ঈদের টুকিটাকি কেনাকাটা।।
পোস্টের শুরুতে একটু অফ্ টপিক নিয়ে কথা বলি। শুরুতেই সবার সুস্থতা কামনা করছি কারণ, যে পরিমাণ গরম পরেছে তাতে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পরছে। বাহিরের তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর বেশি যা খুবই অসহনীয়। আমরা বড়রাই এতটা বিরক্ত এবং অতিষ্ঠ গরম নিয়ে তাহলে ছোট বাচ্চাদের কি অবস্থা চিন্তা করুন। এই গরমে পানিশূন্যতা, ইউরিন ইনফেকশ, ঘামাচি, ঠান্ডা সর্দি, জ্বর হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। আমার বাচ্চার রীতিমত অনেক ঘামাচি হয়েছে সাথে ঠান্ডা সর্দি ত আছেই । এত ছোট বাচ্চা অনেক কষ্ট করে সহ্য করে আছে। আপনাদের উদ্দেশ্যে বলব বেশি বেশি পানি খাবেন, যত সম্ভব সূর্যের সরাসরি আলো থেকে দূরে থাকুন, বাচ্চারা যেন না ঘেমে যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন, বেশি পানিশূন্যতা মনে হলে স্যালাইন খেতে পারেন।
এবার ঈদের শপিং নিয়ে কিছু কথা নিয়ে। যে গরম পড়েছে তাতে ভেবেছিলাম এই ঈদের কোন শপিং করবই না। তাই ২৬ রোজা পর্যন্ত বেরই হইনি। কিন্তু আব্বাকে প্রতিবার ঈদে গিফট দেয়া হয়। এখন আর কিছু না কিনলেও আব্বার জন্য কিছু একটা কিনতে হবে। যে গরম পড়েছে তাতে ভাবলাম আব্বাকে হাওয়াই শার্ট কিনে দেই কারণ এই শার্ট গরমে পড়ে আরাম আছে। এখন কথা হল কিনব কিভাবে এই গরমে। আব্বাকে শার্ট বা পাঞ্জাবি যেটাই দেই বেশিরভাগ সময় আড়ং থেকেই দেয়া হয়। ওয়ারী তে আরং এর একটি আউটলেট আছে কিন্তু কালেকশন তুলনামূলক কম। সেদিন একবার গিয়েছিলাম দেখতে কিন্তু কালেকশন কমের কারণে ভাল কিছু সিলেক্ট করতে পারিনি। তার উপর তারা ঈদের মধ্যে আর কোন কাপড় তুলবে না। পরে চিন্তা করলাম সাইন্স ল্যাব আড়ংয়ের আউটলেটে যাওয়া যায় কারণ ওখানে সবকিছুরই কালেকশন ভাল। যাওয়ার পথে দেখি অনেক মার্কেট মিউজিক লাইট দিয়ে সাজিয়েছে।
রিকশা সোজা গিয়ে থামল সাইন্স ল্যাব এর মোড় আড়ংয়ের সামনে। ভিতরে ঢুকে দেখি মানুষের অনেক ভিড়। সকালে অফিস যাওয়ার সময় শুনেছিলাম দুপুরের আগেই ঢাকা ফাঁকা হয়ে যাবে। কিন্তু আড়ংয়ের আউটলেটে ঢুকে আমার মনে প্রশ্ন জাগল আরে এরা কারা? যাই হোক ভেবেছিলাম প্রতিটি ফ্লোরের ছবি তুলে আপনাদের সামনে সুন্দর একটি রিভিউ উপস্থাপন করব কিন্তু ভিড়ের কারনে মোবাইল আরো চেপে ধরে রেখেছি । যাই হোক ভিড় ঠেলে সোজা কোলে গেলাম বিল্ডিংয়ের চার তলায় ছেলেদের সেকশনে। যেহেতু আব্বার জন্য শার্ট কিনব সেহেতু শার্ট এর সেকশনে চলে গেলাম। ছবি তুলতে খুবই অসস্তি লাগছিল তার পরও কয়েকটি ছবি তুলে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি।
অনেকগুলো শার্ট দেখে শেষ পর্যন্ত একটি শার্ট বেশি ভালো লেগেছে। পরে ট্রায়াল রুমে ট্রায়াল দিয়ে দেখলাম আব্বার লাগবে কিনা। আসলে আমার থেকে আব্বার এক সাইজ বড় লাগে ।শেষ পর্যন্ত দেখলাম সাইজ ঠিক আছে ।
আব্বার টা সিলেক্ট করার পর আমার ওয়াইফ বলে নিজের জন্য কিছু একটা কিনতে। আমি দেখে জেনে একটি শার্ট পছন্দ করলাম। মজার ব্যাপার হচ্ছে আব্বার টা বাটিক পছন্দ করেছি আবার আমারটাও বাটিক পছন্দ করে নিলাম। আসলে এই গরমে বাটিকের হাওয়াই শার্ট পড়লে অনেক ভাল লাগে।
