বাণিজ্য মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত -৩
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
প্রথম পর্ব | বাণিজ্য মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত -১ |
---|---|
দ্বিতীয় পর্ব | বাণিজ্য মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত -২ |
আজ আপনাদের মাঝে বাণিজ্য মেলায় আমার কাটানো মুহূর্তের তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। এর আগের পর্বগুলোতে আপনাদের বাণিজ্য মেলার বিভিন্ন স্টল সহ বাণিজ্য মেলার কিছু অংশ দেখানোর চেষ্টা করেছি। এই পর্বে আমি বাণিজ্য মেলায় যে সকল রাইড এসেছিল সে রাইড গুলো আপনাদের দেখানোর চেষ্টা করব।
কুড়িগ্রামের বাণিজ্য মেলা এবার ভালোই বড়সড়োভাবে আয়োজন করা হয়েছিল। বেশ জাঁকজমক একটা ব্যাপার ছিল সেই মেলায়। সেখানে বিভিন্ন ধরনের স্টলসহ ছোটদের এবং বড়দের জন্য বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। আমি আবার এ ধরনের রাইড গুলো খুবই পছন্দ করি। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো রাইডে উঠে ভালো ভাবে ছবি তুলতে পারিনি। ছবি তুলতে গেলে হয়তো মোবাইল পড়ে যেত না হলে আমি পড়ে যেতাম।
এই রাইডটি হয়তো অনেককেই চিনবেন, এই রাইডে উঠতে অনেকেই ভীষণ ভয় পায় সত্যি বলতে প্রথম প্রথম আমিও এই রাইডে উঠতে ভয় পেতাম কিন্তু এখন ভয়ের থেকে মজাটাই বেশি পাই। এই রাইডের নাম হলো সাম্পান কেউ কেউ এটাকে নৌকাও বলে। এটায় উঠলে প্রথমের দিকে ভীষণ ভয় লাগে কিন্তু কিছুক্ষণ যাওয়ার পর কি যে মজা লাগে সেটা যে ওঠে সেই বোঝে। আপনারা আপনাদের এলাকার মেলায় কখনো এই সাম্পান দেখলে অবশ্যই এটার মজা উপভোগ করার চেষ্টা করবেন।
এটা হল সকলের চেনা নাগরদোলা। খুব ইচ্ছা ছিল নাগরদোলায় ওঠার কিন্তু পুরো মেলা ঘুরতে ঘুরতে আমাদের অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল তাই নাগরদোলায় ওঠার সময় পাইনি। তবে নগরদোলার পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে সেখানের মজা উপভোগ করছিলাম। হায়রে মানুষ যে কি পরিমান ভয় পায় এই নাগরদোলার পাশে গিয়ে দাঁড়ালেই তা ভালোভাবে উপলব্ধি করা যায়, সেখানে চিল্লাচিল্লির কোন কমতি ছিলো না।
মেলা কর্তৃপক্ষ বড়দের পাশাপাশি ছোটদের কোথাও মাথায় রেখেছিল। ছোট সোনামণিদের জন্যও বিভিন্ন রকম রাইড এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আমার সাথে ছোট মামাত ভাই বোন ছিল, তারা যেহেতু বড়দের রাইডে উঠতে পারেনি তাই চিন্তা করলাম তাদের একটু এই রাইড গুলোতে উঠিয়ে দেই। এক এক করে তাদের প্রত্যেকটা রাইডে উঠিয়েছিলাম তারা বেশ আনন্দ উপভোগ করেছিল।
তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে আমরা অন্যান্য স্টলগুলো ঘুরতে থাকলাম। সব স্টল প্রায় একই রকম , আমার আগের পর্বগুলোতে আমি সব স্টল দেখিয়েছিলাম তাই আর এ পর্বে স্টোল গুলোর ছবি শেয়ার করলাম না।
আমি বাসা থেকে ভেবে এসেছিলাম মেলায় গেলে অবশ্যই নবাবী পান এর দোকান চোখে পড়বে কারণ প্রত্যেকটা বাণিজ্য মেলায় এই পানের দোকান থাকবেই থাকবে। আর এই পান গুলো খেতে এক কথায় অসাধারণ। আমি পান খাই না তবে নবাবী পান হলে অন্য কথা।
এই পানের দোকানে নবাবী পান ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের পান পাওয়া যায় তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য ছিল আগুন পান। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার আমরা মেলার একদম শেষের দিকে পানের দোকানে গিয়েছিলাম তাই আগুন পান শেষ হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক কি আর করার নবাবী পান খেয়েই সেখান থেকে চলে আসি।
এটা হচ্ছে গোলা আইসক্রিম এর দোকান। গোলা আইসক্রিম তো অনেকেই চেনেন বরফ ভেঙ্গে সেটা একটি গ্লাসের মধ্যে গ্লাসের আকৃতি দিয়ে বিভিন্ন রকম ফ্লেভার যোগ করে পরিবেশন করা হয়। আমার কাছে এই গোলা আইসক্রিম বেশ ভালই লাগে তবে সেদিন পরিবেশটা একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ছিল তাই গোলা আইসক্রিম খাইনি।
