চট্টগ্রাম চিরিয়াখানা ভ্রমণ।।
এর আগে একটি পোস্টে চট্টগ্রাম ঘুরতে যাওয়ার কথা বলেছি। সেখানে গিয়ে কয়েকটি স্পটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তার মধ্যে পতেঙ্গা সি বিচ ভ্রমণ এর কথা শেয়ার করেছি। আজ আমি চট্টগ্রামে অবস্থিত চিড়িয়াখানা ভ্রমণ নিয়ে কিছু মুহূর্ত আপনাদের শেয়ার করব।
আমাদের হোটেল থেকে চিড়িয়াখানা যেতে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরত্ব। আগের দিনই প্ল্যান করে রেখেছিলাম কিভাবে যাব কখন যাব। সেই প্ল্যান অনুযায়ী খুব সকালে উঠে গিয়েছি কারণ খাবারের হোটেল খোলা পাওয়া যায় না। সকালে ফ্রেশ হয়ে একবারে রেডি হয়ে বের হলাম। রিকশা নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি নাশতার হোটেল পেয়েছি। সোজা ঢুকে নাশতা করে নিলাম।
নাশতা খেয়ে সি এন জি ঠিক করলাম ফয়েস লেক। আপনারা ভাবছেন বলল চিড়িয়াখানায় যাচ্ছে তাহলে ফয়েস লেক কেন। কারণ ফয়েস লেকের ঠিক পাশেই চিড়িয়াখানা। সি এন জি ভাড়া ২৫০ টাকায় ঠিক করেছি। যাওয়ার পথে সি এন জি ড্রাইভার ভাই অনেক কিছু দেখালেন আমাদের। প্রায় ৩০ মিনিট পর গিয়ে নামলাম চিড়িয়াখানা গেটে। আমি লাইনে দাড়িয়ে দুটি টিকেট কেটে নিলাম। টিকেট কেটে সোজা ঢুকে গেলাম চিড়িয়াখানায়। ঢুকে আমার ভালো লেগেছে কারণ আমি ভেবেছি খুব ছোট পরিসরে হবে কিন্তু না ঢুকতে সামনেই মোটামুটি বড় স্পেস আছে।
প্রথমেই দেখলাম ময়ূর। ময়ূর দেখতে খুবই সুন্দর। নেটের ছিদ্রগুলো খুব ঘন তাই স্পষ্ট দেখা যায় না। আমার মেয়েকে দেখাতেই সে খুব খুশি হয়ে গেল।
তারপর চলে গেলাম সাদা কালো জেব্রার কাছে। জেব্রা দেখে আমার মেয়ে বলল বাবা জেব্রা। আমি তাকে নিয়ে কাছে দাড় করালাম। তারপর সে পোজ দিয়ে ছবি তুলে নিল।
তারপর চলে গেলাম বাংলার রয়েল বেঙ্গল টাইগারের কাছে। তবে বাঘ খুবই শান্ত ছিল। চুপচাপ বসে ছিল । সাইজেও অবশ্য ছোট ছিল। আর অনেক দূরে থাকায় ভালো করে দেখাও যায়নি ।
বাঘের নড়াচড়া নেই দেখে আমরা সামনে এগিয়ে গেলাম। সেখানে দেখতে পেলাম কিছু পাখি। এই পাখিগুলো কে ম্যাকাও পাখি বলে। আরও অনেক ধরনের পাখি আছে আমি ম্যাকাও এর ছবি তুলেছি। আসলে গরম ছিল পাশাপাশি মেয়েকে সারাক্ষণ চোখের সামনে রাখতে গিয়ে খুব বেশি ছবি তুলতে পারিনি।
এখন আমি যে পাখির কথা বলব সেটি হচ্ছে আমাদের সবার পরিচিত শকুন। শকুন সামনে থেকে দেখতেও খুব ভয়ানক লাগে।
এইবার আপনাদের দেখাব আমাদের খুব পরিচিত একটি প্রাণী। সেই প্রাণীর নাম হচ্ছে ঘোড়া।
এখন যেই প্রাণীর সাথে আপনাদের পরিচিত করব সেটি হচ্ছে ক্যাঙ্গারু।
এই চিড়িয়াখানায় একটি বেপার আমার ভালো লেগেছে আর সেটি হচ্ছে বাচ্চাদের জন্য আলাদা প্লে গ্রাউন্ড। প্লে গ্রাউন্ডে যাওয়ার পথে সিড়ি দিয়ে নিচে নামতে হয়। খুব সম্ভবত এই চিড়িয়াখানা পাহাড় কেটে তৈরী করা হয়েছে। সিঁড়ি দিয়ে নামার রাস্তা খুব সুন্দর এবং বিভিন্ন প্রাণীর ছবি আর্ট করে রাখা হয়েছে।
আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিভাইস | অপ্পো এ ৫৪ |
---|---|
বিষয় | চট্টগ্রাম চিরিয়াখানা ভ্রমণ |
what3words location | https://what3words.com/awesome.tasks.spines |
ক্রেডিট | @miratek |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চিরিয়াখানা ভ্রমণের অনুভূতি সত্যি খুব দুর্দান্ত হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি দেখে খুব ভালো লাগে। চিড়িয়াখানায় বেশ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন আপনি দেখে খুব ভালো লাগলো। চিড়িয়াখানা কাটানো মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।