প্রতিবেশী রাতারাতি বড়লোক

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago
" আজ রবিবার - ১৯ শে ভাদ্র - ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ০৩, সেপ্টেম্বর - ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ "

মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

pexels-feyza-gönülal-18085376.jpg

source

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আর আজকের পোস্ট হচ্ছে আমাদের এক প্রতিবেশীর রাতারাতি বড়লোক হওয়ার গল্পকে কেন্দ্র করে। কার ভাগ্যে কি আছে সে তো এক উপর ওয়ালাই জানে। কেউ সারা জীবন পরিশ্রম করেও বিপুল অর্থের মালিক হতে পারে না। আবার কেউ পরিশ্রম না করেই হঠাৎ করে বিপুল অর্থের মালিক হয়ে যায়। এসবই হচ্ছে মহান সৃষ্টিকর্তার লীলাখেলা। কেননা মহান সৃষ্টিকর্তা চাইলে কাউকে এক নিমিষেই ধনী থেকে গরিব করে ফেলতে পারে, আবার চাইলেই একদম নিতান্ত গরিব থেকে ধনী ও বানিয়ে ফেলতে পারে।

তেমনি এক সৌভাগ্যের চাবিকাঠি আমার এক প্রতিবেশীর কপালে জুটে ছিল। তবে তার এই বড়লোক হওয়ার উপায়টি ছিল একদম অসৎ পন্থা। আর সে বিষয়ে কিছু কথা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। অনেক অনেক দিন আগে, এই হবে হয়তো আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে তখন আমার এই প্রতিবেশী আমাদের এলাকার পার্শ্ববর্তী বাজারে ছোট্ট একটি মুদি দোকান করে তার জীবন-যাপন চালাত। তখন সেই মুদি দোকানের আয় থেকে তার সংসারটি ঠিকঠাক ভাবে চলছিল না। তাই সে বেশ কয়েক বছর মুদি দোকান পড়িচালনা করার পর যখন ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তখন সে মুদি দোকান ছেড়ে দিয়ে, অনেকদিন মানুষের দোকানে দোকানে কর্মচারী হিসেবেও কাজ করেছিল।

তার তেমন কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকার কারণে সে কোন চাকরিও করতে পারছিল না। এভাবে আবার বেশ কয়েক বছর কেটে যাওয়ার পর সে একজন ঠিকাদারি ব্যবসায়ীর সাথে পরিচিত হয়ে যায়। আর সেই ঠিকাদারের সান্নিধ্যে থেকেই তার বোধ হয় ভাগ্যের পরিবর্তন হতে শুরু হয়েছিল। এভাবেও তিনি বেশ কয়েক বছর সেই ঠিকাদারের সাথে থেকে কাজকর্ম চালিয়ে আসছিলেন। একসময় সেই ঠিকাদার তার ঠিকাদারি ব্যবসার সাব কন্ট্রাক্টার হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন। আর এই ঠিকাদারি ব্যবসার যত টাকা পয়সা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করার প্রয়োজন হতো, সব আমার প্রতিবেশী সেই দায়িত্বগুলো পালন করতো।

তো একদিন সেই ঠিকাদারি ব্যবসায়ী সকাল সকাল ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার জন্য আমার সেই প্রতিবেশীকে ডেকেছিল, এবং তাকে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা দিতে বলেছিল। টাকার পরিমান সঠিক আমরা জানি না, তবে লোকের মুখে শুনেছি ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা হবে। যখন আমার এই প্রতিবেশী ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার জন্য রওনা হয়েছিল, ঠিক সেই সময়ে ঠিকাদারি ব্যবসায়ী কুড়িগ্রাম শহর থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। আর কুড়িগ্রাম শহর থেকে দুই কিলোমিটার পথ অতিক্রম না করতেই সেই ঠিকাদারি ব্যবসায়ী রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়।

আর এ কথা শুনে আমার সেই প্রতিবেশী ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়েই বাড়ি চলে এসেছিল। কারণ যখন এই ব্যবসায়ী আমার প্রতিবেশীকে টাকা ব্যাংকে জমা দিতে দিয়েছিল, সেই মুহূর্তে তারা দুজন ছাড়া আর কেউ ছিল না। আর সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আমার প্রতিবেশী তার ঠিকাদারি ব্যবসায়ীকে ঠকিয়ে এখন রাতারাতি বড়লোক হয়ে গেছে। আমানতের খেয়ানত করে সে যে এত দ্রুত কোটিপতি হয়ে যাবে তা হয়তো আমাদের এলাকার কেউ কখনো চিন্তাও করতে পারেনি।

pexels-nadin-17365088.jpg

source

বর্তমানে আমার সেই প্রতিবেশী আমার বাড়ির পাশেই তিনতলা একটি ফ্ল্যাট তৈরি করেছে। তার বাড়ির সামন দিক দিয়ে যেই যাক না কেন একবার হলেও বাড়িটির দিকে দেখে এবং তার এই ঘটনাটি বলে তাকে ধিক্কার জানায়। কেননা ঐ ঠিকাদারি ব্যবসায়ীর তিনজন ছেলে সন্তান রয়েছে অথচ তার বাবার টাকা লুটপাট করে নিয়ে সেই ছেলেদেরকে হক থেকে বঞ্চিত করেছে। যদিও বা সে এখন পরের ধনে বড়লোক হয়ে গেছে তবুও সে আমাদের এলাকায় কারো কাছে সম্মানি লোক হতে পারেনি।

