প্রকৃতির কাছে আমরা কতটা অসহায় (আজকের ভূমিকম্প)
আজ - ১১ই অগ্রাহায়ণ ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ |শুক্রবার | হেমন্ত-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে আজকের ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পটি নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করব।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি আজ শুক্রবার ভোর ৫:৪৫ এর দিকে। আমি ৫:৩০ এর দিকে উঠে ফ্রেশ হয়ে পানি খেয়ে আবার শুয়ে পড়ি। আর আমার একটি অভ্যাস আছে সেটি হচ্ছে যখনই আমার ঘুম ভেঙে যায় বা ঘুম থেকে উঠি তখন এই মোবাইলে বিভিন্ন কয়েনের দাম গুলো চেক করি। আর আজকে শুয়ে শুয়ে এমনটাই করছিলাম। অর্থাৎ বিভিন্ন কয়েনের দাম গুলো দেখছিলাম। আজ সকালের দিকে দেখছি সিস্টেমের দাম হঠাৎ করে অনেকটাই বেড়ে গেছে,আজকের সারাদিনের সর্বোচ্চ প্রাইস ৭৫ সেন্ডটে পৌঁছে গিয়েছিল। আর স্টিম এর এমন একটি প্রাইস দেখে খুব ভালো লাগছিল। এরপর মোবাইল নিয়ে কিছুক্ষণ ঘাটাঘাটি করা শেষে, মোবাইলটি যখন রাখতে যাব তখনই হঠাৎ করে অনুভব করলাম সবকিছু দুলছে। প্রথমদিকে আমি মনে করলাম ধুর এটা বুঝি আমার মনের ভুল। এরপর আবারো যখন এমনটা অনুভব করলাম তখন আমি বুঝতে পেরেছি যে এটা আমার মনের ভুল নই। আসলেই সবকিছু দুলছে। উপরে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে দেখলাম তখন দেখছি ফ্যানটা জোরে জোরে দুলছে। আসলে এখন যেহেতু শীতকাল তাই রাতে উঠে ফ্যানটা বন্ধ করে দিয়ে ছিলাম। এরপর দেখছি খাটাও প্রচন্ড জোরে দুলছে আর সব আসবাবপত্র দুলছিল। আর এই সবকিছু দেখে আমার বুঝতে একদমই বাকি নেই যে এখন ভূমিকম্প হচ্ছে। তাড়াতাড়ি খাট থেকে নেমে বাসার সবাইকে জাগিয়ে দিলাম। অবশ্য আমি জাগিয়ে দেওয়ার আগেই যে যার মতো করে টের পেয়ে গেছিল যে ভূমিকম্প হচ্ছে। এদিকে আমি মনে মনে দোয়া দরুদ পড়ছিলাম। আর বাসার বাইরে থেকে প্রচুর চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে যাচ্ছিল। বোঝাই যাচ্ছিল যে, যার মতো করে বাহিরে বেরিয়ে পড়েছে। অবশ্য আমি নিজেও বাহিরে যায়নি এবং বাসার কাউকে ও বাহিরে যেতে দেয়নি।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
কেননা আমি মনে করি ভূমিকম্পের সময় আমরা সকলেই একই ভুল করি, আমরা যখন বুঝতে পারি যে ভূমিকম্প হচ্ছে তখনই আমরা বোকার মত বাসার বাহিরে যাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দি। আসলে এমনটি করা একদমই উচিত নয়। কারণ ভূমিকম্প মাত্র কয়েক সেকেন্ড বিদ্যমান থাকে। আর এই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমরা কখনই রাস্তায় গিয়ে পৌঁছাতে পারবো না। আর যদিও আমরা রাস্তায় পৌঁছে যায় তবে আমরা ওই রাস্তাটা তো নই। আসলে কি ভূমিকম্পের সময় রাস্তাটা আমাদের জন্য নিরাপদ কোন স্থান?