💐 আমার বাংলা ব্লগ // ঈদের দিন গ্রামের মেলার কিছু আনন্দঘন ফটোগ্রাফি 💐

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আস্সালামু আলাইকুম /আদাব 🤝


আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা এবং বিশ্বাস করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি ।আমি @mahfuzur888, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে আপনাদের সাথে আছি ।


Picsart_24-04-11_19-13-13-407.jpg

আজ ঈদের দিন, ঈদ মানেই আনন্দ ঈদ মানেই খুশি। ঈদের আনন্দকে আরও একটু মনমুগ্ধ করার জন্য বিকেলে আসরের নামাজ পড়ে আমার শ্বশুর বাড়ির পাশে ছোট্ট একটা মেলায় গিয়েছিলাম। মেলায় গিয়ে ভালোই আনন্দ উপভোগ করলাম। আমি আগে ভাবতেই পারিনি যে গ্রামের এই মেলাতে এত লোক এবং এত জিনিসপত্র উঠবে। এক কথায় গ্রামের মেলাতে অসম্ভব সুন্দরভাবে লোকজন আনন্দ উপভোগ করছে । তাই ভাবলাম এই আনন্দ মুহূর্তগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আর এরই ধারাবাহিকতায় আনন্দ মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ।


Picsart_24-04-11_19-34-14-074.jpg

Picsart_24-04-11_19-32-53-376.jpg

Picsart_24-04-11_19-31-17-069.jpg

Picsart_24-04-11_19-28-50-916.jpg

এই মেলাতে দুইটা নাগরদোলা এবং দুইটা দোলনা এসেছে। এখানে ছোট থেকে মাঝ বয়সী ছেলে মেয়েরা খুব আনন্দে মেতে উঠেছে। নাগরদোলা তে ৫০ টাকা টিকেট এবং দোলনা তে ত্রিশ টাকার টিকেটে মিলছে, দশটা মাত্র ঘূর্ণণ। ওদের হই হুল্লোর এবং আনন্দ দেখে আমারও অনেক ভালো লাগলো।


Picsart_24-04-11_18-50-03-680.jpg

Picsart_24-04-11_18-44-20-164.jpg

Picsart_24-04-11_18-42-28-718.jpg

Picsart_24-04-11_18-40-39-021.jpg

Picsart_24-04-11_18-38-59-121.jpg

বেশ কিছু শরবতের দোকান ও এই মেলাতে এসেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে একটু গরমটা কম। তাই শরবতের দোকানগুলোর আশা অনূরুপ বেচাকেনা হচ্ছে না। এখানে প্রতি গ্লাস শরবত বিশ টাকা তে পাওয়া যাচ্ছে।


Picsart_24-04-11_18-58-58-208.jpg

Picsart_24-04-11_18-57-28-928.jpg

Picsart_24-04-11_18-56-20-963.jpg

Picsart_24-04-11_18-54-53-936.jpg

Picsart_24-04-11_18-53-39-207.jpg

এইখানে বেশ কয়েকটা ফুচকার দোকান ও চলে এসেছে। এই গ্রামের মেলাতে চটপটি এবং ফুচকার দোকানের উপর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিড়। শরবতের দোকানের প্রতি যেরকম মানুষের অনিহা । কিন্তু চটপটি এবং ফুচকার দোকানে শরবতের দোকানের উল্টো। চটপটি এবং ফুচকার দোকানে উপচে পড়া মানুষের ভিড়। এখানে ফুচকার প্লেট অবশ্য ৪০ টাকা। আমরা চারজন ছিলাম, আমরা চারজনে চার প্লেট ফুচকা খেয়ে নিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম ফুচকার মানটা ততটা ভালো হবে না। খাওয়ার পরে বুঝলাম ফুচকার মানটা মোটামুটি ভালো মানের।


Picsart_24-04-11_19-03-33-733.jpg

Picsart_24-04-11_19-02-10-329.jpg

Picsart_24-04-11_19-01-04-154.jpg

এখানে বেশ কিছু ছোট বাচ্চাদের মাটির খেলনা ও নিয়ে এসেছ। এ মাটির খেলনা গুলো ৫ টাকা থেকে শুরু করে ৬০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। এই খেলনার প্রতি ছোট বাচ্চাদের তেমন কোন আকর্ষণ দেখতে পেলাম না।


Picsart_24-04-11_19-24-36-196.jpg

মেলার মাঝে এক ভাই কাঠের তৈরি কিছু বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি, ট্রাক, এবং আলনা নিয়ে এসেছে। এগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগছিল ।


