো খেয়ে দেখি নি। এই পিঠা আমার কাছে একদম নতুন। কিন্তু দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে পিঠাগুলো খুবই টেস্ট হয়েছে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্যে।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
ভাইয়া অনেক সুন্দর হয়েছে ফুল খাজা ও শিম ফুল পিঠা।
খেতে মনে হয় অনেক টেস্টি হয়েছে ভাইয়া। শিম ফুল পিঠা খেয়েছি তবে ফুল খাজা পিঠা খাওয়া হয়নি।
অবশ্যই আমি বাসায় তৈরি করে খাবো,অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে দুইটি পিঠাই একই রকম খেতে। তবে ডিজাইন টা একটু ভিন্ন রকম।
ধন্যবাদ আপনাকে, এতো সুন্দর মতামতের জন্য।
ফুল খাজা ও শিম ফুল পিঠা দারুন হয়েছে ভাইয়া। এই পিঠাটি দেখতে একদম শিম ফুলের মতোই লাগছে। গোল রুটি থেকে ধীরে ধীরে ফুল ও পিঠা তৈরি দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। তবে এই পিঠাটি আমার কাছে একদমই নতুন মনে হচ্ছে। এর আগে আমি এই পিঠাটি কখনো তৈরি করিনি। আমি অবশ্যই আপনার রেসিপি দেখে এই পিঠাটি তৈরি করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
ভাইয়া আপনার পিঠা দুটো দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে কি পরিমাণ মুচমুচে এবং কুরকুড়ে হয়েছে। আপনার পিঠা দুটির নাম আমার খুব পছন্দ হয়েছে ছিম ফুল এবং ফুল খাজা পিঠা । আমি আগে কখন ও এই নাম শুনি নি।আপনি যে নামটির কথা বলেছেন সেই নামটি কিন্তু খারাপ ছিলনা। বেনি খাজা পিঠা। আসলেই বেনির মত লাগছে পিঠাটিকে। খেতে পারলে ভালো হতো।
হ্যাঁ পিঠাগুলো অনেক মুচমুচে খেতে। এক কথায় বলতে গেলে নিমকির মত।
ভাইয়া,সত্যি সুস্বাদু এই পিঠাটি।শিমুল ফুল পিঠা অনেক বার বাসায় খেয়েছিলাম মুচমুচে খেতে অনেক সুস্বাদু। ভাইয়া,এই পিঠা নাম আমাদের এলাকাতে সাচন পিঠা বলে। বিয়ের অনুষ্ঠানে এই পিঠা গুলো বেশি তৈরি করে মেয়ের পক্ষের বাড়িতে।এই পিঠার অন্য এলাকাতে কি নামে পরিচিত সেটা আমি জানি না । তবে শিমুল ফুল পিঠা যদি একটু মচমচে ভাজা হয় তাহলে আরো বেশি খেতে ভালো লাগে।।ভাইয়া,আপনার শিমুল ফুল পিঠাগুলো একদম মচমচে করে ভাজা হয়েছে দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া, এতো সুস্বাদু পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আমাদের গ্রাম অঞ্চলে ও ছেলে পক্ষের বাড়িতে দেওয়ার জন্য এই পিঠাগুলো বেশি বানানো হয়।
ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর মতামতের জন্য ।
ছাচ ব্যবহার না করেও এত সুন্দর পিঠা আসলেই প্রশংসনীয়। পিঠাটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে । আমি ব্যক্তিগতভাবে পিঠা খেতে অনেক পছন্দ করি। এই পিঠাটি আজও আমি খাইনি ,আম্মুকে বলতে হবে পিঠাটি তৈরি করার জন্য। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য এখন আমি এটা দেখে দেখে তৈরি করে খেতে পারবো 😊😊
বাসায় একদিন বানিয়ে দেখতে পারেন, খুবই সহজ আর বেশি উপকরণের প্রয়োজন হয় না পিঠা গুলো বানাতে।
ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর মতামতের জন্য।
আমাদের এদিকে এগুলোকে চিনি ছাড়া খাজা বলা হয়। আর এই গুলা আমার কাছে খুবই বেশী মজাদার এবং ভাল লাগ। তার একটি কারণও আছ। তার কারণ হচ্ছে এই বানানো অথবা এই নাস্তা গুলোতে চিনি খুব একটা অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয় না। যতটুকু দরকার ততটুকু ব্যবহার করা হয়। আর আমি পিঠাতে মিষ্টি একটু কমই পছন্দ করে অর্থাৎ আমি মিষ্টি কম পছন্দ করি। যার কারণে এই পিঠাগুলো আমার খুবই পছন্দের। রেসিপিটি খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।
আমারও মিষ্টি কম পিঠাগুলো খেতে ভালো লাগে। ফুল খাজা পিঠেতে অনেককেই চিনি সিরাতে দেয় যেটি আমার কাছে ভালো লাগে না।
ময়দা চিনি ডিম এই ৩ টি মূল উপকরণ দিয়ে অনেক চমৎকার করে পিঠাগুলো তৈরি করা হয়েছে এবং দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। একেবারে অল্প উপকরণ দিয়ে এত চমৎকার পিঠা তৈরীর রেসিপি সত্যিই খুব প্রশংসনীয় এবং অনুকরণীয়। যে কেউ খুব সহজেই বাসায় চেষ্টা করতে পারবে কারণ এই সবগুলো উপকরণই প্রায় সবার বাসায় থাকে। ধন্যবাদ
অও,
দারুণ দেখতে লাগছে পিঠাটি।সুন্দর ভাবে ডিজাইন ফুটে উঠেছে।তবে আমার কাছে এর স্বাদ মনে হচ্ছে কিছুটা ছোট নিমকির মতো হবে।যাইহোক পিঠাটি অনেক সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।