লাইফ স্টাইল :- ঈদের দ্বিতীয় দিনে প্রিয় রেস্টুরেন্টের খাবার খাওয়ার কিছু মুহূর্ত।
আস্সালামু আলাইকুম /আদাব 🤝
আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা এবং বিশ্বাস করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি ।আমি @mahfuzur888, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে আপনাদের সাথে আছি ।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। গতকাল দুপুরে আমি আমার ফ্যামিলিকে রেখে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসলাম। দুপুরের লাঞ্চ করেই চলে এসেছি। এখন রাত্রে ডিনারের পালা। ডিনার করবো ভেবে ফ্রিজ খুলে দেখি মাছ-মাংস আছে কিন্তু ভাত নেই। নতুন করে ভাত রান্না করতে হবে, কিন্তুু নিজেকে খুব খারাপ বোধ করছিলাম। রান্না করতে তখন ভালো লাগছিল না। কিন্তুু রাতে তো খেতেই হবে। তখন ভাবলাম এখন আর রান্না করবো না আমি রেস্টুরেন্টে খেয়ে আসবো। যে ভাবা সেই কাজ সাথে সাথে রেডি হয়ে রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। আমাদের সিরাজগঞ্জে এখানে একটাই ভালো রেস্টুরেন্ট আছে যেটা হচ্ছে আরমানী ইলেস্টুরেন্ট। তো আমি রিকশা করে সেই রেস্টুরেন্টে পৌঁছে গেলাম। পৌঁছে বাহির থেকে দেখতে পেলাম ঈদের জন্য রেস্টুরেন্টে লাইটিং এর ব্যবস্থা করেছে।
যাই হোক রেস্টুরেন্টে ঢোকার পর দেখতে পেলাম রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন একেবারেই খারাপ না। লাইটিং করার জন্য আরেকটু ভালো লাগছিল। তবে আমি যেটা খেয়াল করলাম সেটা হচ্ছে মানুষের সংখ্যা খুবই কম ছিল। হয়তোবা শহরের লোকজন সব গ্রামে চলে গেছে সেই জন্য লোকজনের ভিড় একটু কম ছিল। এই আরমানি রেস্টুরেন্টে মূলত থাই, চাইনিজ, এবং বাংলা খাবার পাওয়া যায়। যাইহোক আমি এক কোনার দিকে সিঙ্গেল এক টেবিলে বসলাম। যেহেতু আমি একা খাব। তাই কোনার টেবিল টাই নির্বাচন করলাম। আমি ওয়েটারকে ডাকলাম এবং মেনু কার্ড চাইলাম। মেনুকার্ড দেখে সামান্য কিছু খাবার অর্ডার করলাম। খাবার অর্ডার করে আমি ফ্রেশ হয়ে আসলাম।
ফ্রেশ হয়ে এসে কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। যেহেতু আমি একা ছিলাম সেহেতো গল্প করার মত কেউ ছিলনা। তাই ফোনটা হাতে নিয়ে ছোট বাবুর সাথে কথা বলছিলাম। কথা বলার এক ফাকে মনে হলো বাসার কারেন্টের মিটারের কোন ব্যালেন্স নেই।তাই কথা বলা শেষ করে বিকাশ এ্যপসের মাধ্যমে মিটারে টাকা লোড করলাম , প্রায় ৮৫০ টাকা। মিটারের টাকা লোড শেষ সাথে সাথে আমার অর্ডার করা খাবারগুলো চলে আসলো। এখানে আমি একটা চিকেন গ্রিল এবং দুইটা বাটার নান অর্ডার করেছিলাম। সাথে আমি বোরহানির ও অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু তাদের বোরহানি আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। সেজন্য একটা স্প্রাইট নিয়েছিলাম।
আরমানী রেস্টুরেন্টের খাবারের মান গুলো ভালোই ছিল। বাটার নানগুলো খুবই নরম এবং সুস্বাদু। আমার একার পক্ষে দুইটা বাটার নানখাওয়া একটু কষ্টসাধ্য হয়েছিল তারপরেও অপচয় করতে মন চাচ্ছিল না এজন্য একটু জোর করে খেয়েছিলাম। এখানকার সসগুলো আরো একটু বেশি টেস্টি হয়। তাই সম্পূর্ণ সস শেষ করার পরেও আবার একটু সস নিয়েছিলাম।