শার্ট দুটি নিয়ে বিলের কাউন্টারে গিয়ে দেখি ভীষন ভিড় লেগে আছে। তাড়াতাড়ি করে লাইনে দাড়িয়ে রইলাম প্রায় ২০ মিনিট। মানুষের শরীরের তাপমাত্রার কারণে এসির মধ্যেও অনেক গরম লাগছিল। আমার সিরিয়াল আসতেই শার্টগুলো দিয়েছি। তারপর কার্ড দিয়ে বিল পে করে দিলাম। শার্ট কেনা হয়ে গেলে ওয়াইফ কে বললাম তুমি যেহেতু আড়ংয়ের নোজ পিন পছন্দ কর তাহলে একটি কিনে নাও। পরে দ্বিতীয় তলায় গিয়ে ওয়াইফের জন্য একটি নোজ পিন কিনে দিলাম।
তারপর রাস্তা পার হয়ে চলে গেলাম প্রিয়াঙ্গণ শপিং সেন্টারে। সেখানে বাচ্চার জন্য কিছু গজ কাপড় কিনে বাসায় চলে এসেছি।
ডিভাইস | অপ্পো এ ৫৪ |
---|---|
বিষয় | ঈদের কেনাকাটা |
লোকেশন | সাইন্স ল্যাব, ঢাকা |
ক্রেডিট | @miratek |
আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মার্কেটের কথা আর কি বলবো, আগে একদিন বাচ্চাদের নিয়ে গিয়ে সব কিনেছিলাম। তবে গতকাল আবার নিয়ে গিয়ে দুই মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে গরমে।যাইহোক ভাইয়া এই গরমে কিছু কিনতে আসলে মন চায় না, তবে ঈদ বলে কথা বছর ঘুরে একবার। সত্যি বাটিকের তুলনা হয় না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঈদ আসলে কেনাকাটা করতে হবে এর কোন ভুল নেই। কারণ কি ঈদ আমাদের জীবনে নিয়ে আসে অন্যরকম আনন্দ ভালোলাগা খুশি আত্মীয় সম্পর্ক বন্ধন আরো অটুট রাখা। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন দেখে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলেছেন এই গরমে কেনাকাটা করাও অনেক কষ্টের। এই গরমে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে গেছে। তবে আপনার জন্য এবং আপনার বাবার জন্য বাটিক শার্ট পছন্দ করে কিনে নিলেন। আসলে শার্ট গুলো গায়ে দিতে গরমের সময় অনেক আরাম। তবে অনেকক্ষণ মার্কেটে সিরিয়াল ধরতে হয় এখন। জাগ কিনা কাটা করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। ঈদ অনেক সুন্দর কাটুক এই কামনা করি।
এই গরমে কেনাকাটা করা অনেক কষ্টের । আমি নিজেও কেনাকাটা করার জন্য বাহির হলাম না। তবে আপনার বাবার জন্য এবং আপনার জন্য একই ধরনের শাট কিনেছেন। যদিও আপনার বাবার শার্ট আপনার থেকে এক ইঞ্চি বড়। তবে এখন মার্কেটের মধ্যে অনেক জ্যাম কাস্টমার অনেক বেশি। অনেক সুন্দর করে কেনাকাটার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আমার তো গরমে ঘেমে ঘেমে অলরেডি ঠান্ডা লেগে গেছে ভীষণ পরিমাণে। জানিনা এই দুর্ভোগ আরো কতদিন পোহাতে হবে। তবে আপনার পছন্দের তারিফ করতেই হবে ভাই। দুইটা শার্টই আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আর যেকোনো উৎসব লাগলে আড়ং এর শোরুম গুলোতে মৌমাছির মত ভিড় লেগেই থাকে। সে যাই হোক, এই ছোট ভাইয়ের ঈদ সালামির ব্যাপারটাও মাথায় রাখবেন কিন্তু ভাই 😉 হিহিহিহি।
ওয়ারী তে অবস্থিত আড়ংয়ের আউটলেটে কালেকশন ভালো ছিল না বিধায় আপনারা সাইন্স ল্যাবের মোড় আড়ংয়ের আউটলেটে গিয়ে বেশ ভালো করেছেন। সেখানকার কালেকশন বেশ ভালো মনে হচ্ছে। আপনার এবং আপনার বাবার শার্ট খুব ভালো হয়েছে। এই গরমে হাওয়াই শার্ট পরতে খুব আরামদায়ক। ভাবির নোজ পিনটাও খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।