বাণিজ্য মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত -২
আ মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।
প্রথম পর্ব | বাণিজ্য মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত -১ |
---|
সেদিন বাণিজ্যমেলা ঢুকেছিলাম সন্ধ্যার দিকে, সন্ধ্যা থেকে প্রায় ১২ টা অবধি আমরা সেই মেলাই ছিলাম। এতক্ষণ মেলায় ঘোরাঘুরি করেছি যে মোবাইলের গ্যালারি সেই মেলার ছবি দিয়েই ভর্তি হয়ে রয়েছে। এতগুলো ছবি কি আর একটা পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করা সম্ভব। তাই ভেবেছি কয়েকটা পর্বের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে কুড়িগ্রামের বাণিজ্যমেলাটি তুলে ধরবো।
সেই চিন্তা ধারা থেকেই আজ আপনাদের মাঝে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমার এই পোস্টে আমি বাণিজ্য মেলার দোকান এবং বাণিজ্যমেলার কিছুটা অংশ আপনাদের ঘুরিয়ে দেখাবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
পুরো মেলা জুড়েই এরকম বাচ্চাদের আকর্ষিত করার জন্য বিভিন্ন রকমের ছোটখাটো দোকান রয়েছে। আমার কাছে ওই জিনিস গুলো ভালোই লাগে। একটু শ্যামপুর পানিতে চুবিয়ে নিয়ে ফুঁ দিলেই সুন্দর বাবুল উড়তে দেখা যায় আকাশে, বেশ মজার একটি ব্যাপার।
এটা হল মেলার প্রধান ফটক যেদিক দিয়ে আমরা মেলায় ঢুকেছিলাম। ভেতর থেকেও ফটকটিকে দেখতে বেশ দারুন লাগছে কিছুটা বিয়ে বাড়ির গেট এর মত। সব মিলিয়ে জাঁকজমক একটি অবস্থা। যেহেতু মেলা শেষের দিন গিয়েছিলাম সেহেতু জনসংখ্যা ছিল প্রচুর তাই আমার ভীষন ভালো লাগছিল।
মেলা ঠিক মাঝ বরাবর এরকম একটি পানির ফোয়ারা ছিল, কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার আমরা যেদিন মেলায় গিয়েছিলাম সেদিন পানির ফোয়ারা টি চালু করা ছিল না এটা দেখে আমি বেশ হতাশ হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এখানের ফটোগ্রাফি গুলো সব থেকে ভালো হবে কিন্তু তারা সেদিন ফোয়ারায় চালু করেনি কি আর করার এমনিতেই দু একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম। ফোয়ারা চালু করেনি তাতে কি জায়গাটি কিন্তু এমনিতেই দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে রঙ্গিন বাতিগুলোর কারণে।
এই বাণিজ্য মেলার আয়োজন করেছিল কুড়িগ্রাম পুলিশ পক্ষ থেকে। তাই মেলাটির নাম দেয়া হয়েছিল পুনাক বাণিজ্য মেলা। বাণিজ্যমেলার ভেতরে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির একটি স্টল ও ছিল। সেই স্টলে তারা নারী-পুরুষের বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করছিল। শাড়ি থেকে শুরু করে ছেলেদের টি-শার্ট মেয়েদের সালোয়ার কামিজ আরো কতকিনা ছিল।
পুরো মেলা জুড়েই যে দোকানে যাচ্ছিলাম সে দোকানেই শুধু মেয়েদের পণ্য দিয়ে ভরা। ছেলেদের জন্য কিছুই চোখে পড়ছিল না। মামা মামি সহ ঘুরছিলাম আর দোকানগুলোর ফটোগ্রাফি করছিলাম আমার নিজের কেনার মত তো কিছুই চোখে পড়ছিল না তাই কি আর করার। তবে দোকানগুলো ঘুরতে বেশ ভালই লাগছিল তাদের কাপড়ের মান গুলো মোটামুটি ভাল ছিল। এক কথায় বলতে গেলে অল্প পয়সায় ভালো জিনিস তারা বিক্রি করছিল।
মেলায় কিন্তু শুধু কাপড়-চোপড়ের দোকানে ছিলনা সাথেই ক্রোকারিজ আইটেম এর দোকান ও আমার চোখে পড়েছিল। এই ক্রোকারিজ আইটেম গুলো ভালো হবে কি না তা আমার জানা নেই, তবে তাদের দোকানে যে অফার দিয়েছিল অফারটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সেই ক্রোকারিজ আইটেম এর দোকানে পণ্য ক্রয় করলেই পণ্যের সাথে অনেক কিছুই ফ্রী পাওয়া যেত। ফ্রি পেতে তো সবারই ভালো লাগে কিন্তু কাউকে কিছু কিনতে দেখিনি সেই দোকান থেকে। এই ধরনের আইটেমগুলো মানুষ শোরুম থেকে কিনতেই বেশি পছন্দ করে।
অবশেষে একটি দোকান পেলাম যেখানে ছেলেদের কিছু অন্তত পাওয়া যায়। সেই দোকানে চশমা, ঘড়ি, বেল্ট, ওয়ালেট সহ ছেলেদের আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিস ছিল। সেখান থেকে আমি একটি চশমা এবং একটি ওয়ালেট করাই করেছিলাম। বাহিরের থেকে সেখানে জিনিসের দাম আমার কাছে কিছুটা বেশি মনে হয়েছিল তবে জিনিসগুলো সুন্দর ছিল।
ভেবেছিলাম পুরো মেলাজুড়ে ছেলেদের গায়ে দেয়ার মত কিছুই খুঁজে পাবো না তবে ঘুরতে ঘুরতেই একটা শার্ট এর দোকান চোখে পড়ে গেলো। তাদের দোকানের রংবেরঙের শার্ট ঝুলিয়ে রাখা ছিল। প্রত্যেকটা শার্ট আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। তবে একটি শর্ত আমি করিনি, মেলার বাহিরে আমি একটি দোকানের ঠিক এরকম শার্ট এর থেকেও আরো কম দামে দেখেছিলাম তাই ভাবলাম শার্ট লাগলে সেখান থেকেই ক্রয় করা যাবে।