এই সসগুলো আমার ওয়াইফ এবং আমার মেয়েরও খুব প্রিয় । যাই হোক সব কিছু মিলে খাবারের মানটা বেশ ভাল ছিল। আমি চিটাগাং এবং ঢাকাতে অনেক রেস্টুরেন্টে খেয়েছিলাম। তবে আমাদের সিরাজগঞ্জের বাটারনানের মতো অন্য কোথাও ঔরকম বাটার নান খুঁজে পাইনি। এক কথায় ওয়াও। অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত তখন কাটিয়েছিলাম। তারপর ওয়েটারকে বিল আনতে বললাম। ওয়েটার বিল নিয়ে আসলো, বিল পরিশোধ করে ওয়েটারকে টিপস দিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসলাম। বের হয়ে রিক্সা করে বাসায় চলে আসলাম এবং কিছুক্ষণ পরেই হ্যাংআউটে যোগদান করলাম। আজ তাহলে এ পর্যন্তই পরবর্তীতে আপনাদের সাথে আবার কোন পোস্ট নিয়ে কথা হবে ইনশাআল্লাহ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/mahfuzur888/status/1779107975690621271?t=TdO7ktS1n-VwT8Recpc7gQ&s=19
আরমানি রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো বেশ ভালো আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। রেস্টুরেন্টে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে আমার কাছে তো খুবই ভালো লাগে। বাটার নানের সাথে গ্রিল খেতে কিন্তু দারুণ লাগে। আপনার মেয়ে ও আপনার ওয়াইফ এই সস গুলো খেতে ভালোবাসে জেনে খুবই ভালো লাগলো। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার সুন্দর কিছু মুহূর্ত জানতে পেরে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
মুক্তা প্লাজা রেস্টুরেন্টে খাওয়ার দারুন অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন ভাইয়া। আপনার এই সুন্দর অনুভূতি করার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম। আসলে ঈদের সময় এদিকে সেদিকে ঘুরতে যাওয়ার মজা আলাদা আর তার মধ্যে কোথাও প্রিয় রেস্টুরেন্টে খেতে বসলে আরো বেশি ভালো লাগে।
ঈদ আসলে প্রতিটা মানুষের অন্তরে ভালো লাগা কাজ করে। ঈদের দ্বিতীয় দিনে প্রিয় রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন। খাবার খাওয়ার বেশ সুন্দর মুহূর্ত তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। খাবারগুলি বেশি লোভনীয় ছিল। অনেকদিন পর আপনাকে ফিরে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগতেছে।
আসলে ঈদ আমাদের প্রত্যেকের জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে। আর আপনি ঈদের দ্বিতীয় দিনে আপনার প্রিয় রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খাওয়ার মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন। আসলে এই মুহূর্তটা অনেক আনন্দের ছিল। যাই হোক আপনার দিনটি অনেক আনন্দের সাথে কেটেছে, কারণ প্রিয় রেস্টুরেন্টে খাবারের মানগুলো অনেক ভালো থাকে।
ঈদের দ্বিতীয় দিনে আপনার প্রিয় রেস্টুরেন্টে এসে অনেক মজার খাবার খেয়েছেন। আসলে আপনার এই খাবার খাওয়ার দৃশ্যটি দেখতে খুবই ভালো লাগলো। প্রিয় রেস্টুরেন্টে প্রিয় খাবারের রেসিপি খাবার মুহূর্তটা অসাধারণ, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঈদ মানে আনন্দ আর ঈদের দিন আমরা যেমন খুব আনন্দ উদযাপন করে থাকি ঈদের পরদিন আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে থাকি৷ আজকে আপনি সেরকম একটি স্থানে গিয়ে খাবার খাওয়ার কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ একইসাথে এখানে আপনি অনেক কিছুই খেয়েছেন এবং আমার তা আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