|| জনমনে আতংক ছড়াচ্ছে অতিরিক্ত বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি ||
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সকলেই ভালো আছেন।আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদে আমিও ভালো আছি।আজকে আপনাদের সামনে শেয়ার করবো "জনমনে আতংক ছড়াচ্ছে অতিরিক্ত বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি"বিষয়টি নিয়ে এই কমিউনিটির বিশাল সংখ্যক সদস্যকে অবগত করার পাশাপাশি যাতে করে সকলে সতর্ক থাকতে পারি সেজন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
এবছর বাংলাদেশের আবহাওয়া ধরণ ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।এবছর বাংলাদেশ জন্মের পর বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।যা এ অঞ্চলে ৭৬ বছর পরে ঘটেছে।সেই সাথে এবার বাংলাদেশে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনাও বেশি।এসময়ের মধ্যে বাংলাদেশের যেসব অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগ অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি হচ্ছে।এবং এই শিলাবৃষ্টির পরিমাণ এতো বেশি যে তা আশংকাজনক। মনে হচ্ছে যে আকাশ ভেঙে পড়ছে বৃষ্টি নয়।একেকটা পাথরের ওজন করলে ১০০গ্রাম, ১৩৪ গ্রাম আরো কম বেশি পাওয়া যাচ্ছে।যা জনমনে আতংক ছড়িয়ে দিচ্ছে। শিলাবৃষ্টির শিলার আঘাতে অনেকের মাথা ফেটে যায়।এছাড়াও যেসব অঞ্চলে ঝড় হচ্ছে সে অঞ্চলে ধমকা হাওয়া প্রবল বেগে বয়ে যাচ্ছে।এবং অজস্র বজ্রপাত হচ্ছে।বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় বজ্রপাতের ফলে তালগাছে অগ্নিসংযোগ ঘটে যায়।আমার নিজ এলাকা কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার এক গ্রামে গত রাতে ঝড়ে টিনের ঘরে বসবাসরত নয়মাসের গর্ভবতী মা এবং সঙ্গে থাকা পাঁচবছরের ছেলে সহ ঘরের উপরে গাছ পড়াতে গাছের ছাপায় তারা প্রাণ হারান।এছাড়া খাগড়াছড়িতেও বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ চারজন প্রাণ হারায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।এবছর এখন পর্যন্ত বজ্রপাতে পঁচিশ জনের মৃত্যুর খবর শুনা গিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে ৩০০ মানুষ মারা যায়। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে বজ্রপাতের কারণে বছরে ২০ জনেরও কম মৃত্যু ঘটে।সেখানে গতবছর আমার দেশে মারা গিয়েছিল ৩৫০ জন।
বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি থেকে আমাদের যথাসম্ভব নিরাপদে থাকা জরুরি। বজ্রপাত ও ঝড়বৃষ্টির সময় বাইরে, খুলা জায়গায় অবস্থান না করে যথাসম্ভব নিরাপদ স্থানে যেসব জায়গায় গাছ ভেঙে পড়লে তেমন ক্ষতি হবে না বা জানমালের ক্ষতি হবে না এমন স্থানে আবস্থান করা উচিত। নিজ নিজ দায়িত্বে নিজেদের নিরাপদ রাখতে হবে।যেসব স্থানে অবস্থা খুবই খারাপ সেসব অঞ্চলের মানুষদের সরকারি নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রয় নেওয়া উচিত। সাহস করে নিজ বাসগৃহে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।
আমরা যারা আছি আমাদের আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব যাদের পারি সতর্ক করি।এবছর আবহাওয়ার ব্যপক পরিবর্তনের কারণে যেকোনো অপ্রত্যাশিত দূর্ঘটনা যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে। তাই এই অপ্রত্যাশিত দূর্ঘটনা রুখে দিতে আমাদের সকলের নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক থাকা উচিত। এবং সকলেই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যাতে করে উনি আমাদের নিরাপদ রাখেন।সকল কিছু থেকে আমাদের একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই পারেন রক্ষা করতে।
বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। সকলেই নিরাপদ থাকি সুস্থ থাকি সেই দোয়া ও শুভকামনা রইলো। ধন্যবাদ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের এদিকে কোন বৃষ্টি হচ্ছে না। কিছুদিন আগে ভূমিকম্প হয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হলে হঠাৎ বৃষ্টি হলে খুব বজ্রপাত হয়। সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো।
এবার আবহাওয়ার ব্যপক পরিবর্তন, তাই আশংকা বেশি। সৃষ্টিকর্তা না করুক আপনার এলাকায় বৃষ্টি নেই তবে বৃষ্টির দরকার এখন পাচ্ছেন না যখন পাবেন অতিরিক্ত পেয়ে যাবেন সেই সাথে শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতের আশংকাও রয়েছে।সৃষ্টিকর্তা সকলের মঙ্গল করুন।
খুবই দুঃখজনক ঘটনা আপনার তত্ত্ব অনুযায়ী জানতে পারলাম বেশ মানুষের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া এভাবে শিলাই বৃষ্টি হলে তো খুব ক্ষতিকর অবস্থা। আর প্রচুর ঝড় বাতাসের কারণে মানুষের মৃত্যু ঘটেছে শুনে বেশ খারাপ লাগলো। আমি মনে করি ঘরের চালে এবং ঘরের আশেপাশে এত বড় গাছ না রাখাই উত্তম। এছাড়াও শিলাবৃষ্টির সময় এবং বজ্রপাতের সময় বের না হওয়াই অনেক ভালো। কারণ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সব সময় সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সবাইকে। কিন্তু মানুষ এগুলো অবহেলা করলে তো ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো সচেতন হতে পারলাম।