বাণিজ্য মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত -১
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
প্রায় সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বাসায় বসে থাকতে থাকতে প্রচুর বিরক্ত অনুভব করছিলাম। তার উপর আবার আজকেই বাণিজ্য মেলা শেষের দিন। তাই বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি করবো। মেলা শুরু হয়েছে অব্দি একবারও যাওয়া হয়নি তাই ভাবলাম আজ যে করেই হোক মেলায় যেতেই হবে। যাওয়ার কথা ভাবতে ভাবতেই সন্ধ্যা হয়ে গেল কিন্তু তখনও টিপটিপ করে বৃষ্টি যেন পড়েই চলেছে। এই বৃষ্টি আমায় কাল খুবই চিন্তায় ফেলেছিল। অন্যান্য সময় আমার কাছে বৃষ্টি খুবই ভালো লাগে বৃষ্টির সময় কোথাও বসে এক কাপ চা খেতে মন্দ লাগে না।
কিন্তু কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে বৃষ্টি যে কতটা বিরক্তিকর সেটা শুধু যে ঘুরতে যাবে সেই ব্যক্তি জানে। যেমনটা কাল ঘটেছিল আমার সাথে। কি আর করার চিন্তা ভাবনা করলাম আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি হয়তো বৃষ্টি থেমে যাবে।
অপেক্ষা করতে করতেই সৌভাগ্যবশত সন্ধ্যার পর বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল। তবে আকাশটা প্রচুর খারাপ ছিল মনে হচ্ছিলো এই বুঝি বৃষ্টি আবার নেমে আসবে। সে চিন্তা করলে কি আর চলে মেলায় তো যেতেই হবে। তাই রেডি হয়ে নিলাম। রেডি হয়ে সোজা ছোটমামার বাসায় চলে গেলাম তাদের নিয়ে মেলায় যাব বলে। এদিকে আমার বাবা-মা এবং বোন কে আগেই রিক্সা ভাড়া করে মেলায় পাঠিয়ে দিয়েছি।
তারপর মামা মামীদের নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়তে হলো বিপদে রাস্তাঘাটে কোনো রিক্সার দেখা নেই। বৃষ্টির দিনে এই এক বড় সমস্যা কোথাও যাতায়াত করতে গেলেও যানবাহনের দেখা পাওয়া মুশকিল। তারপর অনেকক্ষণ আমরা হাঁটলাম হাঁটতে হাঁটতে একটা রিক্সা পেয়ে গেলাম। একটা রিক্সায় এতগুলো মানুষ কিভাবে ধরবে এই চিন্তায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আরেকটা রিক্সার অপেক্ষা করলাম কিন্তু আর কোন রিক্সার দেখা মিলল না। তাই ওই একটা রিক্সাতেই চেপে চলে গেলাম মেলার সামনে।
মেলার সামনে গিয়েই আলোকসজ্জা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মেলার সামনের পুরো রাস্তা টা কত সুন্দর আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে যেন মনে হচ্ছিল এটা কোন বিয়ে বাড়ি। সত্যি মনমুগ্ধকর একটা পরিবেশ ছিল সেখানকার।
মেলাটি হচ্ছিল আমাদের স্টেডিয়ামে। তাই স্টেডিয়ামের গেট থেকেই মেলার প্রধান ফটক বানানো হয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ মেলার গেটের ছবি তোলার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু এত মানুষজন চলাচল করছিল যে ছবি তুলেও শান্তি পাচ্ছিলাম না। অবশেষে কিছুটা ফাঁকা পাওয়ায় এই ছবিটি তুলে নিয়েছিলাম।
বাহিরে দেরি করে আর কি হবে তাই ভেতরে ঢোকার জন্য টিকিট ক্রয় করতে চলে গেলাম। টিকিটের মূল্য অনেকটাই কম ছিল। মাত্র ১০ টাকা করে টিকিট। অন্যান্য বাণিজ্যমেলায় এই টিকিটের মূল্য অনেকটাই বেশি থাকে। ১০ টাকা করে টিকিট এর মূল্য দিয়ে ভালই করেছে , সকলের জন্যই মেলায় প্রবেশ করতে সুবিধা হবে।
মেলায় ঢুকেই অবাক হয়ে গেলাম সেখানে প্রচুর মানুষ ছিলো। ভালই লাগছিলো, মানুষের মাঝে ঘোরাঘুরি করতে আমি ভিষণ পছন্দ করি৷ মনের ভেতর একটা আনন্দ কাজ করে।
মেলার ভেতরটা যেমন আলোকসজ্জায় সজ্জিত ছিলো তেমন লোক জনে ভরপুর ছিলো। মেলার শেষ দিন বলে কথা লোকের ভিরতো থাকবেই৷ শেষ দিন মেলায় লোক বেশি হওয়ার আর একটি কারন হলো এই দিনে সব পণ্যের দাম অনেক কমে যায়৷
