ভাগিনার জন্মদিনে আমার সারপ্রাইজ || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এইতো কিছুদিন আগে আমার ভাগিনার জন্মদিন ছিল। আপনারা সবাই তাকে জানেন। জন্মদিনের সারপ্রাইজ দিব বলে তাকে আগে থেকে কিছু বলিনি। সে মনে মনে খুবই ভেবেছিল আমরা তাকে রাত ১২ টা তেই শুভেচ্ছা জানাবো। এরকম বহু বার হয়েছে যে তাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য তার বাড়ির সামনে গিয়ে রাত বারোটা বাজার অপেক্ষা করতাম। আর যেই রাত বারোটা বাজ তো, তখনই তাকে আমরা শুভেচ্ছা জানাতাম। কিন্তু এবার তাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য ভিন্ন রকমের চিন্তা ভাবনা মাথায় এলো। আর তাই সারা দিনে তাকে একবারও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই নি। এবং এমন ভাবে আমরা সকলেই চলাফেরা করছিলাম যাতে করে সে বুঝতে পারে তার জন্মদিনের কথা আমরা ভুলেই গেছি। যেহেতু রমজান মাসে জন্মদিন ছিল সেহেতু আমরা খুব বেশি আয়োজন করিনি। শুধুমাত্র কেক কেটে তার জন্মদিন উদযাপন করেছিলাম।
আমি যে ভাগিনার জন্মদিনের কথা উল্লেখ করছি, সেও আমার বাংলা ব্লগেরই একজন সদস্য। আর সে হচ্ছে @mahir4221 , মূলত তাকে এই শুভেচ্ছা জানানোর জন্যই আমার এই আয়োজন ছিল।
আমার ভাগিনাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রথমে আমি চলে গেলাম ফুলের দোকানে। আমাদের এখানে হাতেগোনা কয়েকটি দোকানেই ফুল বিক্রি হয়ে থাকে। রমজান মাস বিধায় আমরা ইফতারের পরে ফুলের দোকানে উপস্থিত হয়েছিলাম। পৌঁছেই বাইরে থেকে ফুলের দোকানের ছবি তুলে নিলাম, সাথে তুলে নিলাম আমার ফুলের মত মেয়ে লামিয়া ইসলাম (আদিলা) এর একটি ছবি।
ফুলের দোকানে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন রকমের ফুলগুলোকে বারংবার দেখছিলাম আর ভাবছিলাম। মহান আল্লাহতালা ফুলগুলোকে এতটাই সৌন্দর্যময় করে সৃষ্টি করেছেন যা দেখলেই ভাল লেগে যায়। ফুল এতটাই সুন্দর যা থেকে চোখ সরানো বড়ই দায় হয়ে পড়ে। আর এই সুন্দর সুন্দর ফুলের পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। তাই দোকানের ভিতরে ঢুকেই আরও কয়েকটি ফুলের ছবি তুলে নিলাম স্মৃতি হিসেবে আমার মুঠোফোনে। এবং ভাগ্নেকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য একটি ফুলের তোড়া কিনে নেই।
ফুলের তোড়া কেনার পর আমরা সোজা চলে যাই টেস্টি স্ন্যাকস এন্ড বেকারী। এই দোকানটিতে মোটামুটি ভালো মানের জন্মদিনের কেক পাওয়া যায়। এবং আমাদের শহরের উন্নত মানের একটি ভালো দোকানও বটে।
দোকানের ভিতরে প্রবেশ করার পর আমরা বেশ কিছু জন্মদিনের কেক ডিসপ্লে আকারে দেখতে পাই। ওইখান থেকেই আমাদের অর্ডারকৃত কেকটি বের করে নিয়ে আসেন। যেই কথা সেই কাজ, জাহাঙ্গীর ভাই আমাদের অর্ডারকৃত কেকটি বের করে আমাদের সামনে নিয়ে আসেন। কিন্তু আমার মেয়ে কেকটি দেখে একটু বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেল। সে আমাকে বারবার কেকটির সৌন্দর্যের কথা মনে করিয়ে দিতে লাগল। এবং বলছিল কেকটিতে আরো একটু ডিজাইন একে দিলে কেকটিকে আরো আকর্ষণীয় দেখাবে। আমার মেয়ের কথা অনুযায়ী কেকটিকে আবারও নতুন করে সাজিয়ে দিলো জাহাঙ্গীর ভাই।
তারপর আমরা বাসায় পৌছে দেখলাম আমার ভাগিনা আমারই একটি রুমে মন খারাপ করে বসে আছে। সে মনে করেছিল,আমরা বোধহয় এবার ওর জন্মদিনের কথা ভুলেই গেছি। কিন্তু পরক্ষণেই যখন ফুলের তোড়া টি দিয়ে থাকে শুভেচ্ছা জানানো হলো, তখন সে খুবই আনন্দ পেয়েছিল আর সেই আনন্দটুকু তার চোখে মুখে প্রকাশ পাচ্ছিল। এবার কেকটি কাটার পালা আর কেক কাটতে সাহায্য করল আমার ছেলে আর্সালান ইসলাম আয়ান। আবারো আমি স্মৃতি হিসেবে বেশ কয়েকটি ছবি ধারণ করে নিলাম আমার মুঠোফোনে।
