ফটোগ্রাফি //রাসেল পার্কে ভ্রমণের সৌন্দর্যময় কিছু ফটোগ্রাফি
আস্সালামু আলাইকুম /আদাব 🤝
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমাদের সিরাজগঞ্জের নদীর পাড়ে অনেক মানুষের ভিড় ছিল। আর এই নদীর পাড়ে সৌন্দর্য দেখার জন্যই আমি গিয়েছিলাম বিকেল বেলা। নদীর পাড়ে সৌন্দর্য দেখার পরে আমি রাসেল পার্কের ভিতরে ঢুকেছিলাম। আর রাসেলপার্কে ঢুকে খুবই ভালো লেগেছে। কারণে রাসেলপার্কে শিশুদের জন্য অনেক সুন্দর ভাবে এই পশু পাখির ভাস্কর্য তৈরি করেছে। আর পার্কের ভিতরে অনেক ধরনের ভাস্কর্য দেখতে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এ শিশু পার্ক শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কারণ এই পার্কের ভিতরে অনেক পশু পাখির ভাস্কর্য রয়েছে। আরও শিশুরা এখানে আসে এই ভাস্কর্যগুলো দেখে পশু পাখি ভালোভাবে চিনতে পারে। তাই আজকে আমি এই পশু, পাখির ভাস্কর্য গুলো দেখে অনেক আনন্দিত হয়েছি। তাই সেই মুহূর্তের ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আসলাম।
পার্কে প্রবেশ করার পরেই অপরূপ সুন্দরময় একটি পরীর ভাস্কর্য রয়েছে, চতুর্দিকে পানির ঝর্ণা, আর এই পরি দৃশ্যটি দেখে সবাই যেন মুগ্ধ হয়েছে,তাই আমি এই পরীর দৃশ্যটি দেখে অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছি। সেই মুহূর্তটি খুবই ভালো লেগেছে।
একটি ঈগল পাখির ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। আসলেই ঈগল পাখি দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। শিশুরা এখানে আসলে এই ঈগল পাখির ভাস্কর্য দেখে তারা ঈগল পাখির চিনতে পারবে। আর এই পাখি সম্পর্কে তখন তাদের অভিভাবকরা অনেক কিছু তাদের ধারণা দিতে পারবে।
দুটি ময়ূরের ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। আসলে এই ময়ূরের দৃশ্য দেখতে পেয়ে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সত্যিই ময়ূরের দুটি এত সুন্দর ভাবে ছিল, যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছে এবং আকর্ষণীয় ছিল। বিশেষ করে শিশুরা এই ময়ূরের ভাস্কর্য দেখে অনেক আনন্দিত হয়।
তারপর একটি হাতির বাচ্চার ভাস্কর্য দেখতে পেলাম, আর শিশুরা এই হাতির বাচ্চার ভাস্কর্য দেখে তারা খুবই খুশি হয়েছে। কিছু কিছু শিশুকে দেখতে পেলাম তারা এই হাতির ভাস্কর্যের উপরে বসে উঠে আনন্দের মুহূর্তের সাথে ফটোগ্রাফিও করছে।
তারপরে আমি অপরূপ সৌন্দর্যময় একটি কাঠঠোকরা পাখির ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। এই পাখিটি দেখে শিশুরা অনেক ভালো ধারণা পাবে, কারণ তারা এ পাখি সম্পর্কে জানতে পারবে এবং পাখির দৃশ্য দেখে অনেক আনন্দিত হবে।
অপরূপ সৌন্দর্যময় একটি জিরাফের ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। আসলে এই জিরাফটা দেখতে পেয়ে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে এবং সেখানে দেখতে পেলাম অনেক ছোট ছোট বাচ্চারা এই জিরাফের উপর উঠে ফটোগ্রাফিও করছে। আসলে শিশুদের জন্য এই পার্কটি খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়ে রেখেছে।
পার্কের ভিতরে আমি হরিণের একটি ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। আসলে এই হরিণটি এত সুন্দর ভাবে তারা তৈরি করেছে। হরিণের মাথার সিং তারা খুবই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। বাচ্চারা আসলেই এখানে হরিণ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং হরিণের ভাস্কর্য দেখে তারা এই পশুর সম্পর্কে অনেক ধারণা পাবে।
তারপরে খুবই সুন্দরভাবে একটি গাছের ডাল তারা তৈরি করেছে এবং এই গাছের ডালে অনেকগুলো পাখি বসে রয়েছে। এই দৃশ্যটি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো, ছোট ছোট পাখির ভাস্কর্য ছিল অসাধারণ।
