রুই মাছের দোপেয়াজা।
আজ- ২৮ই ফাগুন | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | | রবিবার |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমাদের সকলের খুব পছন্দের এবং অতি পরিচিত একটি মাছ রুই মাছ। রুই মাছ আমার খুব পছন্দের একটি মাছ তবে ফার্ম রুই মাছ এর থেকে দেশি রুই মাছ খুবই সুস্বাদু খেতে। নগরের বসবাস করাই সব সময় চাইলেও সেই দেশি রুই পাওয়া যায় না। কিন্তু মাঝে মাঝে বাজারে কিছু দেশি রুই মাছ পাওয়া যায়। আর আমি বাজারে সেই দেশি রুই মাছ গুলো দেখলেই নিয়ে আসি। যাই হোক আজ আমি যেই রুই মাছের রেসিপিটি শেয়ার করতে চলেছি সেটি হচ্ছে একদম তাজা দেশি রুই মাছ। আপনারা দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এ মাছটি কতটা সুস্বাদু খেতে হবে। আজকের এই রেসিপিটি হচ্ছেন রুই মাছের দোপেয়াজা। আমরা সাধারণত মাছের দোপেয়াজা হয় বেশ মাখামাখা ঝোল ছাড়া। কিন্তু আমার আজকের এই দোপেয়াজাই একটা ঝোল ঝোল রেখেছি। কেননা আমার তাজা মাছের ঝোল খেতে খুব ভালো লাগে।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি।
- মরিচের গুঁড়া।
- লবণ।
- তেল।
- জিরা বাটা।
- টমেটো।
- রসুন বাটা।
- ধনিয়া পাতা।
- রুই মাছ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে মাংসগুলোকে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নেব। এরপর এতে হলুদের গুঁড়া মরিচের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নেব।
ধাপ-২ঃ
- এরপর কড়াইতে তেল গরম করতে দিব। বেশ ভালোভাবে তেল গরম করে নিব।
ধাপ-৩ঃ
- তেল গরম হয়ে গেলে মসলা মাখানো মাছ গুলো এর মধ্যে দিয়ে দিব।
ধাপ-৪ঃ
- মাছগুলোকে ভালোভাবে ভেজে নিব।
ধাপ-৫ঃ
- এরপর অন্য একটি পাত্রে তেল গরম করতে দিব তেল গরম হয়ে গেলে এতে জিরা বাটা রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুচি, হলুদ, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে দিব।
ধাপ-৬ঃ
- এবার মসলাগুলো গুলো যাতে পুড়ে না যায় তার জন্য এতে অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে দিব।
ধাপ-৭ঃ
- এরপর ময়লাগুলোকে ভালোভাবে কষিয়ে নিব।
ধাপ-৮ঃ
- মসলা কষানো শেষে ভেজে রাখা মাছগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিব।
ধাপ-৯ঃ
- এরপর মাছগুলোকে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেব।
ধাপ-১০ঃ
- মাছগুলো কষানোর সময় কেটে রাখা টমেটো দিয়ে দিব।
ধাপ-১১ঃ
- মাছ কষানো শেষে পরিমাণমতো ঝোল দিয়ে দিব। এবং কিছুক্ষণ মাছগুলোকে রান্না করবো।
ধাপ-১২ঃ
- রান্না শেষ পর্যায়ে ধনিয়াপাতা দিয়ে নামিয়ে নিব।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
রুই মাছ মানেই অত্যান্ত মজার একটি মাছ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক পছন্দ করি এই মাছ। আপনি রুই মাছের দোপেয়াজা রেসিপি করেছেন। সত্যি বলতে দেখেই আমার খেয়ে মন চাচ্ছে। যদিও মন চাইলেই লাভ নেই তাই আপনার রেসিপি তৈরির কৌশল শিখে নিলাম। এখন আশা করি আমি নিজেই বাসায় রেসিপি তৈরি করে আপনাকে দাওয়াত দিতে পারবো। 🤭 আপনার কাছ থেকে সব সময় নতুন নতুন কিছু না কিছু পাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। 💞💕💞