আমাদের এই শহরে জীবনে বিল্ডিং এর পর বিল্ডিং সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। একফোঁটাও খালি জায়গা নেই। আর যদি কখনো ভূমিকম্পের কারণে কোন বিল্ডিং ভেঙে পড়ে তাহলে ওই বিল্ডিংটি কোথায় পড়বে একবার ভেবে দেখেছেন? ওই বিল্ডিংটি ওই রাস্তার উপরে ভেঙে পড়বে। তাই আমি মনে করি ভূমিকম্পের সময় রাস্তা কখনোই আমাদের জন্য নিরাপদ স্থান হতে পারেনা। বরং আমরা হুড়োহুড়ি করে রাস্তায় বেরোতে গিয়ে অনেক সময় এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হয়ে হয়। যাইহোক এতকিছু করার থেকে আমরা যদি বিল্ডিং এর বড় বড় পিলার গুলো নিচে দাঁড়িয়ে থাকি তবে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। কেননা বিল্ডিং এর সবথেকে মজবুত স্থান হচ্ছে ওই পিলারগুলো।
ছবি এখানহতে নেওয়া হয়েছে।
যাই হো, মনে মনে দোয়া করতে লাগলাম যে ভূমিকম্পে যেন থেমে যায়। এবারে বেশ অনেকক্ষণ ধরে ভূমিকম্পটি ছিল। প্রায় ৪৫ সেকেন্ডের মত। আর ভূমিকম্প টা প্রচন্ড তীব্র ছিল প্রায় ৬+ মাত্রার বেশি ছিল। যখন ভূমিকম্প চলছিল তখন মনে হতে লাগলো এই বুঝিয়ে বিল্ডিংটা ভেঙে পড়বে। আমরা যেহেতু পঞ্চম তলাতে তাই এর প্রভাব টা বেশি অনুভব করতে পেরেছি। যাইহোক ভূমিকম্পটি থেমে গেল আর মনের মধ্যে একটু স্বস্তি খুঁজে পেলাম। আর এই ৪৫ সেকেন্ড যে কিভাবে কেটেছিল তা একমাত্র তারাই বুঝবে যারা এবং ভূমিকম্পটিকে অনুভব করেছে।
আমার মাঝে মাঝে খুবই অবাক লাগে যখন আমরা এই সকল দুর্যোগের শিকার হয়। আমরা কতটা অসহায় প্রকৃতির কাছে তাই না। প্রকৃতি চাইলে এক নিমেষে সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে। আবার প্রকৃতি চাইলেই নতুন কিছুর জন্ম দিতে পারে আবার আমাদেরকে আগলিয়ে ও রাখতে পারে।
এইতো এই ছিল আমার আজকের ঘটনা। সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আমরা প্রকৃতির কাছে কতটা অসহায়।প্রকৃতি চাইলে এক নিমিষে শেষ করে দিতে পারে। আবার প্রকৃতি চাইলে সবকিছু নতুন করে উদ্বোধন করতে পারে। ভাইয়া, ভূমিকম্পটি আমিও টের পেয়েছি। ফজরের নামাজ পড়ে যখন উঠে বসলাম চারিপাশে যেনো ঘুরছে। তখন আমি মনে করেছিলাম আমার মাথা হয়তো ঘুরছে। পরে বুঝতে পারলাম যে না ভূমিকম্প হচ্ছে।তখন আমি প্রচণ্ডরকম ভয় পেয়েছি।ভাইয়া, এই ভূমিকম্পটি খুবই তীব্র ছিল আমার ঘরের দেওয়ালে অল্প পরিমাণে ফাটা ছিল।ভূমিকম্পের ফলে এটি বড় আকারের ফাটল ধরেছে।
ভাইয়া,আপনি ঠিক বলেছেন ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে ঘর থেকে না বের হওয়াটাই উত্তম।ভাইয়া, আপনার কথায় আমি একমত বিল্ডিঙ্গের পিলারের নিচে আশ্রয় নেওয়া টা উত্তম।ধন্যবাদ ভাইয়া
আমিও প্রথম দিকে বুঝতে পারিনি যে ভূমিকম্প হচ্ছে। পরে অবশ্য বুঝতে পেরেছি।
কী বলেন! তাই নাকি। এটি তো তাহলে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
