অর্ধাঙ্গিনীকে ভোট কেন্দ্রে রাখতে যাওয়ার অনুভূতি
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আর আজকের পোস্ট হচ্ছে গত ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াকে কেন্দ্র করে। আর এই নির্বাচনে আমার অর্ধাঙ্গিনী পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল। যদিও বা এই নির্বাচন নিয়ে আমাদের মনে খুবই সংশয় ছিল, হয়তোবা নির্বাচনের সময় গোলযোগ বাঁধতে পারে। এজন্য প্রথম দিকে আমার অর্ধাঙ্গিনী পোলিং অফিসার হিসেবে কাজ করতে চাইছিল না। তাই তার নামটি বাতিল করার জন্য চেষ্টাও করেছিল। তবে তার চেষ্টা কাজে লাগেনি। বাধ্যতামূলক ভোটের দায়িত্ব তাকে নিতে হয়েছিল। যাক অবশেষে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে এবং গন্ডগোল হয়নি এটাই বড় কথা।
৭ই জানুয়ারি ভোটের দিন ভোর ছটায় ঘুম থেকে উঠে, তড়িঘড়ি করে রেডি হয়ে আমার অর্ধাঙ্গিনী কে নিয়ে রওনা হয়েছিলাম। কেননা প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারদেরকে ভোর ছয়টার সময় উপস্থিত হতে বলেছিল। কিন্তু আমরা তো বাঙালি তাই সবখানেতে পৌঁছাতে একটু দেরী হয়ে যায়। এছাড়াও এখন শীতের সময় ভোর ছটায় অন্ধকার থাকে, যার কারণে কেউই ভোর ছটায় উপস্থিত হয়নি। শীতের সকাল তাই আমরা যখন ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলাম, তখন রাস্তাঘাট একদমই জন মানবহীন ছিল।আমরা ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাতে পৌঁছাতে ৬ঃ৩০ বেজে গিয়েছিল। আর সেখানে গিয়ে পৌঁছে দেখেছিলাম প্রিজাইডিং অফিসার ভোট কেন্দ্রের সমস্ত কাজকর্ম সঠিকভাবে প্রস্তুত করে রেখেছে। শুধুমাত্র ভোট গ্রহণ বাদ দিয়ে।
ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পরে আমরা দেখেছিলাম আমার অর্ধাঙ্গিনীর কলিগরা এসে পৌঁছেছিল। আর তখন পর্যন্ত ভোট গ্রহণের সময় হয়নি। তাই আমিও তাদের সাথে কুশল বিনিময় করার অনেকটাই সময় পেয়ে গিয়েছিলাম। শুধু আমার অর্ধাঙ্গিনীর কলিগরা নয় বরং অন্যান্য স্কুলের শিক্ষকরাও সেখানে উপস্থিত ছিল। আর তারা সবাই মিলে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার জন্য আলাপ আলোচনা করছিল। কেননা এর আগে এই কেন্দ্রে ভোট চলাকালীন সময়ে খুবই গন্ডগোল হয়েছিল। তবে এবার কিন্তু তা হয়নি।
আমার অর্ধাঙ্গিনীর যেখানে ভোটের ডিউটি পড়েছিল, সেটি ছিল একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা। আর এই মাদ্রাসায় বেশ বড় একটি মসজিদ রয়েছে। আর এই মাদ্রাসাটি খুব বেশি একটা উন্নত নয়। তবুও সব সময় নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র এই মাদ্রাসাতেই হয়ে থাকে। আমরা অনেকটা সময় অপেক্ষা করার পর, ভোট গ্রহণের সময় চলে আসে। তবে ভোট গ্রহণের সময় শুরু হলেও, তেমন একটা ভোটার আমার চোখে পরলো না। হয়তো শীতের সকাল এজন্যই সকাল সকাল কেউ ভোট দিতে আসেনি।
ভোট গ্রহণের পর অনেকটা সময় আমি কেন্দ্রেই অবস্থান করেছিলাম। তবে ভোট কেন্দ্রে বাইরের লোক থাকার পারমিশন ছিল না। তবে আমার অর্ধাঙ্গিনী উপজেলা চেয়ারম্যানের শালিকা হওয়ার সুবাদে এবং আমার পরিচিতি থাকার কারণে আমি ভোট কেন্দ্রে থাকতে পেরেছিলাম। আর ভোট চলাকালীন সময় আমি ভোট গ্রহণ কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করে দুই একটি ছবিও তুলেছিলাম। যদিওবা এই ছবি তোলা একদমই নিষিদ্ধ। তাই আমি নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এই পোস্টটি করছি।
আমার অর্ধাঙ্গিনী যে ভোট কেন্দ্রে পড়েছিল সেখানকার মোট ভোটার ছিল ৫০০০ এর উপরে, তবে দুঃখজনক কথা হচ্ছে, এই ভোটকেন্দ্রে শুধুমাত্র ৯৩২ জন ভোটার উপস্থিত হয়েছিল। আর এমন পরিস্থিতি কেন হয়েছে তা আমরা সকলেই জানি। তবে আমি ভোট নিয়ে তেমন কোন আলাপ-আলোচনায় যেতে চাচ্ছি না। শুধু বলতে চাচ্ছি, কোন গন্ডগোল ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে এটাই হচ্ছে বড় কথা।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাবিকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে য়াওয়া ও সেখানে অবস্থান করে যাবতীয় সব খুটিনাটি শেয়ার করেছেন দেখছি।এবার কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছারাই ভোট সম্পুর্ন হয়েছে বেশি জায়গায়।আসলে আতঙ্কিত হয়েই বেশি ভাগ ভোটার ভোট দিতে যাওয়ার সাহস পায়নি। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন দিদি, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কায় অনেকেই ভোট দিতে যায়নি। এজন্যই ভোট সেন্টারে ভোটারের সংখ্যা খুবই কম ছিল। যাইহোক দিদি, আমার পোস্ট পড়ে আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমরাও প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো কোন গন্ডগোল হতে পারে ভোটকেন্দ্রে। যখন ভোট দিতে গিয়েছিলাম তখন দেখলাম বেশ সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদান চলছে। ধন্যবাদ ভাইয়া ভাবিকে ভোট কেন্দ্রে রাখতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আপু, আমরা প্রথমদিকে ভেবেছিলাম হয়তো ভোটকেন্দ্রে গন্ডগোল হতে পারে। তবে আমাদের ভাবনাটা ভুল ছিল, সুষ্ঠুভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আপু, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নিশ্চয়ই ভাবিকে নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিলেন। আসলে ভোটের সময় কেন্দ্রে গন্ডগোল হলে দুশ্চিন্তা তো থাকবেই। যাই হোক কোন সমস্যা হয়নি এবং সুষ্ঠু ভাবে সবকিছু হয়েছিল। তাছাড়া আমাদের এদিকেও কেন্দ্রে কোন মানুষ যায়নি বললেই চলে
ঠিক বলেছেন আপু, আপনার ভাবি ভোটকেন্দ্রে ছিল বিধায় আমি বেশ চিন্তিত ছিলাম। তবে আল্লাহর রহমতে খুব সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে। যার কারনে কোন গন্ডগোল হয়নি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।