মেলায় ঢুকেই প্রথমে চোখে পড়ল এই আচারের দোকান টি। আচার খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। আর সেই আচার গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছিল তাই নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলাম না চলে গেলাম সেই আচারের দোকানের দিকে। এখানে আচারের দাম মোটামুটি বেশি। তবে প্রত্যেকটি আচার অল্প অল্প করে ট্রাই করেছিলাম। আচারের দাম একটু বেশি হলেও এর স্বাদ ভালই ছিল।
বন্ধুরা আজ তাহলে এ পর্যন্তই আপনাদের সাথে দেখা হবে আমার বাণিজ্য মেলায় কাটানো মুহূর্তে দ্বিতীয় পর্বে। সে অব্দি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।
YouTube |
---|
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
হরেক রকমের আচার খেতে মজাই লাগে। তবে টাকার তুলনায় পরিমানে অনেক কম দেয় তারা। যাইহোক বৃস্টি উপেক্ষা করে মেলায় ঘুরতে গেছেন। ভাল লাগল দেখে। ঘরে বসে আপনার মাধ্যমে মেলা উপভোগ করে নিলাম।
আসলেই ভাই টাকার তুলনায় তাদের আচার দেয়ার পরিমাণ অনেক কম। তবে তাদের আচারটা অনেক মজা হয়। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।
বাণিজ্য মেলায় কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে দেখে তো খুবই ভালো লাগছে বিশেষ করে আচার দেখে তো লোভ সামলাতে পারছে না মনে হচ্ছে এখই গিয়ে খেয়ে আসি।
আচার গুলো দেখে আমি লোভ সামলাতে পারিনি তাই ঢুকেই প্রথমে আচারের দোকানে গিয়েছিলাম।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাণিজ্য মেলায় আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। কিছুদিন আগে আমি ও বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। আজকে আপনার পোস্ট দেখে সে দিনের কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে মেলার মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার এত সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
এবারের মেলা ভালোই জাঁকজমক হয়েছে। ভালোই লেগেছে ঘুরে।
ভাই বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে যাওয়ার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বেশ ভালো লাগছে দেখতে। আপনি ঠিকই বলেছেন কোথাও যাওয়ার সময় যদি বৃষ্টি থাকে সে সময় যে কতটা বিরক্তিকর লাগে তা বলে বোঝানো যাবে না। আপনি বাণিজ্যমেলার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তারমধ্যে আচারের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই লোভনীয় ছিল ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আচারগুলো খেতেও বেশ লোভনীয় ছিল ভাই। ধন্যবাদ।
https://twitter.com/mahir4221/status/1538207894545477632?t=BnySDwkzJjoD-I-6JSXsaw&s=19
ইভান সবথেকে বড় যে ব্যাপারটা খেয়াল করলাম তোমার লিখার ধরন অনেক বদলেছে। ভালো লেখক হয়ে উঠছো দিনদিনই, বেশ গুছানো কিছু খেয়াল করলাম। আর চমৎকার অনুভূতির সাথে চমৎকার বর্ণনা দিয়ে পুরো মেলার বিবরণ দিয়েছো। সবমিলিয়ে দারুন ছিল।
এগিয়ে যাও দোয়া রইল 👌
সবই সম্ভব হয়েছে আপনাদের অনুপ্রেরণার কারণে ভাইয়া। আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল। 🥰🥰🥰
বাণিজ্য মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আচার দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য।
ভাইয়া আপনি মেলায় গিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে মেলায় কাটানো মুহূর্ত টুকু। মেলায় বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র উঠেছে। এবং খাবার দাবারের ছবিগুলো বেশ লোভনীয় ছিল।আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া মেলায় কাটানোর সুন্দর মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপনার ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামত দেয়ার জন্য।