মেলার ঠিক মাঝ বরাবর একটি বড় টাওয়ার বানানো হয়েছিল, টাওয়ার টি ছোট ছোট মরিচ বাতি দিয়ে সুন্দর করে সাজানো ছিল। মরিচ বাতির পাশাপাশি সেখানে একটি মাইক লাগানো ছিল সম্ভবত গান বাজনার জন্য সে মাইক লাগানো হয়েছিল। পুরো টাওয়ারটিকে মরিচ বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছিল জন্য দেখতে সত্যি অসাধারণ লাগছিল।
সবশেষে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ১২ বেজে গেছে। কখন মেলায় ঘুরতে ঘুরতে এত রাত হয়ে গিয়েছিল সত্যি বুঝতেই পারিনি। এত জাঁকজমক পরিবেশে সময় কিভাবে চলে যায় তা কি আর বুঝা যায়। এখন বাড়ি ফেরার পালা।
এই ছিল আমার বাণিজ্য মেলায় কাটানো মুহূর্তে তৃতীয় এবং শেষ পর্ব। আশা করি আমার আগের পর্বগুলো যারা দেখেছেন তাদের কাছে আগের পর্বগুলো ভালো লেগেছে। আর যারা দেখেননি তারা আমার আগের পোস্টগুলো থেকে অবশ্যই ঘুরে আসবেন আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আজ তাহলে এ পর্যন্তই আপনাদের সাথে আবারো দেখা হবে আমার নতুন কোন এক পোস্টে, শক্তি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।
YouTube |
---|
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু আমাদের এলাকায় এবারে কোন ধরনের বাণিজ্য মেলা হয়নি। কিন্তু আপনি কুড়িগ্রামের বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আমার কাছে সব থেকে বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে নবাবী পান গুলো দেখে। আমি কখনো খাইনি কিন্তু অনেকবার দেখেছি এরকম পান। আমাদের মাঝে বাণিজ্যমেলার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
https://twitter.com/mahir4221/status/1541530423616061440?t=2gdwgpwI0zPssxjYeX9bEg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যেকোনো মেলা খুবই আনন্দদায়ক।মেলায় ঘুরতে আমার ও খুব ভালো লাগে।ভাইয়া আমিও সচরাচর পান খাই না তবে মিষ্টি পান খেতে আমার খুব ভালো লাগে।আর পানগুলি দেখতে বেশ আকর্ষণীয় লাগছে।আশা করি আপনি দারুণ সময় কাটিয়েছেন মেলায়।ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন কুড়িগ্রামে বাণিজ্য মেলা বেশ বড়সড় ছিল এবং জাঁকজমক ভাবে করা হয়েছিল। তা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই বোঝা যায়। খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন আপনি বাণিজ্য মেলায়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তটাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
মেলায় ঘুরতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।
হ্যা এই পর্বে বেশ লোকে লোকারণ্য লেখা গেছে।
বড় ছোট সবার জন্য রাইড এবং খাবারের ব্যাবস্থা রয়েছে।
সবাই বেশ খুশি মনে হচ্ছিল।
দোয়া রইল ইভান ভালো পোস্ট উপহার দিয়েছো🤗
বাণিজ্য মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । দেখে মনে হচ্ছে বাণিজ্য মেলায় আপনি অনেক মজা করেছেন ।আমি ভিন্ন ধরনের পান খেয়েছি কিন্তু কোনদিন আগুন পান খাইনি আপনার আগুন পানের কথা শুনে আমার খাওয়ার আগ্রহ বেড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাদের কুড়িগ্রামের বাণিজ্য মেলা চিত্রগুলো এর আগেও দেখেছিলাম। দেখেই বুঝা যাচ্ছে বেশ বড়সড়। আপনার আজকের বাণিজ্য মেলা স্টলগুলোর ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন হয়েছে। সেই সাথে আপনার অনুভূতি গুলো। আমাদের সাথে বাণিজ্য মেলার তৃতীয় পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য, আপনাকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
এ ধরনের মেলাতে ঘুরলে এমনিতেই মন মানসিকতা পরিবর্তন হয়। আমার খুবই ভালো লাগে। অতীতের প্রায় সময় অনেক ধরনের মেলা হতো কিন্তু বর্তমানে কোন মেলায় হয়না। আপনার কি মেলার ছবিগুলো দেখে মেলা দেখতে যেতে খুব ইচ্ছে করতেছে।