হা ভাই আল্লহর দেওয়া প্রকৃতির এই বিষয় কারো হাতে না ।তাই আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।ভুমিকম্পের সময় কি করোনীয় তা জেনে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।আপনার ঘটনাটি পরে একটু মর্মহতো হলাম প্রকৃতির কাছে আমরা কতো অসোহায় ।ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া সত্যিই আমরা প্রকৃতির কাছে খুবই অসহায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলোর মধ্যে ভূমিকম্প সবচেয়ে মারাত্মক এবং বিপজ্জনক একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। আর আমাদের বাংলাদেশ ভূমিকম্পের একটি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থান করছে। ভাই আপনার পোষ্টটি পড়ে আমি জানতে পারলাম যে এস্টিমেটের মূল্য বেড়েছে। সবমিলে আপনার পোস্টটি খুবই সুন্দর হয়েছে। ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মতামতের জন্য।
ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন ভূমিকম্পের সময় আমরা বোকার মতো এদিকে ওদিকে দৌড়াদৌড়ি করে বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু এটা হয়তো মোটেও উচিত নয়। তবে সেই সময় নিজেকে বড় অসহায় লাগে। কারণ হঠাৎ করে ভূমিকম্প শুরু হলে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই যেন নিমিষেই সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। চারদিকে যখন অনুভব করি ভূমিকম্প হচ্ছে তখন আর খেয়াল করতে পারি না কি করতে হবে। আসলে দুর্যোগ যখন নেমে আসে তখন আমাদের বুদ্ধি আর কাজ করে না। আমাদের করা বিভিন্ন ভুলগুলোর কারণে হয়তো আমরা বিপদের সম্মুখীন হই প্রতিনিয়ত। অবশ্যই এই বিপদের মধ্যে নিজেকে শক্ত রেখে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শের জন্য।
ভূমিকম্প টা আমি টের পাইনি। তবে পরে খবরে দেখলাম বেশ তীব্র ছিল ভূমিকম্প টা। সত্যি আমরা প্রকৃতির কাছে কতোটা অসহায়।
কিন্তু আমরা মানুষ কখনোই ঠিক হবো না সেই প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়েই কিন্তু কাজ করব। শাসন করব প্রকৃতিকে।
এবং এটা আপনি ঠিকই বলেছেন ভূমিকম্পের সময় শহরের রাস্তাও নিরাপদ না। এই ভূলটা অধিকাংশ মানুষ করে থাকে।
অনেক সুন্দর এবং সচেতনতা মূলক একটি পোস্ট ছিল ভাই।।।
প্রকৃতির কাছে আমরা সত্যিই অনেক বেশি অসহায়। প্রকৃতির বিভিন্ন দুর্যোগ যখন নেমে আসে আমরা তখন অনেক বেশি অসহায় হয়ে যাই। ভূমিকম্পের কারণে আমাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। আর এই আতঙ্কের ফলে আমরা প্রতিনিয়তই ভুল করে থাকে। আমাদের অবশ্যই সেই সময় সচেতন থাকা উচিত। সঠিকভাবে সঠিক কাজটি করা উচিত। তবে আপনি যে গুরুত্বপূর্ণ মতামত গুলো দিয়েছেন সেগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। ভূমিকম্পের সময় অবশ্যই বাহিরে ছোটাছুটি করা উচিত নয়। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন। প্রকৃতি চাইলেই সবকিছু নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে আমি একদমই ভূমিকম্পটি অনুভব করিনি। তবে আম্মুর চিল্লাচিল্লি বেশ ভালোভাবেই অনুভব করেছি। আমি আম্মুকে এটাই বুঝায় যে আসলে রাস্তায় বেরিয়ে কোন লাভ নেই।
আমি জানিতাম না, ঘুমের মাঝে ছিলাম। পরে জানতে পারলাম। খুবই অসহায় লাগে যখন এমন কিছু ঘতে। আসলেই ভাই, আমরা প্রকৃতির কাছে অনেক অসহায়। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে হেফাজত করেন আমিন।