আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।}}

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমার এই পোস্ট হচ্ছে জীবনের প্রথম ড্যাফল মাখা খাওয়ার অনুভূতি। আমি আগে কখনো এই ফলটি দেখিনি আর তাই কখনো খাওয়াও হয়নি। ড্যাফল নামটি প্রথম শুনেছিলাম, যেদিন এই ফলের গাছটি প্রথম দেখেছিলাম। ড্যাফল নামটি যেমন আমার কাছে খুবই চমকপ্রদ ছিল, ঠিক তেমনি ফলটি দেখতেও আমার কাছে খুবই চমকপ্রদ ছিল। এই ফলের গাছটি আমার অর্ধাঙ্গীনির স্কুলের পাশেই এক চাচার বাসায় ছিল। আমি যেদিন প্রথম এই গাছটি দেখেছিলাম সেদিন চাচাকে বলেছিলাম গাছে যদি ফল ধরে আর সেই ফল যদি পাকে তাহলে যেন আমাকে দেখায় এবং তার স্বাদ গ্রহণ করার জন্য কিছু ড্যাফল আমাকে দেয়। যেই কথা সেই কাজ, গাছে যখন কাঁচা সবুজ রঙের ড্যাফল ধরেছিল তখন থেকেই লক্ষ্য করেছিলাম কোন দিন এই ফল পাকবে। অবশেষে একদিন সেই সময়টি এলো যখন গাছে হলুদ হলুদ রঙের পাকা ড্যাফল দেখতে পাওয়া গেল।

এইতো সেদিন সকাল বেলা আমার অর্ধাঙ্গিনীকে স্কুলে রাখার জন্য গিয়েছিলাম। আর তখন চাচা আমাকে হাতে বেশ কয়েকটা পাকা পাকা হলুদ রঙের ড্যাফল ধরিয়ে দিলেন। ফলটি হাতে পেয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। কেননা এই প্রথম ফলটি খাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। তাইতো দেরি না করে ড্যাফল গুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ছালগুলো ছাড়িয়ে নিলাম। আর এখানে আমাকে সাহায্য করেছিল আমার অর্ধাঙ্গিনীর একজন কলিগ যে কিনা সম্পর্কে আমার বড় বোন হয়। ছাল ছাড়ানোর পরে আমার সেই বোন ফলগুলোকে ছোট ছোট সাইজ করে কেটে নিয়েছিল।

চাচা বলেছিল এই ফল শুকনা মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খেলে বেশি স্বাদ পাওয়া যায়। আর সেজন্যই চাচার বাড়ি থেকেই কয়েকটি শুকনা মরিচ পুড়িয়ে নিয়ে আসা হল। চাচার অর্ধাঙ্গিনী, চাচি নিজেই আমাদেরকে এ কাজে সাহায্য করেছিল।

এরপর শুকনা মরিচ ও লবণ একসাথে ভালোভাবে মাখিয়ে মরিচগুলোকে গুঁড়ো গুঁড়ো করে সেখানে সরিষার তেল দিয়ে দেয়া হল। আমি যতই এই ডেফল মাখার প্রস্তুত প্রণালী দেখছিলাম ততই যেন আমার এই ফলটি খাওয়ার আগ্রহ অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছিল।
দেখে মনে হচ্ছিল খেতে খুবই সুস্বাদু হবে।

এবার ড্যাফল, সরিষার তেল, শুকনা মরিচ ও লবণ সবগুলো একত্রে ভালোভাবে মেখে নেয়া হল। ভালোভাবে মেখে নিয়ে যখনই প্রস্তুত হয়ে গেলো, তখনই এই ড্যাফল মাখা সকলেই মিলে খাওয়া শুরু করে দিলাম। আহা!! টক ঝাল স্বাদের ড্যাফল মাখা খেতে সত্যি দারুন লেগেছিল। মনে হচ্ছিল এতদিন থেকে যেই ফলের স্বাদ গ্রহণ করার আশায় ছিলাম, তা সেই দিন এই ফলটি খাওয়ার পর ড্যাফল খাওয়ার আশা পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। বন্ধুরা আপনারা কি এই ফলটি সকলেই চেনেন, অথবা কেউ কি খেয়েছেন?
যদি কেউ চিনে থাকেন অথবা খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। কারণ আমার কাছে এই ফলটি একদম নতুন হলেও আপনাদের কাছে হয়তো বা নতুন নাও হতে পারে। যাইহোক এই ছিল আমার নতুন স্বাদের ড্যাফল খাওয়ার অনুভূতি।

আশা করি আমার ড্যাফল মাখা খাওয়ার অনুভূতি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।