কেননা মান সম্মান এমন একটা জিনিস যা কখনো টাকা দিয়ে কেনা যায় না। কেননা একজন সম্মানী ব্যক্তি তার নিজের যোগ্যতা, তার মহানুভবতা, তার আদর্শ, তার ন্যায় নীতি পরায়ণতা সবকিছু মিলিয়ে সম্মান অর্জন করে থাকে। যার বিন্দুমাত্র আমার সেই প্রতিবেশীর নেই। যাক তার ভাগ্যে ছিল তাই হয়তো আজ সে আমানতের খেয়ানত করে তিন তালা ফ্ল্যাটে থাকার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। এই ছিল আমার আজকের বাস্তব গল্প, যা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।



আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkPKDYqZPTyz3HQnPBAZYA84k8k89ixkhuUsFjZkgWkC1gjU36M1oU8J7FbJUoPMtjB5EHLD1usXZox8d6boJGJdTa7jANjx37k.png
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

3q52Dkr5nBe3kDiHrk4F3qdzX6E5VuVcCcF7TDQDco37AUsMDxK7aJ1uasvrAaBSP6D1NgNuBSX2m.gif

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeSsa63mzHQexuvWRDgxAQmHZjMKhFaYGe2ubQmiC33SnsVy3TGA7BbZJiqfXWxLCKhiShcGVU.png

Picsart_23-03-04_04-00-09-256.png

Sort:  
 11 months ago 

আমাদের আশেপাশের এরকম অনেক মানুষ রয়েছে যারা রাতারাতি বড়লোক হয়ে যায়, কিন্তু নিজেদের সফলতায় আবার কেউ রয়েছে অন্যকে ঠকিয়ে। লোকটা কিন্তু আপনার প্রতিবেশীকে সাহায্য করতে চেয়েছিল। লোকটা মারা যাওয়ার পরে এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আপনার প্রতিবেশী টাকাগুলো নিজের করে নিয়েছে। সুন্দর করে লেখার কারণে বুঝতে সুবিধা হয়েছে। দারুন ছিল সম্পূর্ণটা।

আপু, আমার প্রতিবেশী অন্যের টাকা আত্মসাৎ করে বড়লোক হয়েছে ঠিকই, তবে সে কারো কাছে মান-সম্মান পায় না। সকলেই তাকে ঠকবাজ বলেই জানে। যাই হোক আপু, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 11 months ago 

আসলে ভাই মানুষ মানুষকে ঠকিয়ে খুব সহজে বড়লোক হতে পারে। কিন্তু এই বড়লোক কি সত্যিকারের সে বড়লোক? ঠিকাদার ব্যক্তিটা মারা গেছে কিন্তু তারা কি করলো, তারা তো মৃত ব্যক্তির সাথে প্রতারণা করল। বর্তমান যুগে অনেক মানুষ রয়েছে যারা অন্য মানুষকে ঠকে নিজে বড়লোক হয়েছে। এর মধ্যে আপনার কাছ থেকে একজনের গল্প শুনতে পারলাম।

Posted using SteemPro Mobile

ভাই আমার প্রতিবেশী কিভাবে বড়লোক হয়েছে এই ঘটনা আমরা জানি। তবে যারা জানে না তাদের জন্য আমার এই প্রতিবেশী বড়লোক তো বটে। তবে মানুষকে ঠকিয়ে তার এই বড়লোকি কতদিন থাকবে সেটাই হচ্ছে বড় কথা। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

 11 months ago 

অসৎ লোক কখনো সুখী হতে পারে না। সে আমানতের খিয়ানত করছে এবং এর শাস্তি সে পাবে, আজ নয়তো কাল। সে সামাজিকভাবে কখনো সম্মান পাবে না, মানুষ তাকে ধিক্কার দেবে।

ভাই এখনও সে সামাজিকভাবে কোন মান সম্মানই পাচ্ছে না। শুধুমাত্র টাকার জোরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে মানুষ ঠকানোর কারণে সে ইহ জীবনে কোন শাস্তি না পেলেও পরকালে অবশ্যই পেতে হবে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

