বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৯... || ১০% বেনিফিশিয়ারী shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৯... উপস্থাপন করব। আমরা ৮ম পর্বে ঘরোয়া রেস্টুরেন্টে খাবার পর্ব শেষ করে, আবারো মাওয়া ঘাটে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে সন্ধ্যার দিকে হোটেলে ফিরে আসি। আমাদের তো হোটেলে ফিরে আসতে ইচ্ছে করছিল না। কেননা রাতের বেলায় মাওয়া ঘাটের অপরূপ সৌন্দর্য আমাদেরকে মুগ্ধ করেছিল। কিন্তু আমরা একটানা জার্নি করার কারণে কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তাই আমরা সন্ধ্যার পরে আর কোথাও যাইনি। হোটেলেই বিশ্রাম নিয়েছি এবং রাত্রি যাপন করেছি। কেননা পরের দিন আবারো আমাদের জার্নি করতে হবে অনেক অনেক দূর।
আমরা ক্লান্ত থাকার কারণে, রাত্রে আমাদের খুবই ভালো ঘুম হয়েছিল। তাই সকাল সকাল উঠে ফ্রেশ হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার জন্য রেডি হয়ে গেলাম। আমরা যে হোটেলে ছিলাম, সেই হোটেল থেকে ঢাকা যাওয়ার রাস্তা পদ্মা সেতুর একদম পাশাপাশি। তাই সকাল সকাল আমরা পদ্মা সেতুর নিচে দাঁড়িয়ে ফুরফুরে হাওয়ায় শরীরটাকে চাঙ্গা করে নিলাম। সেই সাথে পদ্মা সেতুর নিচে দাঁড়িয়ে, পদ্মা সেতু কে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলাম। পদ্মা সেতুর নিচ থেকে পদ্মা সেতু দেখতে এত সুন্দর লাগছিল তা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত সম্পূর্ণ রাস্তা জুড়ে ছিল ফুলের গাছ। আমি এর আগে কোন রাস্তার পাশে এত এত ফুলের গাছ দেখিনি। প্রতিটি ফুল গাছ যেন রাস্তায় যাতায়াত করা গাড়িগুলোকে হেলে দুলে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। রংবেরঙের ফুল গুলো যখন গাড়ির হাওয়ায় দুলছিল তা দেখতে আমার কাছে ভীষণ রকম ভালো লেগেছিল। আমি কিছুক্ষণ পরপর রাস্তায় নেমে এই সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। আর সেই ফুলের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে পোস্ট আকারে শেয়ারও করেছিলাম।
আমরা পদ্মা সেতু থেকে ঢাকা আসার সময় রাস্তা গুলো দেখে খুবই মুগ্ধ হয়ে যাই। যদিও বা ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু যাওয়ার সময় এই রাস্তার উপর দিয়েই গিয়েছিলাম। কিন্তু তখন আমাদের পদ্মা সেতু দেখা নিয়ে ব্যস্ততা থাকার কারণে ভালো ভাবে রাস্তাগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারিনি, সেই সাথে কোন ফটোগ্রাফিও করিনি। কিন্তু পদ্মা সেতু থেকে ঢাকা আসার সময়, আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় রাস্তার সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য বাইকের গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে ঢাকায় এসেছিলাম। কিন্তু এই রাস্তাটি ওয়ান ওয়ে রাস্তা সেই সাথে একদম ফাঁকা হওয়ার কারণে এখানে প্রতিটি গাড়ি (১০০) একশোর অধিক স্পিডে দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে।
কিছুদূর পরপর রাস্তায় যাত্রী ছাউনির ব্যবস্থা করে রেখেছে সড়ক কর্তৃপক্ষ। আমরা সেই যাত্রী ছাউনিতে বসে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। আমি এই ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু যাওয়ার মহাসড়কের কথা মানুষের মুখে অনেক শুনেছি, এবং ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেখেছি। কিন্তু বাস্তবে এই প্রথম ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু যাওয়ার মহাসড়কটি স্বচক্ষে দেখেছিলাম। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু যাওয়ার যে বিস্তৃত রাস্তাটি রয়েছে তা সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি এর আগে এত সৌন্দর্যময় রাস্তা কখনো দেখিনি।
এতক্ষণ আমরা যে মহাসড়ক পার হয়ে আসলাম, এই মহাসড়কের নাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক। আর এই মহাসড়কে যাতায়াতের জন্য প্রতিটি গাড়িকে বাধ্যতামূলক টোল দিতে হবে। যেহেতু আমরা মোটরবাইকে ছিলাম তাই আমাদের মোটর বাইকের টোল হয়েছিল মাত্র ২০৳ টাকা। আমি যখন এ টোল ঘরে এসে টোল প্রদান করছিলাম, তখন আমার অর্ধাঙ্গিনী আমার একটি ছবি তুলে নিয়েছিল। আজ এ পর্যন্তই শেষ করছি, দেখা হবে আগামী পর্বে বাইক ট্যুরের (১০ ম) দশম পর্ব নিয়ে।