তারপরে আমি একটি হনুমানের ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। এই হনুমানের ভাস্কর্যটি দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর হনুমানটি একটি কাঁঠাল ফল নিয়ে বসে রয়েছে। এই দৃশ্যটি খুবই সুন্দর ভাবে তারা ফুটিয়ে তুলেছে।
সর্বশেষ আমি আপনাদের সাথে একটি ভাস্কর্য শেয়ার করলাম। এটি হল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আর এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভাস্কর্যটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। মুক্তি যোদ্ধাযেন বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সত্যি এই দৃশ্যটি দেখে মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে পড়ে গেল। আর এই ভাস্কর্যটি আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা দিয়ে থাকবে।
আমার প্রত্যেকটা ছবি তোলার লোকেশন এবং ডিভাইসের নামঃ
স্যামসাং গ্যালাক্সি এম ৬২
আজকে আমি আপনাদের সাথে সিরাজগঞ্জের রাসেল পার্কের অপরূপ সৌন্দর্যময় কিছু মুহূর্ত শেয়ার করলাম। আসলে এই শিশু পার্কের ভিতরে শিশুদের জন্য অনেক ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। খেলাধুলার জন্য বিশেষ করে ভাস্কর্য গুলো তৈরি করে রেখেছে শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য। সেই ভাস্কর্যের কিছু ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ফটোগ্রাফি। |
মডেল | এম ৬২ |
ক্যাপচার | @mahfuzur888 |
অবস্থান | রাজশাহী- বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃমাহফুজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক। সর্বদাই নিজেকে দেশের মঙ্গল কামনায় ব্যস্ত রাখি। আমার জন্মভূমিকে আমি মায়ের মতো ভালোবাসি।আমি ভ্রমণ করতে খুবি ভালোবাসি।তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে আমার ভালো লাগে,আর রান্না করা আমার নেশা, এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমি আমার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চাই। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়,ধন্যবাদ সবাইকে।🌹💖🌹।
অনেক সুন্দর একটি পার্ক ভ্রমণ করেছেন ভাইয়া। আপনার পার্ক ভ্রমণ এই পোস্ট দেখে আমার ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বর্ণনা শেয়ার করেছেন। আর এরই মধ্য দিয়ে কিন্তু নতুন একটি পার্ক সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম। সুন্দরী পার্ক ভ্রমণ বিষয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাই আমি চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে ভাস্কর্য গুলো উপস্থাপন করার জন্য। আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার এই ফটোগ্রাফি পোষ্টের মাধ্যমে রাসেল পার্কের সৌন্দর্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছি।এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন যা আসলেই দেখার মত।এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ওয়াও ভাই রাসেল পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে বেশ দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। শিশুদের জন্য এই পার্কটা দারুন ভাবে সাজিয়েছে দেখছি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জি ভাই ভাস্কর্যগুলো দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর ছিল। আর আমি চেষ্টা করেছি প্রত্যেকটার ভাস্কর্যের ফটোগ্রাফি ফুটিয়ে তোলার জন্য। আপনার এত সুন্দর কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