 11 months ago 

যার আন্ডারে কাজ করত ও তার মৃত্যুর খবরে সে ভেঙে পড়বে তা না করে তাৎক্ষণিক তার মাথায় এমন একটি দুই নাম্বারি বুদ্ধি চলে এসেছে অন্যের টাকা মেরে বড় লোক ঠিকই হয়েছে সে কি মানসিক শান্তি আদৌ পায়। এসব লোকজনের অবশ্য অনুশোচনা বোধ বলে কিছু থাকে না যাইহোক এর বিচার একসময় না একসময় হবেই।

আপু, আমার তো মনে হয় আমার প্রতিবেশী আগে থেকে প্ল্যান করেছিল কোন একদিন ওই ঠিকাদারী ব্যবসায়ীর টাকা আত্মসাৎ করবে। তা না হলে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর কথা শুনতেই তার মাথায় এই বুদ্ধি এলো কিভাবে। যাইহোক আপু তার কর্মের ফল সে একদিন নিশ্চিত পাবে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 11 months ago 

আসলে অন্যের ধন সম্পদ লুট করে নিজে বড়লোক হওয়া এটা কিন্তু অনেক অন্যায় ব্যাপার। এই লোকটা কিন্তু ওই লোকটাকে ঠকিয়েছে, যদিও তিনি মারা গিয়েছে। তবে এই টাকাগুলো পাওয়ার কথা ছিল ওই লোকটির ছেলেরা। লোকটা তাহলে একটা বাড়িও তৈরি করেছে। আপনার সম্পূর্ণ পোস্টটা পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এটা বাস্তবিক হওয়ার কারণে একটু বেশি ভালো লাগলো।

অন্যকে ঠকিয়ে সে কতটা বড়লোক হয়েছে তা হয়তো আমরা অনুমান করতে পারছি। তবে এই অন্যায়ের সাজা সে অবশ্যই ইহা জগতে না পেলেও পরকালে পাবে।

 11 months ago 

ভাইয়া আপনার প্রতিবেশি অন্যের হক মেরে দিয়ে আজ তিন তলা বাড়িতে ঘুমায়। তার সেই অর্থ একসময় থাকবে না। কারন পরের অর্থ মেরে বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না। লোকটি ইচ্ছা করলে অল্প অল্প করে ঠিকদারির সন্তানকে টাকা দিয়ে সেই টাকা পরিশোধ করতে পারে। ধন্যবাদ।

ভাই আমার প্রতিবেশী সেই ঠিকাদারী ব্যবসায়ীর ছেলেদের সাথে একদম সম্পর্ক ত্যাগ করে চলে এসেছে। আর সেই আত্মসাত করা টাকা কখনোই ফেরত দেবে না মনে হচ্ছে। বরং কেউ তাকে এসব কথা বললে সে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। যাই হোক ভাই, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 11 months ago 

এটাকে বলে রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাওয়া। আসলে এভাবে ভাগ্যের চাকা খুলে যায়। যদিও এটা সম্পূর্ণ অসৎ উপায় একটি। টাকাগুলো তার পরিবারকে ফেরত দিতে পারতেন। কারণ একজন লোক মারা গেল কিন্তু সেই মৃত লোকের হক তারা রেখে দিলেন। অথচ তার বউ বাচ্চাদেরকে টাকাগুলো ফেরত দিতে পারতো। এভাবে অসৎ পথে মানুষ বড়লোক হতে পারে ঠিক আছে। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে কখনো সুখ খুঁজে পাওয়া যায় না। এক সময় অসৎ উপায়ে অর্জন করা টাকার হিসাব দিতে হবে।

আপু অন্যের টাকা আত্মসাৎ করে যদিও আমার প্রতিবেশী সুখে শান্তিতে থাকতে পারে, তথাপি সে কখনো মহান সৃষ্টি কর্তার কাছে জবাবদিহিতা করতে পারবেনা। পরকালে তার জন্য শাস্তি পাওনা থাকলো।

 11 months ago 

আসলে ভাইয়া এটাকে ভাগ্যের চাকা খোলা বলে কি না আমি জানি না। তবে মানুষের টাকা আত্মাসাৎ করে খাওয়ার চেয়ে না খেয়ে থাকা অনেক ভালো। আসলে আল্লাহ সব কিছু মাপ করেন কিন্তু কখনো আমানতের খিয়ানতকারীকে মাপ করেন না। হয়তো সে এখন অনেক বড়লোক। তবে তার পতন অতি তারাতাড়ি হবে নিশ্চয়। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপু আমার প্রতিবেশী আমানতের খেয়ানত করার কারণে এখন সে মানুষের কাছে কোন মান সম্মান পাচ্ছে না। আর পরকালে তো মহান সৃষ্টিকর্তার বিচার রয়েছে। যাইহোক আপু, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59824.84
ETH 2666.86
USDT 1.00
SBD 2.48