আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।}}

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি খুবই সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করব। ফুল ভাল লাগেনা, অথবা ফুল ভালোবাসে না এরকম মানুষ কি আছে? আমার কাছে মনে হয় এরকম মানুষ হয়তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না। ফুল এমনই সুন্দর যা দেখা মাত্র সকলের কাছে ভালো লেগে যায়। পৃথিবীতে বিভিন্ন রকমের ফুল, বিভিন্ন রকমের সুঘ্রাণ, বিভিন্ন রকমের রং, আর এই বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় ফুল দেখে আমরা অবাক হয়ে যাই। ভিন্ন ভিন্ন ফুলের ভিন্ন ভিন্ন ভাল লাগা কাজ করে। আর এই ফুলের সৌন্দর্য নিয়ে বর্ণনা করতে গেলে শেষই হবে না।

বনে ফুটে থাকা ফুল, নার্সারিতে উৎপাদন করা ফুল, বাড়িতে রোপন করা ফুল সর্বত্রই তার সৌন্দর্য ছড়িয়ে যায়। আর এই সৌন্দর্য দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে যাই। আজ আমি যে ফুলের ফটোগ্রাফি করেছি তা ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে ফটোগ্রাফি করেছি। কেননা এখন কোথাও গেলে, ফুল দেখতে পেলে আমি তা সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। আর সেই ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি।

যদিও বা আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের অনেকেই ফটোগ্রাফি করাতে খুবই পারদর্শী। তাদের পারদর্শিতার কাছে আমার ফুলের ফটোগ্রাফি তেমন কিছুই নয়। তবে আমি চেষ্টা করে চলেছি ভালো মানের ফটোগ্রাফি করার জন্য। আমি জানি এভাবেই চেষ্টার ফলে হয়তো কোন একদিন আমিও ভালো মানের ফটোগ্রাফি করতে পারব। আর সেই ফটোগ্রাফির ধারাবাহিকতায় আজ আমি আপনাদের মাঝে ফুলের ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করেছি। আশা করি আমার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

" ফটোগ্রাফি : ১ "

১। এই ফুলটির নাম পদ্মফুল। আবার অনেকেই নীল শাপলা বলে থাকে। আমি অনেকদিন আগে নার্সারিতে গিয়ে একটি ছোট্ট পুকুরে এই নীল শাপলা ফুটতে দেখেছিলাম। আবার যখন অনেকদিন পরে এই নার্সারিতে গিয়েছি, তখন দেখলাম এবার একটি নয় তিন, তিনটি নীল শাপলা ফুল ফুটে আছে। আমি নার্সারীর ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই, এই ফুলটির নাম কি? তিনি আমাকে ভিন্ন ভিন্ন নাম বললেন। যে নামেই হোক না কেন এই নীল শাপলার সৌন্দর্য দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যাই। আর তাই আমি এই সুন্দর নীল শাপলা ফুলের ফটোগ্রাফি করেছি।

" ফটোগ্রাফি : ২ "

২। এই ফুলটির নাম রঙ্গন ফুল। এই রঙ্গন ফুল খুবই পরিচিত একটি ফুল। যে ফুল বিভিন্ন অফিস আদালতে আবার বাড়িতেও রোপণ করা হয়। একটি গাছে রঙ্গন ফুল থোকায় থোকায় ফোটে যার কারণে দেখতে ভারী সুন্দর লাগে। আমি সেদিন আমার ব্যবসায়িক কাজে একটি অফিসে গিয়েছিলাম, সেখানে গিয়ে দেখি এই রঙ্গন ফুলের গাছে অনেকগুলো রঙ্গন ফুল থোকায় থোকায় ফুটে আছে। যা দেখামাত্রই আমার কাছে ভালো লেগে যায়। আর তাই ফটোগ্রাফি করেছি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

" ফটোগ্রাফি : ৩ "

৩। এই ফুলটি জংলি ফুল। জংলি ফুল হলেও দেখতে খুবই সুন্দর। আমি সেদিন আমার এক আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার সময় পথের ধারে একটি পুকুরের ওপরে এই ফুলের গাছটি দেখতে পেয়েছিলাম। রাস্তা থেকে গাছটি অনেক দূরে ছিল যার কারণে ফুলটি ভালোভাবে ক্যাপচার করতে পারিনি। খুব চেষ্টা করে যতটুকু পেরেছি ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি। এই ফুলটির রং আমাকে খুবই আকর্ষণ করেছিল, তাই ফটোগ্রাফি করেছিলাম।

" ফটোগ্রাফি : ৪ "

৪। এই ফুলটির নাম জবা ফুল। এটি হচ্ছে অরেঞ্জ কালারের জবা ফুল। জবা ফুল ভিন্ন ভিন্ন রঙের হয়।তবে আমি এপর্যন্ত চারটি রঙের জবা ফুল দেখার সুযোগ পেয়েছি।আর সেই রংগুলো হচ্ছে, সাদা জবা ফুল, লাল জবা ফুল, গোলাপি জবা ফুল এবং অরেঞ্জ জবা ফুল। প্রতিটি কালারের জবা ফুলই ভীষণ রকম সুন্দর। তবে অরেঞ্জ কালারের জবা ফুল দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। আর তাই চোখ জুড়ানো এই অরেঞ্জ কালারের জবা ফুলের ফটোগ্রাফি করেছি।

" ফটোগ্রাফি : ৫ "

৫। এই ফুলটির নাম মেলাম পোডিয়াম। এই ফুলটির নাম আমার জানা ছিল না। গুগলে সার্চ দিয়ে নামটি জানতে পেরেছি। হলুদ রঙের ছোট ছোট ফুল দেখতে ভারী সুন্দর। অনেকগুলো ফুল যখন একসাথে ফুটে থাকে তা দেখতে কি চমৎকার বলে বোঝাবার নয়। আমি জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে থেকে এই ফুলের ফটোগ্রাফি করেছি। যদিওবা জাতীয় স্মৃতিসৌধ নিয়ে এখনো আমার পোস্ট করা হয়নি। যাইহোক, সেদিন স্মৃতিসৌধের সামনে যখন এই ছোট ছোট ফুলগুলো ফুটেছিল তা দেখে মুগ্ধ হয়ে ফটোগ্রাফি করেছি।

" ফটোগ্রাফি : ৬ "

৬। এই ফুলটির নাম হলুদ রঙ্গন ফুল। জীবনে অনেকবার লাল রঙের রঙ্গন ফুল দেখেছি কিন্তু হলুদ রঙের রঙ্গন ফুল দেখার তেমন একটা সুযোগ হয়নি। আর তাই যখন এই হলুদ রঙের ফুলটি দেখেছি আমার কাছে ভীষণ রকম ভালো লেগেছে। আর তাই আমার ভালো লাগা ফুলটির ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।

" ফটোগ্রাফি : ৭ "

৭। এই ফুলটির নাম গাঁদা ফুল। গাঁদা ফুলেরও ভিন্ন ভিন্ন রং হয়। আর এই গাঁদা ফুল শহরে কিংবা গ্রামে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে বিশেষ করে বিয়ে বাড়িতে গাঁদা ফুলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমি সেদিন নার্সারি থেকে এই গাঁদা ফুলের ফটোগ্রাফি করেছি।

Photographer	mahbubul.lemon
Device	Oppo
Model	A16
Ram	4GB
Rom	64GB

আশা করি আমার ফুলের ফটোগ্রাফি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।