যাইহোক বন্ধুরা আজ তাহলে এ পর্যন্তই আপনার সাথে আবারো দেখা হবে বাণিজ্য মেলায় আমার ঘোরার তৃতীয় পর্বের পোস্ট নিয়ে। সে অবধি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।
YouTube |
---|
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। উপজেলায় এরকম বাণিজ্য মেলা হলে বেশ ভালো লাগে ঘুরতে । খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনি। সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর এরকম সুন্দর একটি মুহূর্তে আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জ্বি ভাই একদম আমার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার, বাণিজ্যমেলায় ঢুকলে আর বের হতে ইচ্ছা করে না। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।
https://twitter.com/mahir4221/status/1539284207477719040?t=3wPwgOMIq5oThp1SG2jQfA&s=19
সেদিন সেই সন্ধ্যা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত আপনি বাণিজ্যমেলায় ছিলেন শুনে আমারও মনে পড়ে গেল বাণিজ্য মেলায় কাটানো মুহূর্তগুলো।আসলে বাণিজ্যমেলায় এত সুন্দর সুন্দর স্টল, এত বড় বড় স্টটল দেখতে দেখতে কখন যে সময় গড়িয়ে যায়,,বোঝাই যায়না।আপনার সাথে আমি ও বাণিজ্য মেলায় ঘোরার অনুভুতি শেয়ার করলাম♥♥
আসলেই আপু ঠিক বলেছেন একদম বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে ঘুরতে সময় যে কখন পেরিয়ে যায় একদমই বুঝা যায় না। ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি শুনে। ধন্যবাদ। ❤️
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ময়মনসিংহেও বাণিজ্য মেলা বসেছে। সেদিন ও ঘুরে আসলাম। আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে আরেকবার যেতে পারলে, হাহা। বাণিজ্য মেলার ঐতিহ্য কে দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন। একবার গেলে আর ফিরে আসতে মন চায় না। এত সুন্দরভাবে স্টল গুলো সজ্জিত। সবাইকে বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
হাহাহা দেরি না করে আজকেই চলে যান মেলায়। আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমরা যতক্ষণ মেলায় ছিলাম খুবই ভিড় ছিল। ভালোভাবে ঘুরতে পারিনি এবং ফটোগ্রাফি গুলো ভালো হবে মন মত করতে পারিনি। তোমরা যখন মেলায় ছিলে তখন দেখি ভিড় কমই ছিল। বেশ শান্তিতে ঘোরাঘুরি করেছ তোমরা।
পোষ্টের মাধ্যমে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভিড় কম ছিল তবে অন্যান্য দিনের থেকে অনেক বেশি ভিড় ছিল। তোমরা অনেক তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছো আরও কিছুক্ষণ থাকা উচিত ছিল 😁
কুড়িগ্রামের বানিজ্য মেলা আপনার ফোনের গ্যালারিতে আছে এখন। পর্ব আকারে শেয়ার করতে থাকেন । আমরা আছি দেখার জন্য। অনেক ঘুরাঘুরি করেছেন । সেই সন্ধ্যা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত। মেলায় ঘুরতে ভালই লাগে। মজা হয় অনেক বন্ধুদের সাথে ঘুরলে। যাইহোক নেক্সট পর্ব দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আসলেই ভাই এখনো অনেকগুলো ফটোগ্রাফি বাকি রয়েছে। রাইড গুলোর ফটোগ্রাফি তো এখনো শেয়ার করতেই পারলাম না। চোখ রাখুন বাকি পর্বগুলো খুব শীঘ্রই শেয়ার করব আপনাদের মাঝে।
সেদিন বাণিজ্য মেলায় আমরা সকলেই ঘোরাফেরা করতে করতে কখন যেন বারোটা বেজে গেছে বুঝতেই পারিনি। খুবই আনন্দময় সময় কাটানোর জন্য হয়তো সময় কখন পার হয়ে যাচ্ছে তা বুঝে উঠতে পারিনি। আজ তোমার পোস্ট দেখে সেই আনন্দময় সময়টুকুর কথা খুব মনে পড়ে যাচ্ছে। এত সুন্দর বর্ণনা করে বাণিজ্য মেলায় কাটানো সময়টুকু তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই অনেক বেশি আনন্দ পেয়েছিলাম তাই হতে সময় কিভাবে পেরিয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি মামা।
আপনার বাচ্চাদের জিনিস ভালো লাগারেই কথা😜😜।আহারে পানির ফুয়ারা টা চালু ছিলাো না।যাই হোক ছবিগুলো ভালো ছিলো।মেয়েদের জিনিস পএ ও ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
হিহিহি সেই বলে আমি কিন্তু বাচ্চা না 😝
শেষদিন জন্য হয়তো পানির ফোয়ারা টা বন্ধ করে রেখেছিল তবুও ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ☺️