বৃষ্টি বিলাস কটেজে কাটানো কিছু মুহূর্ত।।
আমি আগেও বলেছি লেমন গার্ডেন রিসোর্ট প্রায় ১০৫ একর জমির উপরে অবস্থিত। তাহলে চলুন আজ আপনাদের সাথে বৃষ্টি বিলাস কটেজ এ আমার কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করছি। ওহ হা আমরা যে কটেজে উঠেছিলাম তার নাম বৃষ্টি বিলাস। আমরা যখন হোটেল থেকে বৃষ্টি বিলাসের দিকে যাচ্ছিলাম তখন অনেক উচুতে উঠতে হয়েছে এবং সিড়ি বেয়ে বেয়ে। সিঁড়ি দিয়ে উঠে হাপিয়ে গিয়েছিলাম । উঠে দেখি সুন্দর দোলনা রাখা আছে এবং অনেক সুন্দর বাগান বিলাশের গাছ। আমার কোলে আমার মেয়ে ছিল তাই সব ছবি তুলতে পারিনি। তবে অনেক সুন্দর লাগছিল দোলনা এবং বাগান বিলাসের গাছের দৃশ্য।
আমাদের কে যে গাইড নিয়ে যাচ্ছিল সে হঠাত বলে চলুন সামনে এগিয়ে যাই। আমি জিজ্ঞেস করলাম সামনে যাব মানে আমরা কি কটেজে এখনো আসিনি? গাইড হেসে বললেন এইত আরেকটু সামনে গেলেই কটেজ পেয়ে যাবেন, আমি রাস্তা দেখাচ্ছি আপনারা আমার সাথে আসুন। কি আর করব উনার পিছু পিছু হাটছিলাম। তবে এত সুন্দর করে গুছিয়ে এবং সাজিয়ে রেখেছে যে দেখতে খারাপ লাগছিল না। কিছুদূর হাটার পর দেখি পর পর দুটি কটেজ । আমি ভাবলাম এই বুঝি চলে এসেছি। আসলে উঠার আগে কটেজের নাম জানতাম না তাই যেই কটেজ সামনে পড়ছিল ভাবছিলাম আমাদেরই হবে।
কটেজগুলোর নাম কিন্তু অনেক সুন্দর হাসনাহেনা, রজনীগন্ধা, বৃষ্টি বিলাস। যাই হোক যখনই একটি কটেজ সামনে পড়ে আমি গাইড কে জিজ্ঞেস করি এটি? গাইড বলে না স্যার আরেকটু সামনে। এরকম করতে করতে অনেক দূর চলে এসেছি এবং এক প্রকার রাগ করেই গাইড কে বললাম আপনি একটু একটু করতে করতে অনেকদুর নিয়ে এসেছেন। গাইড বলল এবার সত্যিই চলে এসেছি। আসলে আপনাদের যদি বলতাম প্রায় হাফ কিলোমিটার পর আপনাদের কটেজ তাহলে আপনারা আগেই ভরকে যেতেন। তাকিয়ে দেখি যতটুকু উচুতে আমরা উঠেছি ঠিক ততটুকু নিচে নেমে আমাদের কটেজ। যদিও দেখতে ভাল লাগছিল। তবে রাতের বেলায় এই সিড়িগুলো আরো সুন্দর লাগছিল। তাই দিনের এবং রাতের বেলার সিড়ির দৃশ্য আমি আপনাদের একসাথে দেখাচ্ছি।
সিড়ি দিয়ে নেমেই আমাদের কটেজ বৃষ্টি বিলাস। কটেজটি দোতলা বিশিষ্ট। দেখেই আমার খুব ভাল লাগল। ঢুকতেই বিশাল লিভিং স্পেস এবং লিভিং স্পেসের তিনপাশে তিনটি রুম। লিভিং স্পেসে বসিয়ে আমাদের ড্রিংকস দিল কাঠের জগ দিয়ে। কিছুক্ষন বসে আমি রুমে গেলাম এবং দেখলাম বিশাল রুম। তারপর লিভিং স্পেস থেকে কিছু বাহিরের ছবি তুললাম। খেয়াল করে দেখলাম আমরা মাটি থেকে অনেক উপরে পাহাড়ের উপর আছি।
গাইড বলল স্যার রাতের বেলায় লাইটিং এ কটেজ টি আরো সুন্দর দেখায়। তার কথামত রাতে বের হয়েছি হাটতে এবং দেখলাম আসলেই রাতের বেলায় কটেজের চেহারাই পাল্টে গিয়েছে। মন্টা খুব ভাল লাগল। আমরা রাতে লিবিং স্পেসে বসে অনেক আড্ডা দিলাম। সাথে চা কফি স্ন্যাকস ছিল। রাতে কার্ড খেলেছি। খুব ভাল লেগেছিল।
ডিভাইস | অপ্পো এ ৫৪ |
---|---|
বিষয় | বৃষ্টি বিলাস কটেজে কাটানো কিছু মুহূর্ত |
what3words location | https://what3words.com/thicken.working.unions |
ক্রেডিট | @miratek |
আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
লেমন গার্ডেন রিসোর্টে গিয়ে যে সময়টা উপভোগ করেছেন সে সময়টা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিলেন।তারপর আবার বৃষ্টি বিলাস কটেজে গিয়েও এক রাত উপভোগ করেছেন। আর সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা পড়ে সত্যিই বেশ ভালো লাগছে। আধা কিলোমিটার পথ যেতে যেতে আপনার হাঁপিয়ে উঠেছেন। যেহেতু পথের দূরত্ব বেশি সেই হিসেবে গাইড আপনাদের আগে থেকেই বলেনি, তাহলে হয়তোবা সেখানে যেতে নিরুৎসাহিত হতেন। যাই হোক সর্বোপরি আপনাদের ভালো মুহূর্ত পড়েও ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার কাছেও তাই মনে হলো ভাইয়া! কটেজগুলো নাম যেমন আনকমন তেমনি লোকেশন অনুযায়ী সুন্দর স্পেস থাকার জন্য! দু তলা বিশিষ্ট কটেজটি একদম নিরিবিলি মনে হচ্ছিল। এমন পরিবেশে থাকতে পারলে ভালোই হতো। শ্রী মঙ্গল কখনো যাওয়া হয়নি। আপনার মাধ্যমে বেশ কিছু তথ্য জানতে পারলাম। আপনারা নিশ্চয় উপভোগ করছে সময়টুকু।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অসাধারণ সময় কাটিয়েছেন আপনি শ্রীমঙ্গলের ঘুরতে যেয়ে পরিবারের সাথে। লেমন গার্ডেনের বৃষ্টিবিলাস কটেজ দেখতে তো অসাধারণ সুন্দর একটি পরিবেশ। এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে যদি কটেজগুলা হয় তাহলে অনেক সুন্দর সময় পার করা সম্ভব। চারপাশের পরিবেশটা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে প্রতিটি কটেজে মনে হয় এমন রাতের বেলায় সুন্দর লাইটিং করে রাখে দেখতে আরো বেশি সুন্দর দেখায়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।