সবশেষে আমাদের কিনে নিয়ে আসা ফুলের তোড়াটি হাতে নিয়ে আমি ও আমার মেয়ে দুটি ছবি তুলে নেই আমার মুঠোফোনে স্মৃতি হিসেবে।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আপনাদের মামা ভাগ্নের জন্মদিনের পালন করার সারপ্রাইজিং মুহূর্তটা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। আসলে কি প্রত্যেকটা জিনিসের ই কিছু ব্যতিক্রম থাকা দরকার সব সময় এক রকম সব কেমন যেন একটু একঘেয়েমি ভাব চলে আসে। তাই আপনি আপনার ভাগ্নিকে ব্যতিক্রমভাবে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন এটা খুবই ব্যতিক্রম ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া ব্যতিক্রমভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলাম। আমার পোস্টে এসে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি খুবই সারপ্রাইজড হয়েছিলাম। আসলেই আমি ভেবেছিলাম সবাই আমার জন্মদিনের কথা ভুলে গিয়েছে কিন্তু শেষ মুহূর্তে গিয়ে যে এত সুন্দর একটি সারপ্রাইজ পাবো এটা ভেবেও দেখিনি। সত্যি খুবই ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ মামা।
তোমার ভালো লাগার জন্যই আমরা সেদিন জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই নি সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য। আমার পোস্টে এসে মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/6) Get profit votes with @tipU :)
কথায় আছে মামা ভাগ্নে যেখানে আপদ নাই সেখানে। আর মামা হয়ে ভাগ্নের জন্মদিনে এত সুন্দর গিফট আপনি প্রদান করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। অবশ্য ফুলের দোকান খুবই কম পাওয়া যায়, কারণ ফুল দ্রুত নষ্ট হয় বলে ফুলের দোকান যেকেউ দিতে চায় না। আর কেকটা ছিল দারুণ। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পোষ্ট আপনি শেয়ার করেছেন আর বড় আনন্দময় মুহূর্ত কাটিয়েছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর পোস্ট দেখে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া, মামা ভাগ্নে যেখানে থাকে সেখানে কখনো আপদ আসতে পারে না। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ভাগিনা জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই শুভ জন্মদিন।
জন্মদিনে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। এত অসাধারণ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমার পোস্ট টি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Please check my new project, STEEM.NFT. Thank you!
ঐ দিন মাহির পোস্ট গুলো ও দেখেছি, আসলে এমন সারপ্রাইজ পেতে বেশ ভালো লাগে।বেশ ভালো ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার ভাগিনার জন্য অনেক দোয়া রইলো। শুভেচ্ছা জানাবেন আমার পক্ষ থেকে। আর বিয়ে দিয়ে দেন। বয়স হয়ে গেছে কিন্তু। মাহির ভাই শরমে বলতে পারেনা৷ হাহাহা।
ভাইয়া, পাত্রী দেখার দায়িত্বটা আপনি নিয়ে নেন। তবেই না বিয়ে দিতে পারব। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এইরকম সারপ্রাইজ দিতে বেশ ভালই লাগে😁।
যাইহোক মাহির ভাইকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।মহান সৃষ্টিকর্তা তাকে দীর্ঘায়ু করুন এই কামনা করি।তবে আপনারা মামা ভাগ্নে হন এই ব্যাপারটি মোটেও জানতাম না😑
জি ভাইয়া, আমি আর মাহির মামা ও ভাগ্নে। আমার পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।