মেয়ের হাতে ক্রেস্ট
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আর আজকের পোস্ট হচ্ছে গত ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে আমার মেয়ের ডিসপ্লেতে অংশগ্রহণের প্রসঙ্গ নিয়ে। আমার মেয়ে কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর একজন ছাত্রী। তাদের ক্লাস থেকে বেশ কয়েকজন সহ ওপরের ক্লাসের ছাত্রীরা মিলে এই ডিসপ্লের আয়োজন করেছিল। আর এই আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা ছিল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নিজেই। তার তত্ত্বাবধায়নে সকল কার্যক্রম পরিচালনা হয়েছিল।
আর এজন্য প্রতিটি ছাত্রীকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রখর রোদে প্র্যাকটিস করতে হয়েছিল।
আর এই ছাত্রীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্র্যাকটিসের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৩টি বিষয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে বিজয়ী হয়েছিল। যাই হোক আমার মেয়ে শুধুমাত্র ডিসপ্লেতেই অংশগ্রহণ করেছিল, এবং তার গ্রুপ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে জেনে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছিল। আর সেই মুহূর্তটি দেখতে পেয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল।
আমার মেয়ে ডিসপ্লেতে অংশগ্রহণ করেছে তার ভিডিওগ্রাফি আমি আগামী পোস্টে শেয়ার করব। আমাদের কুড়িগ্রাম স্টেডিয়াম থেকে ফিরে এসে আমার মেয়ে বিজয়ী ক্রেস্ট হাতে নিয়ে একটি ছবি তুলেছিল, এবং সেই সাথে কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও তার বান্ধবীর সাথেও ছবি তুলেছিল। যা ভবিষ্যতে মধুর স্মৃতি হয়ে রবে।
মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির জীবনে যেমন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন, এবং আনন্দের দিন। আর সেই আনন্দকে ঘিরে এত সুন্দর সুন্দর আয়োজন ছিল। পুরো কুড়িগ্রাম শহরের যতগুলো স্কুল ছিল, ততগুলো স্কুলের মধ্যে কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় তিনটি বিষয়ে বিজয়ী হয়ে, তাদের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে তুলেছিল। আর এই আনন্দঘন মুহূর্তে আমার মেয়ে স্কুলের ক্লাস টিচারদের সাথে বেশ কয়েকটি ছবিও তুলেছিল।
মাশাআল্লাহ আমার মেয়ে দেখতে দেখতে অনেক বড় হয়ে গেছে। তবুও মনে হয় এই তো সেদিন এই ছোট্ট মামনি আমাদের ঘর আলো করে এসেছিল। আর সেই মেয়ে এখন স্কুলের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়ে আসছে। যা মনে করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর আমি বাবা হিসেবে সব সময় আমার মেয়েকে উৎসাহ দিয়ে থাকি, সে যেন এভাবেই সব সময় সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
আপনারা সকলে আমার মামুনির জন্য দোয়া করবেন, যাতে করে সে সব সময় এমন সাফল্য অর্জন করতে পারে এবং সেই সাথে ভবিষ্যতে একজন ভালো মনের মানুষ হয়ে উঠতে পারে। একজন আদর্শ সন্তান প্রতিটি বাবা-মায়ের কাম্য। তাই আমিও কামনা করি আমার মেয়ে যেন আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আপনার মেয়ে যে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে তাতে আমরাও গর্ববোধ করছি। বেশ ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর অনুভূতির কথা গুলো পড়ে। আর আপনার মেয়ের মহান বিজয় দিবসের এমন সুন্দর ডিসপ্লের কথা শুনে আমারও ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ এত সুন্দর অনুভূতির কথাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু, আমার মেয়ে ১৬ই ডিসেম্বরের ডিসপ্লেতে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছিল দেখে আমারও খুবই ভালো লেগেছিল। আপনার কাছেও তা ভালো লেগেছে এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আপনার মেয়ের
বিজয়ের আনন্দ দেখে অনেক ভালো লাগছে।
আসলে সন্তানদের আনন্দ মা-বাবার কাছে
বিশাল কিছু। বিজয় দিবসের ডিসপ্লের কথাগুলোপড়ে শৈশব স্মৃতি জাগরিত হলো।আপনার মেয়েকে দেখতেও অনেক সুন্দর লাগছে। দোয়া করি আদর্শ মানুষ হিসেবে যেন গড়ে ওঠে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু ঠিক বলেছেন সন্তানের আনন্দ প্রতিটি বাবা-মায়েরই কাম্য। আর সন্তানের আনন্দ প্রতিটি বাবা-মা আনন্দিত হয়। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিজয় দিবস উপলক্ষে আপনার মেয়ের এমন বিজয় দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। বাচ্চাদের বিজয়ে মনের মাঝে অনেক বেশি আনন্দ অনুভব হয়।আপনার মেয়ে একজন ভালো মানুষ হয়ে বেড়ে উঠুক এমনটাই আশাকরি। ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু একদম ঠিক বলেছেন, ছেলেমেয়েদের বিজয় দেখলে মা বাবার কাছে সত্যিই খুব ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।