আশা করি আমার বাইক ট্যুর (Bike Tour) : পর্ব - ৯... পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজকের ট্যুর টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক পার করে শেষ করলেন, পদ্মা সেতুর রাস্তাগুলো এত সুন্দর আপনার এই পোষ্টটি ভিজিট না করলে হয়তো আমি অবগত হতে পারতাম না । আসলে পদ্মা সেতুতে আজও কখনো যাওয়া হয়নি তবে ইচ্ছা আছে খুব শীঘ্রই যাব। অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল ভাই শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই, সময় ও সুযোগ করে একদিন পদ্মা সেতু ও মাওয়া ঘাট থেকে ঘুড়ে আসবেন। আমার বিশ্বাস আপনার কাছে খুবই ভালো লাগবে।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার বাইক ট্যুর অসাধারণ হয়েছে। মাওয়া ঘাটের অপরূপ সৌন্দর্য আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে, আসলে মুগ্ধ করার মতো জায়গা। পদ্মা সেতু থেকে ঢাকা আসার সময় রাস্তা গুলো দেখতে খুবই সুন্দর। রাস্তার সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য বাইকের গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে ঢাকায় এসেছেন, তাহলে তো অনেক সুন্দর ভাবে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছেন।টোল ঘরে এসে টোল প্রদান করেছিলেন তখন আমার অর্ধাঙ্গিনী আমার একটি ছবি তুলেছিল ছবিটা অনেক চমৎকার হয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বাইক ট্যুর আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু সহধর্মিনী কে নিয়ে বাইকে করে ঘুরে বেড়ানোর মজাটাই আলাদা। আর তাই আমরা মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জায়গায় বাইকে করে ঘুরে বেড়াই। আর আমার ছবি তোলার ক্ষেত্রেও সে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার বাইক ট্যুরের গল্পটা বেশ ভালো লেগেছে। এভাবে বাইক ট্যুর করলে আসলে ভালই লাগে। পদ্মা সেতুর যে ছবিগুলো আপনি শেয়ার করেছেন সেগুলো বেশ চমৎকার। আমি এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু দেখি নি।আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কিছুটা অভিজ্ঞতা হলো। রাস্তার পাশের ফুলগুলো নিশ্চয়ই বেশ সুন্দর ছিল আপনি যেগুলোর ছবি তুলেছেন। আপনি বাইক স্লো করে পদ্মা সেতুর রাস্তার সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন জেনে ভালো লাগলো ।নিরাপত্তার একটা ব্যাপার রয়েছে ।যাই হোক ভালো ছিল, নিরাপদে বাড়ি পৌঁছান সেই শুভকামনা রইল।
আপু আপনাদের দোয়ায় আমরা নিরাপদে বাইক ট্যুর শেষ করে বাড়ি ফিরে এসেছি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
দারুন তো ভাবীকে নিয়ে বিশাল এক বাইক টুর দিয়ে ফেললেন। আসলেই পদ্মা সেতুর এই এক্সপ্রেসওেয়ে দারুন একটা অর্জন । বাংলাদেশে এত সুন্দর রাস্তা মনে হয়ে আর কোথাও নেই। আমারো ইচ্ছা আছে একবার এমন একটা লং বাইক টুর দেয়ার। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
ভাই আপনার ভাবীকে নিয়ে বাইকে করে শুধু পদ্মা সেতু নয় আমরা একদম কুয়াকাটা পর্যন্ত ভ্রমণ করে এসেছি। আর সেই পর্বগুলো পরবর্তী সময়ে পোস্ট করব। আপনার লং বাইক ট্যুরের ইচ্ছা খুব দ্রুত যেন পূর্ণ হয় এই কামনা করছি। ধন্যবাদ
আপনাদের এত সুন্দর বাইক ট্যুর দেখে আমার নিজের বেশ ভালো লাগলো। আপনাদের মত আমি আর আমার হাজব্যান্ড দুজনে মিলে এরকম বাইক নিয়ে বের হই। হাইওয়ে রাস্তার পাশে গাছগুলো সত্যি ভীষণ সুন্দর। আমরা দুইজন একবার এই রকম ভাবে আপনার মত রাস্তার পাশের ফুল গাছ থেকে ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এমনকি মাঝখানে অনেকক্ষণ পর্যন্ত হেঁটেছি। আপনাদের দেখে সেই দিনটার কথা মনে পড়ে গেল। আপনাদের দুজনের মুহূর্তটা বেশ ভালই লাগলো।
আপু আমার অর্ধাঙ্গিনীকে নিয়ে আমি বিভিন্ন জায়গায় বাইকে করে ঘুরে বেড়িয়েছি। আর এখনো সময় পেলে তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াই। আপনিও আমাদের মত ভাইয়ের সাথে বাইকে করে ঘুরে বেড়ান এই কথাটি জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মাওয়া ঘাটে আমি দুইবার গিয়েছিলাম। আসলে সেখানে গেলে মনটা ভরে যায় নদীর বিশালতা তার সাথে নতুন যোগ হয়েছে বিশাল পদ্মা সেতু। শরীর যখন অনেক ক্লান্ত থাকে তখন রাতের ঘুমটা সত্যিই ভাল হয়। পদ্মা সেতুর নিচে আপনাদের ছবি বেশ ভাল এসেছে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু যেতে অনেকখানি রাস্তার পাশে ফুল গাছ আছে এগুলো গাড়ি থেকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। পদ্মা সেতু পর্যন্ত রাস্তাটি ওয়ান হলেও হাই স্পিডে বাইক চালানো উচিত না। আমার খুব পরিচিত একজন এখানে বাইক এক্সিডেন্টে খুব গুরুতর আহত হয়েছিল। আপনার পুরো লেখাটি পড়ে খুবই ভাল লাগলো এবং আপনি খুব ভ্রমণ প্রেমিক আপনার ছবি দেখে এবং লেখা পড়লেই বোঝা যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।