Picsart_24-04-11_19-21-50-737.jpg

Picsart_24-04-11_19-20-11-374.jpg

Picsart_24-04-11_19-19-13-704.jpg

খাবারের আইটেমের মাঝে রয়েছে ঝুড়ি মুড়ি কিছু পিনাট আর রয়েছে কিছু টক মিষ্টি জাতীয় আচার। এই জাতীয় খাবার আইটেমগুলো ভালো দামে এবং ভালো পরিমাণে কেনাবেচা হচ্ছে।


Picsart_24-04-11_19-35-22-303.jpg

মেলার মাঝখানে একটা ঘরের ভিতরে পুতুল নাচ ও দেখানো হচ্ছে। যারা পুতুল নাচ গুলো দেখাচ্ছেন তারা এসেছেন মোমেনশাহী থেকে। পুতুল নাচ দেখার জন্য টাকা গুনতে হচ্ছে মাত্র ৩০ টাকা ।


Picsart_24-04-11_19-06-14-527.jpg

মেলা ঘুরে ঘুরে দেখতে দেখতে এক কোনায় দেখতে পেলাম এক আংকেল কিছু আলপনা আঁকার ফর্মা নিয়ে বসে আছেন। কিছু ছোট ছোট ছেলে মেয়ে হাতে সেই আলপনা আঁকছে।


Picsart_24-04-11_19-12-09-917.jpg

অবশেষে আমার ছোট বাবুর জন্য দুটা বেলুন এবং বাসার সবার জন্য কিছু ঝুড়ি-মুড়ি নিয়ে বাসার দিকে চলে আসলাম।

আমি অনেকদিন পর গ্রামের মেলাতে গিয়েছিলাম। ঈদের দিন এই পড়ন্ত বিকেলে বেশ কিছু সময় আনন্দ উপভোগ করলাম। আর আনন্দ উপভোগের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।ঈদের দিন পড়ন্ত বিকেলের মেলার দৃশ্যগুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগছে । আশা এবং বিশ্বাস রাখি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আজকে এখানেই শেষ করলাম, আবারও অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব ইনশাআল্লাহ ।

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণফটোগ্রাফি।
মডেলএম ৬২
ক্যাপচার@mahfuzur888
অবস্থানরাজশাহী- বাংলাদেশ

19-28-53-banner-abb3.png

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন💖

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ঈদের দিন গ্রামের মেলার কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত ফটোগ্রাফি । আপনার শেয়ার করা মেলার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লেগেছে। এখন প্রায় প্রত্যেক এলাকায় ঈদের দিন মেলা বসে ভাই মেলা দেখতে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। তবে পুতুল নাচ আমি এর আগেও দেখেছি বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আপনাকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আজকে আপনি ঈদের দিন গ্রামের মেলায় কাটানোর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। গ্রামের মেলাগুলোতে অনেক সুন্দর আনন্দ ঘন পরিবেশ তৈরি হয়। নানা ধরনের দোকানপাটে ঝাঁকজমক হয়ে ওঠে। আপনি প্রতিটি ফটোগ্রাফির খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন এবং আপনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া ভালো থাকবেন।

 last year 

জি ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপনাকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। আমার পোস্টটা পড়ে সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

ঈদের দিন তো দারুণ সময় পার করছেন।মেলায় গিয়ে অসাধারণ মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সেই মুহূর্তে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

জি আজকে দারুন একটা সময় পার করেছি। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ে সুন্দর করে কমেন্ট করার জন্য ।

 last year 

প্রথমে আপনাকে জানাই ভাই, ঈদ মোবারক। ঈদের সময় ঈদগায়ের সামনে বেশ নানা রকম খেলনা এবং খাবারের দোকান উঠে‌। এসব দোকান থেকে ছোট বাচ্চারা জিনিস পত্র কেনার মাধ্যমে ঈদ আনন্দ আরো বাড়ি তুলে। বেশ সুন্দর মেলা বসেছে দেখছি। ঈদের দিন বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত করেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

 last year 

ঈদের সময় গ্রামের দিকে দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের মেলা বসে। যদিও আমার কখনো যাওয়া হয়নি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আজকে দেখে নিলাম। নাগরদোলায় উঠার দামও এখন ৫০ টাকা হয়েছে। কিন্তু এই নাগরদোলা গুলো খুবই ভয়ঙ্কর লাগে আমার কাছে। তাছাড়া মেলায় আরো কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো দেখে।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.33
JST 0.034
BTC 110840.54
ETH 4299.58
SBD 0.83