আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।}}

অনেক দিন পর আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই যেন যান্ত্রিক হয়ে গেছি। কাজ আর কাজ নিয়ে আমাদের ব্যস্ত জীবন আরও বেশি যান্ত্রিক হয়ে গেছে। আর এই কর্ম ব্যাস্ততার কারনেই বেশ কিছুদিন থেকে আমার প্রিয় বাংলা ব্লগে কাজ করতে পারিনি।আমার প্রিয় কমিউনিটিতে কাজ করতে না পেরে আমার কাছে ভীষণ রকম খারাপ লেগেছে।

কেননা মানুষ অভ্যাসের দাস। আর তাইতো এখানে কাজ করতে করতে এমন একটি অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও মনে হয়, একটু সময় বের করে আমার বাংলা ব্লগে এসে সেই সময় টুকু ব্যয় করি। আমার বিশ্বাস আমার কাছে যেমন মনে হয়, তেমনটি আপনাদের কাছেও মনে হয়।

যাইহোক আর বেশি কথা বাড়াবো না, আজ আমি আপনাদের মাঝে আলু দিয়ে টেংরা মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে দেখাবো। এই রেসিপি খেতে সত্যিই দুর্দান্ত হয়েছিল। তাই এই দুর্দান্ত টেংরা মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস আপনাদের কাছেও এই রেসিপি অবশ্যই ভালো লাগবে। তো চলুন বন্ধুরা, দেখে আসা যাক আমার তৈরি আলু দিয়ে টেংরা মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া।

ক্রমিক নং	উপকরণ	পরিমাণ
১	টেংরা মাছ	৬০০ গ্রাম
২	আলু	৫০০ গ্রাম
৩	ধনিয়া পাতা	পরিমাণ মতো
৪	পেঁয়াজ	৪-৫ টি
৫	কাঁচা মরিচ	৮-১০ টি
৬	শুকনা মরিচ গুঁড়া	১ চা চামচ
৭	জিরা গুড়া	২ চা চামচ
৮	হলুদ গুঁড়া	১ চা চামচ
৯	সয়াবিন তেল	পরিমাণ মতো
১০	লবণ	স্বাদ মতো

" ধাপ : ১ "

প্রথমেই মাছগুলোকে কেটে, ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

" ধাপ : ২ "

এবার ধনিয়া পাতাগুলো কেটে, ভালোভাবে পরিষ্কার করে দিতে হবে।

" ধাপ : ৩ "

এবার আলু গুলোর খোসা ছাড়িয়ে, টুকরো করে কেটে নিতে হবে।

" ধাপ : ৪ "

এবার কাঁচা মরিচ গুলোর বোটা ছাড়িয়ে, লম্বায় দুভাগে কেটে নিতে হবে।

" ধাপ : ৫ "

এবার পেঁয়াজগুলোর খোসা ছাড়িয়ে, কুচি করে কেটে দিতে হবে।

" ধাপ : ৬ "

এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে আসলে, পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে।

" ধাপ : ৭ "

এবার সয়াবিন তেল গরম হয়ে আসলে কেটে নেয়া পেঁয়াজ কুচি গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে, বাদামি রঙ করে ভেজে নিতে হবে।

" ধাপ : ৮ "

এবার ভেজে নেয়ার পর কিছু বেরেস্তা হিসেবে আলাদা একটি পাত্রে তুলে রাখতে হবে। তারপর এক কাপ পরিমাণ পানি কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে।

" ধাপ : ৯ "

এবার উপকরণের সকল মসলা কড়াইতে ঢেলে দিয়ে চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। তারপর কেটে নেয়া টেংরা মাছগুলো কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে আবারো চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিতে হবে।

" ধাপ : ১০ "

এবার মাছগুলো কিছুক্ষণ কষিয়ে নেবার পর, কেটে নেয়া আলু গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।

" ধাপ : ১১ "

এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেবার পর কিছুক্ষণ কষিয়ে পানি গুলো শুকিয়ে আনতে হবে। তারপর আবারো মাছ ও সবজি সিদ্ধ করার জন্য পরিমাণ মতো পানি কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে।

" ধাপ : ১২ "

এবার কেটে নেয়া কাঁচামরিচ গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিতে হবে। এবং কষিয়ে নিতে হবে।

" ধাপ : ১৩ "

এবার কেটে নেয়া ধনিয়া পাতা গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিতে হবে। এবং কষিয়ে নিতে হবে।

" ধাপ : ১৪ "

এবার তুলে রাখা বেরেস্তা গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিতে হবে। এবং কষিয়ে নিতে হবে। যখন পানিগুলো মাখোমাখো হয়ে ঝোলে পরিণত হয়ে আসবে, তখন বুঝতে হবে আমাদের কাঙ্খিত আলু দিয়ে টেংরা মাছের সুস্বাদু রেসিপি সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে গেছে।

এবার আপনার মনের মত করে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন আলু দিয়ে টেংরা মাছের সুস্বাদু রেসিপি।

আশা করি আমার তৈরি আলু দিয়ে টেংরা মাছের সুস্বাদু রেসিপি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।