ভাইয়া আপনার তৈরি করা মজার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এত সুন্দর ভাবে আপনি এই রেসিপি উপস্থাপন করেছেন দেখে মনে হচ্ছে গরম ভাত নিয়ে বসে পড়ি খাওয়ার জন্য। দুপুরবেলা এরকম একটি লোভনীয় রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে আপনার বাসায় চলে যাই। সত্যি ভাইয়া অসাধারন হয়েছে আপনার এই রেসিপি। কালার দেখে মনে হচ্ছে যেন একেবারে দক্ষ রাঁধুনির হাতের রান্না। আসলে এই রেসিপিটি একজন দক্ষ রন্ধনশিল্পী তৈরি করেছেন এতে কোন সন্দেহ নেই। অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💗💗💗💗
ভাইয়া আপনার রুই মাছের দোপেয়াজা রেসিপি টি খুবই চমৎকার হয়েছে ।দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। এত লোভনীয় হয়েছে আপনার রান্না । রুই মাছ আমার কাছেও বেশ ভালই লাগে। আর আপনি এত চমৎকার করে রান্না করেছেন যেটা দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। আপনার রান্নার একটি জিনিস আমার কাছে অন্যরকম সুন্দর লেগেছে যে আপনি টমেটোগুলো দুই ভাগ করে দিয়েছেন ।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ।তরকারির কালারটা ও খুবই চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে দেশি টমেটোগুলো খেতে খুব মজা লাগে। আর সাধারনত দেশি টমেটোগুলো ছোট হয়। তাই 2 ভাগ করা হয়।
ভাইয়া দুপুর বেলা আপনার এই রুই মাছের দোপেয়াজা রেসিপি দেখে সত্যি লোভ সামলিয়ে রাখতে পারিনি, ভাইয়া পারলে এক পিজ পার্সেল করে দিয়েন, সত্যি ভাইয়া অনেক লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন, এবং প্রতিটি ধাপের বর্ণনা অনেক সুন্দর করে দিয়েছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
রুই মাছ আমারও অনেক পছন্দের ভাই , তবে এরকম তাজা মাছ খেতে আসলেই খুবই মজার হয়। আপনি আজকের মাছের দোপেয়াজা শেয়ার করেছেন। আপনার রান্না টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। রান্নার পদ্ধতিটা ও বেশ ভালো লেগেছে। রান্নার কালার টা অনেক সুন্দর এসেছে, কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে যেটা খেতে খুবই মজা হবে. অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই রুই মাছের দোপেয়াজা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমি আসলে জানি না, ভুনা এবং দোপেয়াজা কি এক জিনিস।আমার কাছে ভাইয়ার রেসিপিটা দেখে তাই মনে হচ্ছে। আমাদের বাসায় এভাবে রুই মাছ ভুনা করা হয়।খেতে ভালো লাগে।আপনার রেসিপির কালারটা বেশ দারুন এসেছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
রুই মাছের দোপেয়াজা দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। দেখে আমিও শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
ঠিক বলেছেন ভাই। দেশি রুই মাছের স্বাদই আলাদা। তবে আপনি টমেটো আর ধুনে পাতা যোগ দিয়ে আরও সুস্বাদু করে তুলেছেন। রেসিপি কালার টা অসাধারণ হয়েছে ভাই। খেতে না জানি কত সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ।শহরে আসলে কোন জিনিসে দেশী পাওয়া যায় না অর্থাৎ ম্যাক্সিমাম মাছ সাধারণত ফার্মের হয়ে থাকে । আর এই ফার্মের মাছের তেমন স্বাদ পাওয়া যায় না। তবে নিজস্ব পুকুর বা নদীতে বিলে যে মাছগুলো প্রাকৃতিক উপায় বড় হয় সে মাছগুলোর স্বাদ অনেক অনেক ভালো। সে মাছগুলো খেলেই বোঝা যাবে গুলো কোথাকার। রুই মাছের দোপেয়াজা আমার পছন্দের একটি রেসিপি। গরম ভাত দিয়ে দোপেয়াজা খেলে কি যে স্বাদ লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া অনেক সুন্দর হয়েছে রেসিপিটি। দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিদিন ধাপ অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল শ্রদ্ধেয়