রাসেল পার্কের সৌন্দর্য দেখে তো আমি জাস্ট মুগ্ধ হলাম। আপনি অনেক সুন্দর কিছু ভাস্কর্যের ফটোগ্রাফি করেছেন। যেগুলো অনেক সুন্দর ছিল। বাচ্চারা দেখছি ভাস্কর্যের উপরে উঠতে পেরে অনেক বেশি খুশি। আসলে ছোট ছোট বাচ্চারা এইসব কিছু অনেক বেশি পছন্দ করে। বিশেষ করে এগুলোর উপরে উঠে বসতে পারলে বেশি খুশি হয় । আমি তো মনে করি প্রত্যেকটা জায়গায় এরকম পার্ক গুলো হওয়া প্রয়োজন। কারণ বাচ্চারা মন খুলে একটু সময় কাটাতে পারবে এগুলোতে। আমার কাছে সব মিলিয়ে আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে।
জ্বী আপু আপনি ঠিক বলেছেন, প্রত্যেকটা জায়গায় এরকম পার্ক হলে শিশুদের মেধা বিকাশ আরো সুন্দরভাবে করা যেত।সব শিশুরাই প্রত্যেকটি প্রাণী সম্পর্কে জানতে পারত এবং বুঝতে পারত। আপনার এত সুন্দর কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
রাসেল পার্কে ভ্রমণের সৌন্দর্যময় কিছু ফটোগ্রাফিটিগুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আপনার করা ফটোগ্রাফিগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
জি ভাই আমাকে দোয়া করবেন আমি যেন আরো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি। আপনার এত সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পহেলা বৈশাখে উপলক্ষে রাসেল পার্কে ঘুরতে গিয়ে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। প্রতিটা ফটোগ্রাফি সুস্পষ্ট ও সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভাস্কর্যটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। জিরাফ ও হাতির ভাস্কর্যের উপর বাচ্চারা বসে যে খেলা খেলছে এটা দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। ময়ূরের ভাস্কর্যটাওঅসাধারণ সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু ভাস্কর্যগুলো দেখতে আসলে অনেক সুন্দর লাগছিল। এবং অনেক ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ওগুলোতে উঠছিল এবং আনন্দ করছিল। আপনার এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
রাসেল পার্কের অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ময়ূরের ভাস্কর্যের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আরো ভালো ভালো ফটোগ্রাফি আপনাদেরকে উপহার দিতে পারি। আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
রাসেল পার্কের ভেতরের সৌন্দর্য কিন্তু দারুন লেগেছে এক কথায়। ছোট বাচ্চাদের জন্য পার্ক গুলো তৈরি করা প্রয়োজন। কারণ পার্কে গেলে বাচ্চারা অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারে। আর খেলাধুলা করলে বাচ্চাদের মস্তিষ্ক সহ মন মাইন্ড সবকিছুই ভালো থাকে। অনেকগুলো ভাস্কর্য তৈরি করেছে কিন্তু রাসেল পার্কের ভেতরে। ভাস্কর্য গুলো কিন্তু অনেক সুন্দর। আপনি বেশ কয়েকটা ভাস্কর্যের সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করলেন আজ। বাচ্চারা এই ভাস্কর্য গুলো দেখলে এগুলোর উপর ওঠার বায়না ধরে। আর এগুলোর সম্পর্কে অনেক ধারণা লাভ করে। যেমন পশু পাখিগুলোর নাম জানতে পারে। সুন্দর লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো।
আপনি রাসেল পার্কে ভ্রমণ করে খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে পার্কে গেলে এমনিতে বেশি ভালো লাগে। তবে এই পার্কে ছোট বাচ্চাদের জন্য দারুন কিছু করেছে। তবে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। সত্যি বলতে এক একটা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
জি আপু আপনি ঠিক বলেছেন এই পার্কে ছোট বাচ্চাদের শিক্ষা নিয় অনেক কিছু আছে। আমাকে দোয়া করবেন আমি যেন আরো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে নিয়ে আসতে পারি। আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।